Ajker Patrika

পলি জমে নদী এখন সরু খাল

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৪৭
পলি জমে নদী এখন সরু খাল

পাইকগাছা পৌরসভার কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা শিবসা নদী পলি জমে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় সামান্য জলোচ্ছ্বাস বা জোয়ারের পানি বাড়লে পৌর সদরসহ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। নদীর পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে কাঁচা ঘরবাড়ি, ফসলাদি নষ্ট হয়। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে নদী খননে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদীবিধৌত অঞ্চলে বসবাসকারীরা।

পাইকগাছা পৌরসভা, গদাইপুর, লতা, সোলাদানা, দেলুটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা শিবসা নদী। এ নদীটি পলি জমে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও নদী দিয়ে লঞ্চ ও স্টিমার চলত। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খুলনা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। ব্যবসায়ীরা কম খরচে নৌকায় মালামাল আনত জেলা শহর থেকে।

পৌর সদরের পাইকারি ব্যবসায়ী পীযূষ সাধু বলেন, নদীপথ বন্ধ হওয়ায় ট্রাকে করে মাল আনতে খরচ বেশি হচ্ছে। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় পানি বাড়লে নৌকায় মালামাল আনা যায়। কিন্তু পানি না বাড়লে মালবাহী নৌকা তীরে আসে না। সময়মতো মালামাল ওঠানামা করা যায় না। মালের বিশেষ প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামাতে হয়।

সোলাদানা ইউনিয়নের ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৌরসভার তিন দিকে ছিল ৩টি খেয়াঘাট। হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হতো খেয়া নৌকায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীটি পলি জমে একেবারেই ভরাট হতে চলেছে। বর্তমানে লঞ্চ, স্টিমার দূরের কথা নৌকাও চালাতে পারছে না। খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি যেতে হয়।

গদাইপুর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, শিবসা নদী ভরাট হওয়ায় গদাইপুর ইউনিয়নের পানি নামতে পারছে না। সে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানিতে ডুবে আমন ধানসহ গাছপালা মারা যাচ্ছে। দেলুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমার ইউনিয়নটি দ্বীপবেষ্টিত। একদিকে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে, পানি বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা ভেঙে পানি প্রবেশ করে।

জানতে চাইলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী দিনে পৌরসভাসহ শিবসার পাশের ইউনিয়নকে বাঁচাতে হলে নদী খনন জরুরি হয়ে পড়েছে। খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ৩১ নম্বর পোল্ডার খনন করা হবে। শিববাটি ব্রিজ হতে সোলাদানা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদী পোল্ডারের আওতায় রয়েছে। আমরা কাগজপত্র তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখনো প্ল্যানিং কমিশনে রয়েছে। সেখান থেকে একনেক বৈঠকে পাস হওয়ার পর টাকা বরাদ্দ হবে। তখনই কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত