রহমান মৃধা
ছোটবেলা থেকেই সবার মনে চেতনা জাগে—এটা হব, সেটা করব ইত্যাদি। চেতনা ধরে রেখে বড় হতে পারা একটি কঠিন কাজ। পারিপার্শ্বিকতাসহ নানা ধরনের বাধাবিঘ্ন চলমান জীবনের গতিতে এসে চেতনাকে সহজ-সরলভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। তারপরও যদি চেতনা তীব্র আকারে মনে-প্রাণে ও ধ্যানে থাকে, তবে সেই চেতনার সফলতা আনা সম্ভব। যদি এমনটি হয়—সাধ জেগেছে কিন্তু চেষ্টা নেই, তখন ভাগ্যের ওপর আমরা নিজেদের ন্যস্ত করি আর ভাবি, ভাগ্যে থাকলেই হবে। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকলে অনেক কিছু করা, অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব।
আমি একজন ছোটখাটো উদ্ভাবক, মাঝেমধ্যে টুকটাক কিছু উদ্ভাবন করি, কিন্তু বড় কিছু করার স্বপ্নটা এখনো আছে। কয়েক দিন ধরে উদ্ভাবনের অতি সাধারণ কিছু ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। যেমন—সুইডেনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কিয়স্ক (Kiosk) নামে একধরনের দোকান আছে। এসব দোকানে দরকারি ছোটখাটো সব জিনিসই পাওয়া যায়। ইদানীং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেকে কোনো কর্মচারী ছাড়াই দোকানগুলো চালান।
আমরা যে শহরে থাকি, তার বাইরে চমৎকার একটি জায়গা আছে। বেশ পর্যটকের আনাগোনা সেখানে। সাগরের সঙ্গে পাহাড়। তারপর পার্কজুড়ে রয়েছে প্রচুর গাছপালা। হাঁটতে, ঘুরতে বা বিনোদন করতে এর জুড়ি নেই। অনেকে পিকনিক করার জন্য ঝুড়ি ভরে ফল, পানীয়সহ খাবার এনে সারা দিন সেখানে ছুটির সময়টা কাটায়। তা ছাড়া, জঙ্গলের মধ্যে আশপাশে কিচ্ছু কেনার উপায় নেই। প্রিয়জনকে একগুচ্ছ ফুল কিনে দেবেন, তারও সুযোগ নেই। তাই সবকিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সেখানে গেলে।
হাজার তরুণ, হাজার প্রেমিকসহ আমার মতো অনেকেই সেখানে আসা-যাওয়া করে। তবে কেউ এর আগে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হতে পারেনি, যা হয়েছে একজন অতি সাধারণ ছেলে। সে সেখানে একটি ছোট্ট ঘর করেছে, যেখানে জানালা-দরজা কিছুই নেই। দেখতে অবিকল টাকা তোলার একটি মেশিনের মতো। তবে সাইজে ঘরটি বেশ বড়। বাইরে ডিসপ্লেতে লেখা আছে—চা, কফি, পানীয়, পিৎজা, বার্গার সবই পাওয়া যায় এখানে। মেশিনের সামনে মেন্যু রয়েছে।অর্ডার করে কার্ড মেশিনে ঢোকালে বিল কেটে নেয়, রসিদ দেয়, মিনিট দুই পর ডিসপ্লের পাশে একটি জায়গা খুলে যায়। যা অর্ডার করা হয়, ঠিক তা-ই এসে হাজির হয়।
পরে কৌতূহল হলে খোঁজ নিয়ে ছেলেটির সন্ধান পেলাম। যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করেছে। মাঝেমধ্যে গিয়ে যা কিছু দরকার, ঘরের মধ্যে রেখে আসে। বাকি কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ম্যানেজ করে।
বাংলাদেশ ইউটিউবের ব্যবহার করছে যথার্থভাবে। এখন যদি চাহিদাভিত্তিক দিকগুলো নিয়ে কাজ করে, তাহলে অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এ দেশের তরুণ-তরুণীরাও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন। এতে করে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, ঠিক তেমনি নিজেকে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা। এবং সেই ছোটবেলার অনেক চেতনার প্রতিফলন ঘটবে।
‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর।’ তর্ক নয়, বরং অসম্ভবকে সম্ভব করতে শিখুন। একই সঙ্গে দেশের অবকাঠামো মজবুত করুন। সরকারের উচিত হবে এ ধরনের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়ানো। সে ক্ষেত্রে তাঁদের পুঁজি ও প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে হবে।
প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার মনমানসিকতা সৃষ্টি করার এখনই সময়। দেশকে স্মার্ট করতে হলে নিজেকেই আগে স্মার্ট হতে হবে।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
ছোটবেলা থেকেই সবার মনে চেতনা জাগে—এটা হব, সেটা করব ইত্যাদি। চেতনা ধরে রেখে বড় হতে পারা একটি কঠিন কাজ। পারিপার্শ্বিকতাসহ নানা ধরনের বাধাবিঘ্ন চলমান জীবনের গতিতে এসে চেতনাকে সহজ-সরলভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। তারপরও যদি চেতনা তীব্র আকারে মনে-প্রাণে ও ধ্যানে থাকে, তবে সেই চেতনার সফলতা আনা সম্ভব। যদি এমনটি হয়—সাধ জেগেছে কিন্তু চেষ্টা নেই, তখন ভাগ্যের ওপর আমরা নিজেদের ন্যস্ত করি আর ভাবি, ভাগ্যে থাকলেই হবে। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকলে অনেক কিছু করা, অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব।
আমি একজন ছোটখাটো উদ্ভাবক, মাঝেমধ্যে টুকটাক কিছু উদ্ভাবন করি, কিন্তু বড় কিছু করার স্বপ্নটা এখনো আছে। কয়েক দিন ধরে উদ্ভাবনের অতি সাধারণ কিছু ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। যেমন—সুইডেনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কিয়স্ক (Kiosk) নামে একধরনের দোকান আছে। এসব দোকানে দরকারি ছোটখাটো সব জিনিসই পাওয়া যায়। ইদানীং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেকে কোনো কর্মচারী ছাড়াই দোকানগুলো চালান।
আমরা যে শহরে থাকি, তার বাইরে চমৎকার একটি জায়গা আছে। বেশ পর্যটকের আনাগোনা সেখানে। সাগরের সঙ্গে পাহাড়। তারপর পার্কজুড়ে রয়েছে প্রচুর গাছপালা। হাঁটতে, ঘুরতে বা বিনোদন করতে এর জুড়ি নেই। অনেকে পিকনিক করার জন্য ঝুড়ি ভরে ফল, পানীয়সহ খাবার এনে সারা দিন সেখানে ছুটির সময়টা কাটায়। তা ছাড়া, জঙ্গলের মধ্যে আশপাশে কিচ্ছু কেনার উপায় নেই। প্রিয়জনকে একগুচ্ছ ফুল কিনে দেবেন, তারও সুযোগ নেই। তাই সবকিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সেখানে গেলে।
হাজার তরুণ, হাজার প্রেমিকসহ আমার মতো অনেকেই সেখানে আসা-যাওয়া করে। তবে কেউ এর আগে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হতে পারেনি, যা হয়েছে একজন অতি সাধারণ ছেলে। সে সেখানে একটি ছোট্ট ঘর করেছে, যেখানে জানালা-দরজা কিছুই নেই। দেখতে অবিকল টাকা তোলার একটি মেশিনের মতো। তবে সাইজে ঘরটি বেশ বড়। বাইরে ডিসপ্লেতে লেখা আছে—চা, কফি, পানীয়, পিৎজা, বার্গার সবই পাওয়া যায় এখানে। মেশিনের সামনে মেন্যু রয়েছে।অর্ডার করে কার্ড মেশিনে ঢোকালে বিল কেটে নেয়, রসিদ দেয়, মিনিট দুই পর ডিসপ্লের পাশে একটি জায়গা খুলে যায়। যা অর্ডার করা হয়, ঠিক তা-ই এসে হাজির হয়।
পরে কৌতূহল হলে খোঁজ নিয়ে ছেলেটির সন্ধান পেলাম। যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করেছে। মাঝেমধ্যে গিয়ে যা কিছু দরকার, ঘরের মধ্যে রেখে আসে। বাকি কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ম্যানেজ করে।
বাংলাদেশ ইউটিউবের ব্যবহার করছে যথার্থভাবে। এখন যদি চাহিদাভিত্তিক দিকগুলো নিয়ে কাজ করে, তাহলে অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এ দেশের তরুণ-তরুণীরাও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন। এতে করে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, ঠিক তেমনি নিজেকে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা। এবং সেই ছোটবেলার অনেক চেতনার প্রতিফলন ঘটবে।
‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর।’ তর্ক নয়, বরং অসম্ভবকে সম্ভব করতে শিখুন। একই সঙ্গে দেশের অবকাঠামো মজবুত করুন। সরকারের উচিত হবে এ ধরনের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়ানো। সে ক্ষেত্রে তাঁদের পুঁজি ও প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে হবে।
প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার মনমানসিকতা সৃষ্টি করার এখনই সময়। দেশকে স্মার্ট করতে হলে নিজেকেই আগে স্মার্ট হতে হবে।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫