এ আর চন্দন, ঢাকা
‘বাংলাদেশের জনগণের সাহসী সংগ্রাম কঠিন সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বীরত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। ...আমি আনন্দের সঙ্গে হাউসকে জানাচ্ছি যে বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে ভারত সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক দেশ এমন স্বীকৃতি দেবে এবং অচিরেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করবে।’ ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় এমন বিবৃতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। (সূত্র: লোকসভার কার্যবিবরণী)
পরদিন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘স্বীকৃতির তিলক বাংলাদেশের ললাটে। বাংলাদেশের আজ বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। সূর্যোদয়কে যাহারা অস্বীকার করে, তাহারা অন্ধ মাত্র, অস্বীকৃতির দৃষ্টিহীনতা সকালের রশ্মিজলকে মিথ্যা করিয়া দিতে পারে না।’
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ঘটনাবহুল। বলা হয়ে থাকে, এ দিন প্রথম দেশ হিসেবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যদিও প্রকৃতপক্ষে ভারতের স্বীকৃতির কয়েক ঘণ্টা আগে ভুটান তারবার্তার মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
ভারতের স্বীকৃতি পেয়েই বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এক তারবার্তায় ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এক ভাষণে ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানান।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ভারতের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। আর যুক্তরাষ্ট্র ভারতে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সান্ধ্যকালীন রিপোর্টে বিষয়টি জানানো হয়। এ দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আটটি দেশের পক্ষে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আবার উত্থাপিত হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয়বারের মতো তাতে ভেটো দেয়। (সূত্র: অবমুক্ত করা মার্কিন নথি)
এদিকে ভারতীয় দুটি ব্রিগেড ও বাংলাদেশ বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন দুই দিন আগেই আখাউড়ায় পাকিস্তানি ২৭ ব্রিগেডের দুর্ভেদ্য ঘাঁটির ওপর যে আক্রমণ শুরু করেছিল, তা সফল হয় ৬ ডিসেম্বর। আখাউড়া শত্রুমুক্ত হয়। মিত্রবাহিনী তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে। (সূত্র: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে)
এ দিন পাকিস্তানি নবম ডিভিশনের সেনারা যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে মাগুরার দিকে পালিয়ে গেলে হানাদারমুক্ত হয় যশোর। এ দিন আরও মুক্ত হয় মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, ফেনী, সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাট।
‘বাংলাদেশের জনগণের সাহসী সংগ্রাম কঠিন সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বীরত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। ...আমি আনন্দের সঙ্গে হাউসকে জানাচ্ছি যে বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে ভারত সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক দেশ এমন স্বীকৃতি দেবে এবং অচিরেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করবে।’ ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় এমন বিবৃতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। (সূত্র: লোকসভার কার্যবিবরণী)
পরদিন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘স্বীকৃতির তিলক বাংলাদেশের ললাটে। বাংলাদেশের আজ বিচলিত হওয়ার কিছু নাই। সূর্যোদয়কে যাহারা অস্বীকার করে, তাহারা অন্ধ মাত্র, অস্বীকৃতির দৃষ্টিহীনতা সকালের রশ্মিজলকে মিথ্যা করিয়া দিতে পারে না।’
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ঘটনাবহুল। বলা হয়ে থাকে, এ দিন প্রথম দেশ হিসেবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যদিও প্রকৃতপক্ষে ভারতের স্বীকৃতির কয়েক ঘণ্টা আগে ভুটান তারবার্তার মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
ভারতের স্বীকৃতি পেয়েই বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এক তারবার্তায় ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এক ভাষণে ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানান।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ভারতের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। আর যুক্তরাষ্ট্র ভারতে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সান্ধ্যকালীন রিপোর্টে বিষয়টি জানানো হয়। এ দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আটটি দেশের পক্ষে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আবার উত্থাপিত হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয়বারের মতো তাতে ভেটো দেয়। (সূত্র: অবমুক্ত করা মার্কিন নথি)
এদিকে ভারতীয় দুটি ব্রিগেড ও বাংলাদেশ বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন দুই দিন আগেই আখাউড়ায় পাকিস্তানি ২৭ ব্রিগেডের দুর্ভেদ্য ঘাঁটির ওপর যে আক্রমণ শুরু করেছিল, তা সফল হয় ৬ ডিসেম্বর। আখাউড়া শত্রুমুক্ত হয়। মিত্রবাহিনী তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে। (সূত্র: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে)
এ দিন পাকিস্তানি নবম ডিভিশনের সেনারা যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে মাগুরার দিকে পালিয়ে গেলে হানাদারমুক্ত হয় যশোর। এ দিন আরও মুক্ত হয় মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, ফেনী, সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাট।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১০ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫