Ajker Patrika

গরুর মাংসের দাম বেশি চাহিদা দেশি মুরগির

শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৩৯
গরুর মাংসের দাম বেশি চাহিদা দেশি মুরগির

তারাগঞ্জে রমজান ঘিরে জমে উঠেছে হাঁস, মুরগি, কবুতরের বাজার। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বেচাকেনা। বিশেষ করে দেশি মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এ সময়।

ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরু ও খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাঁস-মুরগিতে ঝুঁকেছেন মানুষ। তা ছাড়া প্রতি বছর রমজানে হাঁস, মুরগি ও কবুতরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীরা এ সময়টাতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গৃহপালিত দেশি জাতের মুরগি, হাঁস ও কবুতর সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসেন। অনেক গৃহস্থ রমজানে পরিবারের অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য এ সময়টাতে হাটে হাঁস-মুরগি ও কবুতর বিক্রি করতে আসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৮টি হাট বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট তারাগঞ্জ। সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও শুক্রবার এ হাট বসে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাঁস, মুরগি ও কবুতরের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা সেসব হাতে নিয়ে ওজন অনুমান করে দর-কষাকষি করছেন। হাটে প্রতি জোড়া হাঁস ৭০০-৮০০ টাকা, মুরগি ৪৫০-৬০০ টাকা, কবুতর ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ হাটের পাশে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

গরুর মাংসে অ্যালার্জি ইকরচালী গ্রামের রশিদুল ইসলামের। তাই তিনি খাসির মাংস কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৭০০ টাকার মাংস ৮৫০ টাকা চাওয়ায় তিনি মুরগি হাটিতে ফিরে আসেন। মুরগি হাটিতে কথা হলে রশিদুল মিয়া বলেন, ‘মাংসের বাজারে আগুন নাগছে। এক কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০। শখ আহ্লাদ উঠি গেইছে। ওই জন্যে হাটোত আসি ৪০০ টাকা দিয়া দুইটা দেশি মুরগি কিননু। আলু মিশাল দিয়া দুই বেলা খাব।’

ঘনিরামপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া বলেন, ‘হাইব্রিডের যুগে দেশি মুরগি খুঁজে পাওয়া যায় না। তা ছাড়া রোজা থেকে গরুর মাংস খেলে পানির তৃষ্ণা লাগে বেশি। দেশি মুরগির মাংস খেলে কোনো সমস্যা হয় না। দেশি মুরগির স্বাদ ভালো। তাই হাটে দেশি মুরগি কিনতে এসেছি।’

ঢুলিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন এক জোড়া হাঁস কিনেছেন ৮০০ টাকা দিয়ে। এ হাঁসের মাংস পরিবারের ৬ সদস্যের দুই দিনের খাবার হবে। লোকমান হোসেন বলেন, ‘এক কেজি গরুর মাংস ছয়জনের দুই বেলা হয় না। রোজার আগে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৬৫০ টাকার কমে মাংস ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন না। সে জন্য হাঁস দুটি কিনেছি। ওজন তিন কেজি। দুই দিন ভালোভাবে খাওয়া হবে।’

বাড়ির চারটি পোষা মুরগি ও দুটি হাঁস নিয়ে হাটে এসেছিলেন তেলিপাড়া গ্রামের জিন্নাত আলী। তিনি জানান, ‘মুরগি বিক্রি করেছেন ৯০০ টাকা ও হাঁস ৭০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে স্ত্রী ও এক সন্তানের জন্য ঈদের আগাম কাপড় কিনবেন। কারণ ঈদের আগে বাজারে কাপড়ের দাম অনেক চড়া যায়।’

হাঁস-মুরগি বিক্রেতা তাহের মিয়া জানান, ‘গত কয়েক হাটের চেয়ে আজ (সোমবার) হাটে ক্রেতার আনাগোনা বেশি। অন্য সময়ের তুলনায় রমজানে হাঁস-মুরগি বিক্রি বেশি হয়। তাই গ্রামে ঘুরে আগে থেকেই মুরগি হাঁস সংগ্রহ করি। তা হাটে এনে বেচি। বিক্রি বেশি হলে, লাভও বেশি হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ