আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের জামালগঞ্জ রেলস্টেশন। সেখানকার প্ল্যাটফর্মে লোকবলসংকট। তাই ১ নম্বর রেললাইনে যাত্রাবিরতির জন্য এখন আর কোনো ট্রেন দাঁড়ায় না। তবে একটি আন্তনগর ও দুটি লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতির সময় ২ নম্বর রেললাইনে দাঁড়ায়। সেটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে এবং এক নম্বর রেললাইন পার হয়ে যেতে হয়। মাটি থেকে ট্রেনের দরজা অনেক উঁচু হওয়ায় ওঠা-নামার কষ্ট সইতে হচ্ছে যাত্রীদের। কেউ বাড়ি থেকে মই আনেন।
অন্যদিকে পুরুষেরা লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠতে পারলেও বেশি বেগ পেতে হয় নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের। প্রায় সময়ই ট্রেনে উঠতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
জামালগঞ্জ রেলস্টেশনে গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী তিতুমীর আন্তনগর ট্রেনটি যাত্রাবিরতির জন্য জামালগঞ্জ রেলস্টেশনে দাঁড়ায়। ওই সময় ট্রেন থেকে কেউ ঝুলে, কেউবা আবার লাফ দিয়ে নামছেন। কেউ ট্রেনে উঠতে সহযোগিতা করছেন।
আক্কেলপুর রেলস্টেশন মাস্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে স্টেশনে সকিনা, শ্যাটল, অমনুরা, কলেজ ট্রেন এবং থার্টিন আপ নামে লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতির জন্য দাঁড়াত। বর্তমানে লোকবলসংকটে একটি তিতুমীর আন্তনগর ও একটি রকেট মেইল ও উত্তরা নামে লোকাল ট্রেন চালু রয়েছে। স্টেশনটিতে এই তিনটি ট্রেন এখন যাত্রাবিরতির জন্য দাঁড়ায়। তবে স্টেশনে লোকবলসংকটে প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইনটি এখন আর ব্যবহার করা হয় না। তাই ট্রেন তিনটি কোনো সিগন্যাল ছাড়ায় ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ায়। আবার সেখান থেকে চলে যায়। ট্রেনে যাত্রী ওঠা-নামা করার জন্য প্ল্যাটফর্ম না থাকায় উঁচু ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে উঠতে হয় যাত্রীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি, স্টেশনে লোকবল না থাকায় প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইন দিয়ে কোনো ট্রেন চলাচল করে না। তিনটি ট্রেন ২ নম্বর রেললাইনে দাঁড়ায়। স্টেশনের আশপাশের লোকেরা মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষকে ট্রেনে উঠতে বাড়ি থেকে মই এনে ট্রেনে উঠতে হয়। প্ল্যাটফর্ম দূরে থাকায় অনেক যাত্রী ট্রেনে ওঠা ও নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’
যাত্রী সামিউল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ওঠা-নামা করতে হয় আমাদের। সবচেয়ে বিপাকে পড়েন বৃদ্ধ ও নারীরা।’ তাই দ্রুত এই স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম করার দাবি জানান তিনি।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মাটি থেকে ট্রেন অনেক উঁচুতে থাকে। ছেলেরা লাফিয়ে উঠতে পারলেও মেয়েদের বেলায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। দ্রুত স্টেশনটির কাছে প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার (এসএম গ্রেড-৪) হাসিবুল হাসান বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম কাছাকাছি না থাকায় শিক্ষার্থীসহ নারীরা ট্রেনে উঠতে পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। পাশের জেলায় সোমপুর বদ্ধবিহার রয়েছে। প্ল্যাটফর্ম কাছাকাছি না থাকায় অনেক পর্যটন ট্রেন থেকে নামেন না। এ কারণে যাত্রীসংখ্যা কমেছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি স্টেশনটিতে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য।’
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের জামালগঞ্জ রেলস্টেশন। সেখানকার প্ল্যাটফর্মে লোকবলসংকট। তাই ১ নম্বর রেললাইনে যাত্রাবিরতির জন্য এখন আর কোনো ট্রেন দাঁড়ায় না। তবে একটি আন্তনগর ও দুটি লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতির সময় ২ নম্বর রেললাইনে দাঁড়ায়। সেটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে এবং এক নম্বর রেললাইন পার হয়ে যেতে হয়। মাটি থেকে ট্রেনের দরজা অনেক উঁচু হওয়ায় ওঠা-নামার কষ্ট সইতে হচ্ছে যাত্রীদের। কেউ বাড়ি থেকে মই আনেন।
অন্যদিকে পুরুষেরা লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠতে পারলেও বেশি বেগ পেতে হয় নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের। প্রায় সময়ই ট্রেনে উঠতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
জামালগঞ্জ রেলস্টেশনে গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী তিতুমীর আন্তনগর ট্রেনটি যাত্রাবিরতির জন্য জামালগঞ্জ রেলস্টেশনে দাঁড়ায়। ওই সময় ট্রেন থেকে কেউ ঝুলে, কেউবা আবার লাফ দিয়ে নামছেন। কেউ ট্রেনে উঠতে সহযোগিতা করছেন।
আক্কেলপুর রেলস্টেশন মাস্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে স্টেশনে সকিনা, শ্যাটল, অমনুরা, কলেজ ট্রেন এবং থার্টিন আপ নামে লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতির জন্য দাঁড়াত। বর্তমানে লোকবলসংকটে একটি তিতুমীর আন্তনগর ও একটি রকেট মেইল ও উত্তরা নামে লোকাল ট্রেন চালু রয়েছে। স্টেশনটিতে এই তিনটি ট্রেন এখন যাত্রাবিরতির জন্য দাঁড়ায়। তবে স্টেশনে লোকবলসংকটে প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইনটি এখন আর ব্যবহার করা হয় না। তাই ট্রেন তিনটি কোনো সিগন্যাল ছাড়ায় ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ায়। আবার সেখান থেকে চলে যায়। ট্রেনে যাত্রী ওঠা-নামা করার জন্য প্ল্যাটফর্ম না থাকায় উঁচু ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে উঠতে হয় যাত্রীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি, স্টেশনে লোকবল না থাকায় প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইন দিয়ে কোনো ট্রেন চলাচল করে না। তিনটি ট্রেন ২ নম্বর রেললাইনে দাঁড়ায়। স্টেশনের আশপাশের লোকেরা মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষকে ট্রেনে উঠতে বাড়ি থেকে মই এনে ট্রেনে উঠতে হয়। প্ল্যাটফর্ম দূরে থাকায় অনেক যাত্রী ট্রেনে ওঠা ও নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।’
যাত্রী সামিউল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ওঠা-নামা করতে হয় আমাদের। সবচেয়ে বিপাকে পড়েন বৃদ্ধ ও নারীরা।’ তাই দ্রুত এই স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম করার দাবি জানান তিনি।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মাটি থেকে ট্রেন অনেক উঁচুতে থাকে। ছেলেরা লাফিয়ে উঠতে পারলেও মেয়েদের বেলায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। দ্রুত স্টেশনটির কাছে প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার (এসএম গ্রেড-৪) হাসিবুল হাসান বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম কাছাকাছি না থাকায় শিক্ষার্থীসহ নারীরা ট্রেনে উঠতে পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। পাশের জেলায় সোমপুর বদ্ধবিহার রয়েছে। প্ল্যাটফর্ম কাছাকাছি না থাকায় অনেক পর্যটন ট্রেন থেকে নামেন না। এ কারণে যাত্রীসংখ্যা কমেছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি স্টেশনটিতে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫