Ajker Patrika

হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ওজন বাড়ে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ওজন বাড়ে

প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ওর পেটে ফোলাভাব আছে প্রায় দুই সপ্তাহ। পেটে ব্যথা আছে। ঘুমানোর সময় মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা হয়। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খায়। ফলে কৃমির সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝতে পারছি না। ডাক্তার দেখিয়েছি। স্বাভাবিক খাবার দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু পেটে ফোলাভাব ও ব্যথা কমছে না।

রেহানা আক্তার দোলা, ঢাকা

উওর: পুরো পেট ফোলা নাকি পেটের কোনো একটা অংশ ফোলা? ব্যথার ক্ষেত্রেও একই বিষয় জানতে হবে যে কত দিন ধরে এই সমস্যা? কোনো খাবারের সঙ্গে ব্যথার সম্পর্ক আছে কি না? কোন কোন খাবারে অ্যালার্জি আছে; বিশেষ করে গরুর দুধ, সুজি, বার্লি খাওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় কি না? কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয় কি না? প্রস্রাবে কোনো সমস্যা আছে কি না?

প্রথমত, কোষ্ঠকাঠিন্য যদি থেকে থাকে তাহলে প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়, যা পেটে ব্যথার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শিশু ময়লার সংস্পর্শে থাকে কি না, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। খেলার সময় কখনো কখনো নরম ছোট খেলনার উপকরণ খেয়ে ফেলে কি না, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ব্যথার তীব্রতা কতখানি? সঙ্গে জ্বর বা বমি আছে কি না, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায় কি না?
এসব সমস্যা যদি না থাকে এবং ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে যদি কৃমির ওষুধ খাওয়ানো না হয়ে থাকে, তাহলে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। দুই বছর বয়সের পর থেকে ছয় মাস পরপর নিয়মিত শিশুকে কৃমির ওষুধ দিতে হবে। যদি ওপরে বলা সমস্যাগুলো না থাকে তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে কৃমি হওয়ার সম্পর্ক নেই। কৃমি হয় হাত নোংরা থাকলে এবং হাত না ধুয়ে খাবার খেলে বা মুখে হাত দিলে। এই বয়সের শিশুদের পুরো পেট স্বাভাবিকের চেয়ে একটু মোটা থাকে, যা মা-বাবার কাছে সমস্যা মনে হয়। তবে যেহেতু পেটে ব্যথা আছে, তাই ওপরের বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে। তারপরও যদি ঠিক না হয়, তাহলে প্রস্রাব, পায়খানার পরীক্ষা এবং আলট্রাসাউন্ড করাতে হবে। তবে অনেক সময়ই দেখা যায় পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো থাকে। শারীরিক সমস্যার বাইরেও শিশুরা প্রায়ই তাদের মন খারাপ কিংবা মানসিক কষ্টগুলো শারীরিক উপসর্গ দিয়ে, যেমন পেটে ব্যথা দিয়ে প্রকাশ করে থাকে। এ বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা 

প্রশ্ন: হঠাৎ করেই মুটিয়ে যাচ্ছি। রোজ সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মেশানো কুসুম গরম পানি পান করি। তবুও কোনো লাভ হচ্ছে না। অথচ খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম আমার।

এটা শারীরিক কোনো কন্ডিশনের কারণে হচ্ছে কি না, বুঝতে পারছি না। কী করণীয়? আমার বয়স ৩৪ বছর। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছি বলে দুই মাস ধরে ফলিসন খাচ্ছি। এ ছাড়া কোনো ওষুধ খাচ্ছি না।

সাজেদা বেগম, চৌদ্দগ্রাম

উওর: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা হতে পারে। এ ছাড়া শারীরিক কাজের তুলনায় অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণও কারণ হতে পারে। হরমোন বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন। 

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত