মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হারিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু খেজুরের রস। এখন আর দেখা মেলে না শীতের শুরুতে খেজুরের রস আহরণে গাছিদের তোড়জোড়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামীণ জনপদে শীতের উৎসব শুরু হতো খেজুরগাছের রস দিয়ে। গাছিদের খেজুরগাছ কাটার ধুম পড়ে যেত। বিশেষ কায়দায় গাছের ছাল তুলে রস সংগ্রহের উপযোগী করে তোলা হয়। পরে হাঁড়ি বসিয়ে রস সংগ্রহ করা হতো।
ওই রস থেকে গুড় তৈরি করে তা বিক্রি হতো হাট-বাজারে। কেউ কাঁচা রস কিনে নিতেন গাছিদের কাছ থেকে। খেজুরের গুড়ের গন্ধে তখন গ্রামীণ জনপদ ছিল ভরপুর। বাড়ি বাড়ি পিঠা-পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ত। পিঠাপুলি পাঠানো হতো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। তবে বোরহানউদ্দিনের গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র এখন আর নেই। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে খেজুরগাছ ও রস। ব্যাপক হারে খেজুরগাছ কেটে ফেলায় গাছশূন্য হয়ে যাচ্ছে বোরহানউদ্দিন।
উপজেলায় ১০ বছর আগেও শত শত খেজুরগাছ থাকলেও এখন ১০ গ্রাম ঘুরে ১০টি খেজুরগাছ পাওয়া দুরূহ। সে সময় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় উৎপাদনে ব্যস্ততা দেখা যেত এই অঞ্চলের কিষান-কিষানিদের। বাজারে খেজুরের গুড় পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কুতবা ইউনিয়নের সিরাজ মিয়া জানান, ১২ বছর আগেও তাঁদের বাড়ির আঙিনায় ও মাঠে ২৫টি খেজুরগাছ ছিল। এখন তা আর নেই।
একই গ্রামের তৈয়ব সিকদার বলেন, ‘মাঠে ৫০টি খেজুরগাছ ছিল। গাছ থেকে সংগ্রহ করা হতো রস। সেই রস থেকে গুড়-পাটালি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হতো।’
পক্ষিয়া ইউনিয়নের মানিক হাওলাদার বলেন, ‘সাত-আট বছর আগেও ১০টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ হতো ৪০-৪৫ কেজি। আর এ বছর রস সংগ্রহের ইচ্ছা থাকলেও গাছ নেই।’
এদিকে কাচিয়া, পক্ষিয়া, সাচরাসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে একই অবস্থা দেখা গেছে। শীতের মৌসুম চলছে, কিন্তু দেখা মিলছে না গাছিদের। তাঁরা জানান, একসময় খেজুরের রস বিক্রি হতো প্রতি কেজি ৮-১০ টাকা। বর্তমানে তা ৮০-৯০ টাকা। অনেক জায়গায় ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মাটি খেজুরগাছ চাষের উপযোগী। তাই সরকারি ও বেসরকারিভাবে খেজুরগাছ চাষে সহায়তা করা হলে আবারও দেখা মিলবে খেজুরের রস ও গুড়ের। একাধিক চাষিরা জানান, ‘রস-গুড় উৎপাদন করে লাভবান হতে না পেরে সরে যাচ্ছেন গাছিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে অনেকে পেঁপে, কলা, বেগুন, বরই ও আমবাগান গড়ে তুলেছেন। তবে বোরহানউদ্দিনবাসীর দাবি, খেজুরের রস-গুড় বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করা গেলে আবার ফিরে আসবে অতীত ঐতিহ্য।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হারিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু খেজুরের রস। এখন আর দেখা মেলে না শীতের শুরুতে খেজুরের রস আহরণে গাছিদের তোড়জোড়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামীণ জনপদে শীতের উৎসব শুরু হতো খেজুরগাছের রস দিয়ে। গাছিদের খেজুরগাছ কাটার ধুম পড়ে যেত। বিশেষ কায়দায় গাছের ছাল তুলে রস সংগ্রহের উপযোগী করে তোলা হয়। পরে হাঁড়ি বসিয়ে রস সংগ্রহ করা হতো।
ওই রস থেকে গুড় তৈরি করে তা বিক্রি হতো হাট-বাজারে। কেউ কাঁচা রস কিনে নিতেন গাছিদের কাছ থেকে। খেজুরের গুড়ের গন্ধে তখন গ্রামীণ জনপদ ছিল ভরপুর। বাড়ি বাড়ি পিঠা-পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ত। পিঠাপুলি পাঠানো হতো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। তবে বোরহানউদ্দিনের গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র এখন আর নেই। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে খেজুরগাছ ও রস। ব্যাপক হারে খেজুরগাছ কেটে ফেলায় গাছশূন্য হয়ে যাচ্ছে বোরহানউদ্দিন।
উপজেলায় ১০ বছর আগেও শত শত খেজুরগাছ থাকলেও এখন ১০ গ্রাম ঘুরে ১০টি খেজুরগাছ পাওয়া দুরূহ। সে সময় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় উৎপাদনে ব্যস্ততা দেখা যেত এই অঞ্চলের কিষান-কিষানিদের। বাজারে খেজুরের গুড় পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কুতবা ইউনিয়নের সিরাজ মিয়া জানান, ১২ বছর আগেও তাঁদের বাড়ির আঙিনায় ও মাঠে ২৫টি খেজুরগাছ ছিল। এখন তা আর নেই।
একই গ্রামের তৈয়ব সিকদার বলেন, ‘মাঠে ৫০টি খেজুরগাছ ছিল। গাছ থেকে সংগ্রহ করা হতো রস। সেই রস থেকে গুড়-পাটালি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হতো।’
পক্ষিয়া ইউনিয়নের মানিক হাওলাদার বলেন, ‘সাত-আট বছর আগেও ১০টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ হতো ৪০-৪৫ কেজি। আর এ বছর রস সংগ্রহের ইচ্ছা থাকলেও গাছ নেই।’
এদিকে কাচিয়া, পক্ষিয়া, সাচরাসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে একই অবস্থা দেখা গেছে। শীতের মৌসুম চলছে, কিন্তু দেখা মিলছে না গাছিদের। তাঁরা জানান, একসময় খেজুরের রস বিক্রি হতো প্রতি কেজি ৮-১০ টাকা। বর্তমানে তা ৮০-৯০ টাকা। অনেক জায়গায় ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মাটি খেজুরগাছ চাষের উপযোগী। তাই সরকারি ও বেসরকারিভাবে খেজুরগাছ চাষে সহায়তা করা হলে আবারও দেখা মিলবে খেজুরের রস ও গুড়ের। একাধিক চাষিরা জানান, ‘রস-গুড় উৎপাদন করে লাভবান হতে না পেরে সরে যাচ্ছেন গাছিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে অনেকে পেঁপে, কলা, বেগুন, বরই ও আমবাগান গড়ে তুলেছেন। তবে বোরহানউদ্দিনবাসীর দাবি, খেজুরের রস-গুড় বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করা গেলে আবার ফিরে আসবে অতীত ঐতিহ্য।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪