Ajker Patrika

এই হারে কোনো গ্লানি নেই

হাসান মাসুদ
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৩৫
এই হারে কোনো গ্লানি নেই

এ পরাজয়ে কোনো লজ্জা বা গ্লানি নেই। যদিও খুব খারাপ লাগছে জেতা ম্যাচটা আমরা বৃষ্টির কারণে হেরে গেলাম। শুধু কি বৃষ্টি? শরীফুল ইসলামের ৪ ওভারে ৫৭ রানও কি এই পরাজয়ের জন্য দায়ী নয়? কেন যে তাকে একাদশে নেওয়া হলো! সৌম্য সরকারের জায়গায় না হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে নিত। 
তবে আমাদের পাওয়ার প্লের ব্যাটিংটা অসাধারণ ছিল। ম্যাচের এই অংশে আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলাম। লিটন দাসের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়েই এটা সম্ভব হয়েছিল। ভারত যেখানে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান করেছিল, বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান করে ফেলে। সপ্তম ওভারে দলের রান যখন ৬৬, তখনই বৃষ্টি ছোবল দিল। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ তখন ১৭ রানে এগিয়ে ছিল। খেলা না হলে তো আমরাই ম্যাচটা জিতি। 

বৃষ্টির কারণে মাঠ ভেজা থাকায় সাকিব হয়তো চাচ্ছিল আরেকটু সময় নিতে। দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তার কথাবার্তা দেখে এমনই অনুমান করছিলাম। মাঠও ভেজা ছিল, হাত দিয়ে সাকিব একবার দেখেছেও সেটা। অফিশিয়ালদের সিদ্ধান্ত ছাড়াও ভারত আইসিসিতে একটা প্রভাব বিস্তারকারী দেশ। একটা ভালো ক্রাউডফুল দল। এটাও একটা ফ্যাক্টর। ভারতকে ফাইনালে নিতে হবে, এমন একটা ব্যাপার তো সব সময় থাকে।

ভারত যেকোনো ম্যাচ খেললে দর্শক বেশি হয়, যদিও আজ (কাল) একটু কম ছিল। কিন্তু সেমিফাইনাল-ফাইনালে উঠলে নিশ্চয়ই আরও বেশি দর্শক পাবে। এবং টাকা অনেক বেশি আয় হবে। ম্যাচটা তাড়াতাড়ি শুরু করে দেওয়ার পেছনে এসবও কারণ। তখন থেকে বাংলাদেশের সবার মুখ কালো হয়ে যায়, ভারতীয় খেলোয়াড়দের মুখে হাসি ফোটে।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের ৪ ওভার কাটা পড়ে। নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ পর্যন্ত ১৪৫ রানে থামে, ৫ রানে ম্যাচটা আমরা হারলাম। ৫৪ বলে ৮৫ রান খুব একটা কঠিন লক্ষ্য ছিল না। কারণ, লিটন দাস দুর্দান্ত খেলছিল। খেলা যখন পুনরায় শুরু হয়, পা পিছলে পড়ে যায় এবং বাঁ হাতে ব্যথা পায়, যেটা তার পাওয়ার হ্যান্ড। এর পরের বলে সে রানআউট হয়ে যায়। মাঠ ভেজা থাকায় লিটন পা পিছলে পড়ল রান নিতে গিয়ে। এই খেলার ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিরাট কোহলি হলেও এই ম্যাচের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার লিটনই।

তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। হাতে ৮ উইকেট, ৩০ বলে ৫২  রান দরকার, এই হিসাবটা মিডল অর্ডারের মেলানো উচিত ছিল। অথচ ১১ বলের মধ্যে মাত্র ৯ রানে আমরা ৪ উইকেট হারালাম। এটাই মূলত আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। দল আসলে নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল। আমরা চোক করেছি। এবং এই চোকের কারণে ঘাবড়ে যাওয়ায় শট নির্বাচনে অনেক ভুল ছিল। যে কারণে মোসাদ্দেক আউট হয়েছে।

তারপরও নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদের ৩৭ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল। শেষ বলে ৬ রান করতে পারলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াত। এখন এসব অবশ্য যদি-কিন্তুর হিসাব। বাংলাদেশ হেরে গেছে, এটাই এখন সত্য। তবে আবারও বলছি, এই পরাজয়ে কোনো গ্লানি নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত