সম্পাদকীয়
বাসের ভাড়া নিয়ে চালক ও সহকারীদের সঙ্গে বচসার ঘটনা প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। এ নিয়ে কিছু বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু বাসেরআসন নিয়ে চালক ও কর্মীর সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর বচসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩০ ঘণ্টা ধরে আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা হয়েছে, তা চরম বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। একটি বাসে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যদি অসৌজন্যমূলক আচরণ চালক ও তাঁর সহকারী করেও থাকেন, সে জন্য একটি এলাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করার দুর্বুদ্ধি শিক্ষার্থীদের হয় কী করে? দোকানপাট ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করা, রেলপথ-সড়কপথ বন্ধ করে দিয়ে অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগ-দুর্বিপাকে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ছাত্রদের এই বেপরোয়া আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাংবাদিকেরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে ক্যামেরা। এমন ঘটনা নিন্দনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন সহিংস আন্দোলন সমালোচনার মুখে পড়েছে। শিক্ষক, সুধী সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজশাহীর সাধারণ মানুষও এর সমালোচনা করেছেন। তবে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন অহিংসই ছিল। আন্দোলনের মাঝে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে আন্দোলনকে সহিংস করে তোলে।
গ্রামের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সময় একজন ছাত্রের সঙ্গে বাসের চালক ও তাঁর সহকারীর কথা-কাটাকাটি হয় ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে। ঘটনার সঙ্গে বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ায় দোকানপাটে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন দেওয়া শুরু হয়। পোড়ানো হয় ১০টি দোকান। ভাঙচুর করা হয় আরও ২০টি। এই ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ওই সংঘর্ষে ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল ও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনতে হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, তা নয়। গত ৪০ বছরে অন্তত ১০টি এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত না হওয়ায় ছাত্রদের পক্ষে কথা বলার কোনো প্রতিনিধি না থাকায় এখন আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করা সহজ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গেও সম্ভবত এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন কার্যকর যোগাযোগ নেই। ছাত্র আন্দোলন বলে সেই অর্থে কিছু নেই। ছাত্রসংগঠনগুলো এখন শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে ভাবে না। আধিপত্য বিস্তারের লড়াই ছাড়া বড় সংগঠনগুলোর আর কোনো কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে। ভর্তি হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করে তাঁদের এলাকার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কিছু আইনকানুন এবং আচার-আচরণ বিষয়েও সচেতন করে তুলতে পারলে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও গা-ছাড়া ভাব পরিহার করা জরুরি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো কারণে উত্তেজনা দেখা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ঠান্ডা মাথায় ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হলেও বড় অঘটন ঠেকানো সম্ভব।
বাসের ভাড়া নিয়ে চালক ও সহকারীদের সঙ্গে বচসার ঘটনা প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। এ নিয়ে কিছু বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু বাসেরআসন নিয়ে চালক ও কর্মীর সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর বচসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩০ ঘণ্টা ধরে আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা হয়েছে, তা চরম বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। একটি বাসে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যদি অসৌজন্যমূলক আচরণ চালক ও তাঁর সহকারী করেও থাকেন, সে জন্য একটি এলাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করার দুর্বুদ্ধি শিক্ষার্থীদের হয় কী করে? দোকানপাট ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করা, রেলপথ-সড়কপথ বন্ধ করে দিয়ে অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগ-দুর্বিপাকে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ছাত্রদের এই বেপরোয়া আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাংবাদিকেরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে ক্যামেরা। এমন ঘটনা নিন্দনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন সহিংস আন্দোলন সমালোচনার মুখে পড়েছে। শিক্ষক, সুধী সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজশাহীর সাধারণ মানুষও এর সমালোচনা করেছেন। তবে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন অহিংসই ছিল। আন্দোলনের মাঝে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে আন্দোলনকে সহিংস করে তোলে।
গ্রামের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সময় একজন ছাত্রের সঙ্গে বাসের চালক ও তাঁর সহকারীর কথা-কাটাকাটি হয় ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে। ঘটনার সঙ্গে বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ায় দোকানপাটে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন দেওয়া শুরু হয়। পোড়ানো হয় ১০টি দোকান। ভাঙচুর করা হয় আরও ২০টি। এই ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ওই সংঘর্ষে ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল ও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনতে হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, তা নয়। গত ৪০ বছরে অন্তত ১০টি এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত না হওয়ায় ছাত্রদের পক্ষে কথা বলার কোনো প্রতিনিধি না থাকায় এখন আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করা সহজ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গেও সম্ভবত এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন কার্যকর যোগাযোগ নেই। ছাত্র আন্দোলন বলে সেই অর্থে কিছু নেই। ছাত্রসংগঠনগুলো এখন শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে ভাবে না। আধিপত্য বিস্তারের লড়াই ছাড়া বড় সংগঠনগুলোর আর কোনো কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে। ভর্তি হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করে তাঁদের এলাকার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কিছু আইনকানুন এবং আচার-আচরণ বিষয়েও সচেতন করে তুলতে পারলে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও গা-ছাড়া ভাব পরিহার করা জরুরি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো কারণে উত্তেজনা দেখা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ঠান্ডা মাথায় ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হলেও বড় অঘটন ঠেকানো সম্ভব।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪