মিজানুর রহমান নয়ন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ২৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৪টিতেই নেই কোনো শহীদ মিনার। তবু প্রতিবছরই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড়, বাঁশের কঞ্চি, বেঞ্চ, টেবিল, রঙিন কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে পালন করেন মহান ভাষা দিবস। শ্রদ্ধা জানান ও স্মরণ করেন ভাষাশহীদদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। করোনার কারণে তা সফল হয়নি।
চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের কর্মসূচি উপলক্ষে উপজেলাব্যাপী শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। ভাষা দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক বা পুষ্পমাল্য অর্পণ। মূলত শহীদ মিনারগুলো থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অগ্রিম প্রস্তুতি। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তেমন কোনো আয়োজনও থাকে না।
জানা গেছে, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৪৭টি। এর মধ্যে ১২৭টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ রয়েছে ৮৩টি। এর মধ্যে ৫৭টিতে নেই শহীদ মিনার।
এ বিষয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৩২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ফান্ড না থাকায় নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার। প্রতিবছর বেঞ্চ, টেবিল, রঙিন কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।’
জোতমোড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। কখনো পাশের বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করি। আবার কখনো বাঁশ-কাঠ দিয়ে ভ্রাম্যমাণ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও জেলা পরিষদের অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। বরাদ্দ পেলে তাঁরা দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শহীদ মিনার নেই, এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা করা হয়েছে। মাত্র ২০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। তবে সরকারি নকশা অনুযায়ী কোনো শহীদ মিনার নেই। সারা দেশে একই রং ও আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুতই এসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা সফল হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ২৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৪টিতেই নেই কোনো শহীদ মিনার। তবু প্রতিবছরই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড়, বাঁশের কঞ্চি, বেঞ্চ, টেবিল, রঙিন কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে পালন করেন মহান ভাষা দিবস। শ্রদ্ধা জানান ও স্মরণ করেন ভাষাশহীদদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। করোনার কারণে তা সফল হয়নি।
চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের কর্মসূচি উপলক্ষে উপজেলাব্যাপী শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। ভাষা দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক বা পুষ্পমাল্য অর্পণ। মূলত শহীদ মিনারগুলো থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অগ্রিম প্রস্তুতি। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তেমন কোনো আয়োজনও থাকে না।
জানা গেছে, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৪৭টি। এর মধ্যে ১২৭টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ রয়েছে ৮৩টি। এর মধ্যে ৫৭টিতে নেই শহীদ মিনার।
এ বিষয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৩২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ফান্ড না থাকায় নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার। প্রতিবছর বেঞ্চ, টেবিল, রঙিন কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।’
জোতমোড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। কখনো পাশের বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করি। আবার কখনো বাঁশ-কাঠ দিয়ে ভ্রাম্যমাণ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও জেলা পরিষদের অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। বরাদ্দ পেলে তাঁরা দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শহীদ মিনার নেই, এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা করা হয়েছে। মাত্র ২০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। তবে সরকারি নকশা অনুযায়ী কোনো শহীদ মিনার নেই। সারা দেশে একই রং ও আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুতই এসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা সফল হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫