Ajker Patrika

কাঁঠাল হাতে শিক্ষার্থীদের ‘লজ্জার মিছিল’

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২২, ১৩: ৩৮
কাঁঠাল হাতে শিক্ষার্থীদের ‘লজ্জার মিছিল’

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাঁঠাল হাতে ‘লজ্জার বিক্ষোভ মিছিল’ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মিছিল নিয়ে উপাচার্য ভবনের দিকে অগ্রসর হলে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বাধা দেন। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় লিপ্ত হন মিছিলকারীরা।

কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষকেরা সরে গেলে উপাচার্য ভবনের সামনে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি অতিক্রম করে। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিভিন্ন বিভাগের ছাত্ররা।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটায় ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সাংস্কৃতিক জোট ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হন। সেখান থেকে ঝাড়ু ও কাঁঠাল হাতে লজ্জার বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। তিনিই প্রথম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। হত্যার অস্ত্র হিসেবে জাতীয় ফল কাঁঠালের নাম উল্লেখ করেন। তাই তাঁরা কাঁঠাল হাতে নিয়ে লজ্জার বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। এই দাবিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি পালন করতে এলেও তাঁর নির্লজ্জ অনুসারীরা বাধা দিয়েছেন।’

জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল হক রনি বলেন, অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম একটি লজ্জার নাম। তিনি দুই কোটি টাকার দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী মারধরের দায়ে অভিযুক্ত। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত অগ্রগতি হয়নি।

বাধাদানের বিষয়ে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে যেতে চাইলে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। কেউ কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। আন্দোলনকারীদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এখানে এসেছিলাম। কাকতালীয়ভাবে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। আমরা বাধা দিতে আসিনি। সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেমন আমাদের, তেমনি শিক্ষক ও সহকর্মী হিসেবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নিরাপত্তা দেওয়া প্রক্টরিয়াল বডির কর্তব্য। সে কারণে আমরা আগে থেকেই উপস্থিত ছিলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত