Ajker Patrika

হাদিসের আলোকে প্রকৃত ধনী

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১৬: ০৭
হাদিসের আলোকে প্রকৃত ধনী

মানবসন্তান নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিভিন্নভাবে সম্পদ জমা করে। তারা বৈধ ও অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে। কিন্তু যারা এ সম্পদ জমা করে, তারা তা ভোগ করতে পারে না। বরং তার মৃত্যুর পর তার সন্তানসন্ততি এ সম্পদ ব্যবহারে মত্ত থাকে এবং পারিবারিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সম্পদ তখন অর্জনকারীর জন্য পরীক্ষার কারণ হয়ে যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য একটি পরীক্ষার বিষয় আছে, আর আমার উম্মতের পরীক্ষার বিষয় হলো সম্পদ।’ (তিরমিজি) কারণ, আমরা ঊর্ধ্বতন চতুর্থ পুরুষের খবর জানি না। সর্বোচ্চ দাদার খবর জানি, কিন্তু বাবার দাদা বা দাদার দাদা কী করতেন, কোথায় তার কবর আছে, তা-ও জানি না। তাই মানুষ যে সম্পদ রেখে মৃত্যুবরণ করে, তার মালিক সে নয় বরং জীবদ্দশায় যা খরচ করে, দান-সদকা করে, সে তারই মালিক।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদমসন্তান বলে—এটা আমার সম্পদ, ওটা আমার সম্পদ। কিন্তু জেনে রাখো, তোমার কী সম্পদ রয়েছে? তবে হ্যাঁ, তুমি যা দান-সদকার নিমিত্তে খরচ করেছ, খাওয়া-দাওয়া করে শেষ করেছ এবং পোশাকপরিচ্ছদ বানিয়ে পরিধান করেছ, তা-ই কেবল তোমার সম্পদ।’ (তিরমিজি) তিনি আরও বলেন, ‘তিনটি কাজে ব্যয় ছাড়া আদমসন্তান আর কোনো সম্পদের মালিক হতে পারে না। তা হলো, বসবাসের ঘর, লজ্জা নিবারণের পোশাক এবং ক্ষুধা নিবারণের খাদ্য-পানীয়।’ (তিরমিজি)

তাই বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করি, সন্তানদের জন্য অধিক সম্পদ জমা না করে সন্তানকেই সম্পদে পরিণত করি এবং সম্পদের মোহে পতিত না হয়ে অল্পে তুষ্ট হই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার বেশি সম্পদ আছে সে ধনী নয়, বরং যে অল্পে তুষ্ট হয়, সেই প্রকৃত ধনী।’ (বুখারি)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত