Ajker Patrika

কৃতজ্ঞতা নেয়ামত বৃদ্ধি করে

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ২০ মে ২০২২, ১৭: ১৩
কৃতজ্ঞতা নেয়ামত বৃদ্ধি করে

আল্লাহ তাআলা মানুষকে সর্বোত্তম মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের উপভোগের জন্য জানা-অজানা অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। প্রথমত, মানুষ যদি নিজের দেহ নিয়ে চিন্তা করে এবং তার দুই চোখ দিয়ে যত কিছু দেখতে পায় তা নিয়ে গবেষণা করে, তবে তারা কোনোভাবেই আল্লাহ তাআলার প্রতি অকৃতজ্ঞ হতে পারে না। সৃষ্টি সম্পর্কে গবেষণা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি তোমাদের নিজেদের নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করবে না?’ (সুরা যারিয়াত: ২১)

তিনিই সব নেয়ামতের স্রষ্টা, যা মানুষের পক্ষে গণনা করা অসম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে তার সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না। নিশ্চয়ই মানুষ অধিক অত্যাচারী ও অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা ইবরাহিম: ৩৪) আয়াতের শেষাংশে মানুষকে অত্যাচারী ও অকৃতজ্ঞ বলা হয়েছে। কারণ কোনো কোনো মানুষ আল্লাহকেই অস্বীকার করে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে তার ইয়ত্তা পাবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নাহল: ১৮) এ আয়াতের শেষাংশে আল্লাহর দয়া ও ক্ষমাশীলতার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যদি কেউ অবিশ্বাসের পর তাঁর নেয়ামত দেখে পুনরায় আল্লাহর পথে ফিরে আসে, তবে তিনি তাকে ক্ষমা করেন।

সর্বোত্তম সৃষ্টি হিসেবে মানুষের দায়িত্ব হলো সব নেয়ামত উপভোগ করা এবং আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা আদায় করা। যাতে মহান প্রভু সন্তুষ্ট হন এবং আরও বেশি নেয়ামত দান করেন। তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত