Ajker Patrika

বিবাদে বিব্রত শিল্পীরা

বিবাদে বিব্রত শিল্পীরা

সত্য উদ্‌ঘাটন করা দরকার
—সোহেল রানা, অভিনেতা ও প্রযোজক

শুধু অভিযোগ শুনছি। সত্যিই কি এমন ঘটনা ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে ঘটেছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে? যদি সত্যি হয়, তাহলে ন্যক্কারজনক। সত্য উদ্‌ঘাটন করা দরকার। মানুষের দুই রকম মৃত্যু হয়, শারীরিক মৃত্যু ও মানসিক মৃত্যু। আমাদের ফিল্মের অবস্থাও তা-ই হয়েছে। আমি মনে করি, সবার আগে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। শিল্পীদের মানুষ অন্ধের মতো ভালোবাসে। চোখ বুঝে ফ্যান হয়ে যায়। শিল্পীর নামে নিজের ছেলে- মেয়ের নাম রাখে। শিল্পীর কাজকে ভালোবেসেই মানুষ তাদের ওই উচ্চতায় রাখে। তাই ব্যক্তিগত ভেদাভেদে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে কলুষিত করা ঠিক নয়। জীবদ্দশায় কেউ যদি মরে যায়, তাহলে তো সমস্যা বাড়বেই। 

ইলিয়াস-কাঞ্চনআগামী সভায় সানীর অভিযোগ নিয়ে কথা হবে
—ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি চিত্রনায়ক ওমর সানীর অভিযোগের চিঠি হাতে পেয়েছি। আগামী সভায় সানীর লিখিত অভিযোগ নিয়ে কথা হবে। সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্যরা মিলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।  আমাদের কাছে নানা রকমের চিঠি আসে। সেগুলো আমরা জমা রাখি। প্রতি মাসের যে মিটিং হয়, সেগুলোতে গুরুত্ব অনুযায়ী সামনে আনা হয়। সানীর এই অভিযোগের চিঠি নিয়েও সেভাবেই কথা বলা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সভায় বসার চেষ্টা করব। তবে, আমি মনে করি শিল্পীদের এ ধরনের বিবাদ এড়িয়ে চলা উচিত।

রোজিনাশিল্পী হিসেবে লজ্জা পাচ্ছি
— রোজিনা, অভিনেত্রী

এখনকার শিল্পীদের কর্মকাণ্ডে লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাচ্ছে। নানা ঘটনা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দিন দিন শিল্পীদের ইমেজ তলানিতে এসে নামছে। ইমেজ উদ্ধারের চেষ্টা না করে ক্রমাগত আরও নিজেদের মান-সম্মান খোয়াতে ব্যস্ত অনেকেই। একসময় শিল্পীদের সাধারণ মানুষ কোথায় রাখত আর এখন কোথায় রাখছে! কতিপয় লোকের স্বার্থের জন্য পুরো শিল্পীসমাজের দিকে আঙুল তুলছে মানুষ। এভাবে ইমেজ হারাতে থাকলে তো দর্শকেরা দেশের সিনেমাই দেখবে না। সিনেমার ভবিষ্যৎ শেষ। আমার অনুরোধ, দয়া করে এগুলো থামান। নিজেদের আর নিচে নামাবেন না। আমরা অনেক কষ্টে নিজেদের ইমেজ তৈরি করেছি। সেটা আর মাটিয়ে মিশিয়ে দেবেন না।

কাজী-হায়াতঅসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না
—কাজী হায়াৎ, পরিচালক

একজন শিল্পী হবেন সুন্দর মনের মানুষ। শিল্পের অলংকার। কিন্তু যা ঘটছে, সেটা অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু না। থাপ্পড়, মারামারি, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, পিস্তল বের করা—সব মিলিয়ে এটাকে অসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না। এরা কেউই কাজের লোক না, পিঠ চুলকানোই এদের স্বভাব। পরশ্রীকাতরতায় ভরা। আর যার জীবনে সাকসেস না থাকে, সে পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। অন্যের সফলতাকে সে হজম করতে পারে না। এই হচ্ছে এখনকার সমস্যা। শিল্পে  পরশ্রীকাতরতা থাকবে। কিন্তু শালীনতা বজায় রাখতে হবে। এডুকেশনলেস পিপলদের কাছ থেকে পরশ্রীকাতরতা ভিন্নভাবে বেরিয়ে আসে। চড় ও পিস্তলকাণ্ডে সেটাই ঘটেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত