Ajker Patrika

রাজাপুরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে আবাসিক ভবন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১২: ২৭
রাজাপুরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে আবাসিক ভবন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে দালানকোঠা। প্রবাসী ও ব্যবসায়ীরা শহরে জমি কিনে গড়ছেন বহুতল ভবন। ভবনমালিকেরা চলাচলের রাস্তা একেবারে সরু করে ফেলছেন। এতে অ্যাম্বুলেন্স বা অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের কোনো ব্যবস্থা থাকছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাপুর শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। তবে দীর্ঘদিন খননের অভাবে খালটি মৃতপ্রায়। খালের দুই পাড় দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন, দোকান। ফলে বর্ষা মৌসুমে খালে থাকে না পানি। এদিকে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা সদরের ব্যক্তিমালিকানায় থাকা পুকুরগুলোও ভরাট করা হয়েছে। ফলে শহরের কোনো বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আগুন নেভাতে পানির সংকট দেখা দেয়।

এ ছাড়া ভবনমালিকেরা অপরিকল্পিতভাবে দালানকোঠা গড়ে তুললেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ভাড়াটে বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলছেন টিঅ্যান্ডটি অফিসের দক্ষিণ ও উত্তর পাশের খোলা জায়গা, শহরের একমাত্র খেলার মাঠের পানিনিষ্কাশনের নালা এবং জেলা পরিষদের পুকুরে। এতে ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আবার ভাড়াটেরা ভ্যানচালককে টাকা দিয়ে গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা রাতের আঁধারে জাঙ্গালিয়া নদীর শাখা খালে ফেলছেন। এমনকি উপজেলা সদরের আটটি মুরগির ফার্মের বিষ্ঠা, মুরগির মাংসের দোকানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ওই খালে। এতে খালের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলার কোনো দপ্তরের নেই তদারকি। ফলে সামনের বর্ষা মৌসুমে খেলার মাঠসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। ভোগান্তি বাড়বে বহুগুণে।

জানা গেছে, রাজাপুর সদরে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের বাস। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত ও নিরাপদ বাসস্থান নির্মাণের দাবি পৌরসভাবাসীর।

ভবনমালিক তুহিন, সেলিম ও আফজাল জানান, যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে শহরের ময়লা ও আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় ভাড়াটেরা ভবনের আশপাশেই ময়লা ফেলছেন। শহরের ময়লাও যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। ময়লা ফেলার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ম করা হলে তা মেনে চলা হবে।

এদিকে যত্রতত্র ময়লা ফেলা তা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের। ভুক্তভোগী হালিম মিয়া বলেন, ‘এই পথে চলাচল করি। কিন্তু এতই দুর্গন্ধ যে শ্বাস নেওয়া যায় না। তা ছাড়া শিশুরাও যাতায়াত করে, তাদেরও নানা সমস্যা হয়। পচা ময়লা থেকে রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।’

রিকশাচালক রিপন হোসেন বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে এই পথে রোজ কয়েকবার যেতে হয়। কিন্তু দুর্গন্ধে শ্বাস নিতে খুব সমস্যা হয়।’

রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ইমরান বলেন, ‘নোংরা বর্জ্য ও দূষিত ময়লার দুর্গন্ধে শ্বাসকষ্ট, পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগ বাতাস ও মশা-মাছির মাধ্যমে ছড়াতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, ‘খোঁজখবর নেওয়া হবে। তবে বর্জ্য ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন। তেমনি অর্থেরও প্রয়োজন ব্যবস্থাপনার জন্য। এ উপজেলায় পৌরসভা নেই, তাই কাজটি করা কঠিন। তবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। আর পরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে পৌর কর্তৃপক্ষ দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত