Ajker Patrika

হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ০৫
হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে গত ১২ নভেম্বর মামলা করলেও বিষয়টি প্রকাশ পায় গতকাল বৃহস্পতিবার। মামলায় আসামি করা হয় চারজনকে।

আসামিরা হলেন-মালাকোচা এলাকার দুই ভাই আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন এবং মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল।

জানা গেছে, ফসল রক্ষার্থে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় সোনাঝুঁড়ির এক টিলায় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের লাইন তৈরি করে জিআই তারে সংযোগ দেয় স্থানীয় কৃষকেরা। রাতে হাতির দল খাবার সন্ধানে আসলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় একটি বন্য হাতি।

এর আগেও এই এলাকায় একাধিক সময় হাতি হত্যার ঘটনা ঘটলেও এবারই প্রথম হাতি হত্যায় মামলা করে বন বিভাগ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ ধারায় চারজনের নামে গত ১২ নভেম্বর বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে মালাকোচা এলাকার দুই ভাই আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন এবং মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল।

বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও মামলার বাদী রবিউল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বিচারে বনভূমি দখল করে চাষাবাদ করায় হাতি লোকালয়ে এসে পড়ছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারছি না। হাতি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেরপুরে এই প্রথম মামলা করা হয়েছে। প্রথমে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে ১২ নভেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের ট্রেইনার আদনান আসিফ বলেন, ২০-৩০ বছর আগে গারো পাহাড়ের বিরাট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল। ধীরে ধীরে তা সংকুচিত হয়ে এসেছে। অবশিষ্ট আছে শুধু হাতি। মানুষ এ বনে অনুপ্রবেশকারী। অনুপ্রবেশকারীদের আধিক্যের কারণে পাহাড়ে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ বন্যপ্রাণী এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, কাগজ পাওয়া মাত্রই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত