রানা আব্বাস, শারজা থেকে
দর্শক-সমর্থকদের কথা ভেবে খারাপ লাগছে মাহমুদউল্লাহর। প্রবাসী অধ্যুষিত যেকোনো দেশে খেলতে গেলে গ্যালারিতে লাল-সবুজ সমর্থকদের উপস্থিতি নতুন নয়। তবে গতকাল শারজার গ্যালারিতে বাংলাদেশি দর্শকদের উপস্থিতি আসলেই চমকে দেওয়ার মতো।
পুরো ম্যাচে একটিবারও মনে হয়নি বাংলাদেশ ভিন দেশে খেলতে এসেছে। কানায় কানায় পূর্ণ শারজার গ্যালারি থেকে দর্শকের বিপুল সমর্থন পেয়েও মাহমুদউল্লাহরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গতকাল বাংলাদেশ হেরেছে তিন রানে। স্নায়ুর পরীক্ষা নেওয়া ম্যাচটা হেরে দর্শকেরা ফিরেছেন হতাশ মনে। তাঁদের জন্য খারাপই লাগছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘খুবই খারাপ লাগছে। আমরা তাঁদের হতাশ করেছি। সব কটি ম্যাচেই তাঁরা আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। প্লিজ, প্লিজ আমাদের সমর্থন করতে থাকুন। আশা করি, আমরা জয় উপহার দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে সে স্বপ্ন মিলিয়ে গেছে মরুর তপ্ত হাওয়ায়। বড় আশা পূরণ না হলেও এখনো টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়ার অনেক কিছুই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘যদিও সেমিফাইনালের আশাটা ক্ষীণ হয়ে গেছে; কিন্তু এখনো আমাদের দুটি ম্যাচ আছে। এই দুটি ম্যাচ যদি জিততে পারি, ভালো কিছু হবে। আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবু ভুল হচ্ছে। আমরা শেষ দুটো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
সুপার টুয়েলভে যে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে খুব কাছে গিয়ে। গতকাল ক্যারিবীয়দের কাছে হারের পেছনে ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়াকেই সামনে আনছেন মাহমুদউল্লাহ। বললেন, ‘বোলাররা ভালোই করেছিল। যে সুযোগ এসেছিল, সেগুলো যদি নিতে পারতাম, তাহলে ওদের অন্তত ১০টা রান কম হতো। তাহলে আমাদের জন্য লক্ষ্য তাড়া করাটা সহজ হতো। চেষ্টা করেছি। টি-টোয়েন্টি খেলা এ রকমই, কাছে গিয়ে অনেক সময় হারতে হয়।’
মাহমুদউল্লাহ-লিটন দাসের পঞ্চম উইকেট জুটিটা যেভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তারা শেষ করতে পারলে বাংলাদেশের এভাবে তীরে এসে তরি ডোবার যন্ত্রণা সইতে হয় না। ১২ বলে ২২, পরে ৬ বলে ১৩ রানের সমীকরণ মেলাতে না পারার ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘(আন্দ্রে) রাসেলের (করা শেষ) ওভারটার আগে (ডোয়াউন) ব্রাভোর ওই বলে যদি (লিটনের) ছয় হয়ে যেত (জেসন হোল্ডারের ক্যাচ) তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয়, ওটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ম্যাচের। কারণ, লিটনও থিতু হয়ে গিয়েছিল। দুজন সেট ব্যাটারও যদি শেষ ওভারে থাকতে পারতাম, দুজনের একজন শেষ ওভারে অন্তত একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি কিংবা পজিটিভ কিছু হতো।’
এক বলে চার রানের সমীকরণ অবশ্যই কঠিন। তবে অনেক সময় এ অসম্ভব কাজটা সম্ভবও করে ফেলেন ব্যাটাররা। না পারার ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘শেষ বলটা জানতাম যে সে (রাসেল) ব্লক হোলে করবে। লেগ সাইডে যেহেতু চারটা ফিল্ডার ছিল। আগের দুটো বলও ভালো ইয়র্কারে করেছিল। আমি তুলতে পারিনি। এটা আমারই দোষ, শেষ বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারিনি।’
অধিনায়ক ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেওয়ার পর আর কীই-বা বলার থাকে!
দর্শক-সমর্থকদের কথা ভেবে খারাপ লাগছে মাহমুদউল্লাহর। প্রবাসী অধ্যুষিত যেকোনো দেশে খেলতে গেলে গ্যালারিতে লাল-সবুজ সমর্থকদের উপস্থিতি নতুন নয়। তবে গতকাল শারজার গ্যালারিতে বাংলাদেশি দর্শকদের উপস্থিতি আসলেই চমকে দেওয়ার মতো।
পুরো ম্যাচে একটিবারও মনে হয়নি বাংলাদেশ ভিন দেশে খেলতে এসেছে। কানায় কানায় পূর্ণ শারজার গ্যালারি থেকে দর্শকের বিপুল সমর্থন পেয়েও মাহমুদউল্লাহরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গতকাল বাংলাদেশ হেরেছে তিন রানে। স্নায়ুর পরীক্ষা নেওয়া ম্যাচটা হেরে দর্শকেরা ফিরেছেন হতাশ মনে। তাঁদের জন্য খারাপই লাগছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘খুবই খারাপ লাগছে। আমরা তাঁদের হতাশ করেছি। সব কটি ম্যাচেই তাঁরা আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। প্লিজ, প্লিজ আমাদের সমর্থন করতে থাকুন। আশা করি, আমরা জয় উপহার দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে সে স্বপ্ন মিলিয়ে গেছে মরুর তপ্ত হাওয়ায়। বড় আশা পূরণ না হলেও এখনো টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়ার অনেক কিছুই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘যদিও সেমিফাইনালের আশাটা ক্ষীণ হয়ে গেছে; কিন্তু এখনো আমাদের দুটি ম্যাচ আছে। এই দুটি ম্যাচ যদি জিততে পারি, ভালো কিছু হবে। আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবু ভুল হচ্ছে। আমরা শেষ দুটো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
সুপার টুয়েলভে যে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে খুব কাছে গিয়ে। গতকাল ক্যারিবীয়দের কাছে হারের পেছনে ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়াকেই সামনে আনছেন মাহমুদউল্লাহ। বললেন, ‘বোলাররা ভালোই করেছিল। যে সুযোগ এসেছিল, সেগুলো যদি নিতে পারতাম, তাহলে ওদের অন্তত ১০টা রান কম হতো। তাহলে আমাদের জন্য লক্ষ্য তাড়া করাটা সহজ হতো। চেষ্টা করেছি। টি-টোয়েন্টি খেলা এ রকমই, কাছে গিয়ে অনেক সময় হারতে হয়।’
মাহমুদউল্লাহ-লিটন দাসের পঞ্চম উইকেট জুটিটা যেভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তারা শেষ করতে পারলে বাংলাদেশের এভাবে তীরে এসে তরি ডোবার যন্ত্রণা সইতে হয় না। ১২ বলে ২২, পরে ৬ বলে ১৩ রানের সমীকরণ মেলাতে না পারার ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘(আন্দ্রে) রাসেলের (করা শেষ) ওভারটার আগে (ডোয়াউন) ব্রাভোর ওই বলে যদি (লিটনের) ছয় হয়ে যেত (জেসন হোল্ডারের ক্যাচ) তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয়, ওটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ম্যাচের। কারণ, লিটনও থিতু হয়ে গিয়েছিল। দুজন সেট ব্যাটারও যদি শেষ ওভারে থাকতে পারতাম, দুজনের একজন শেষ ওভারে অন্তত একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি কিংবা পজিটিভ কিছু হতো।’
এক বলে চার রানের সমীকরণ অবশ্যই কঠিন। তবে অনেক সময় এ অসম্ভব কাজটা সম্ভবও করে ফেলেন ব্যাটাররা। না পারার ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘শেষ বলটা জানতাম যে সে (রাসেল) ব্লক হোলে করবে। লেগ সাইডে যেহেতু চারটা ফিল্ডার ছিল। আগের দুটো বলও ভালো ইয়র্কারে করেছিল। আমি তুলতে পারিনি। এটা আমারই দোষ, শেষ বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারিনি।’
অধিনায়ক ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেওয়ার পর আর কীই-বা বলার থাকে!
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫