Ajker Patrika

বিজয়ীর খামারে বিষ প্রতিপক্ষকে দায়

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৪
বিজয়ীর খামারে বিষ প্রতিপক্ষকে দায়

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যানের খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর রোববার এই ঘটনা ঘটলেও গত বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করা হয়। বিষে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল আমিন রুমির লোকজন পুকুর এলাকার তাঁর দুই একর আয়তনের মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করে। এতে পুকুরে থাকা ১০-১২ কেজি ওজনের মাছ মরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত তিন বছর এ পুকুর থেকে কোনো মাছ ধরা হয়নি।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে মনে হয় আমি অনেক বড় পাপ করেছি। আমি এ বিষয়ে প্রথমে মৌখিকভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি পুলিশ পরিদর্শনেও আসেনি। আজ (গতকাল) এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা অলিউল্যাহ বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে এসে দেখি পুকুরে ছোট-বড় সব মাছ মরে ভেসে আছে। পুকুরে অজু করার মতো অবস্থা নেই। প্রথমে এলাকার লোকজন বড় মরা মাছগুলো নিয়ে গেছে। এসব না নিলে পরিবেশ আরও খারাপ হতো।’

ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াসের সমর্থক স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন (৫০) দাবি করেন, সালাম মেম্বারের ছেলে সুজন, একই এলাকার রাজিব, রিপনসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক রাতে ওই পুকুরের পাশে মসজিদ এলাকার সব বাতি বন্ধ করে পুকুরে বিষ ঢেলে চলে যায়।

পুকুরপাড়ের বায়তুল হাবিব জামে মসজিদের মুসল্লি আবদুল্লাহ সৈকত বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে পুকুরে মাছ মরে ভেসে আছে। এখন পচা দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। আমরা এখানে অজু-গোসল করতে পারছি না। পুকুরের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন রুমি বলেন, ‘এ পুকুর নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নেই। মাছ মারার মতো ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে, প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া জানান, এ বিষয়ে মোহাম্মদ ইলিয়াছ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত