Ajker Patrika

মানবজীবনে পরামর্শের গুরুত্ব

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১৫: ০৭
মানবজীবনে পরামর্শের গুরুত্ব

পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে যখন মানুষ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন তা সমাধানকল্পে পরিবারের সদস্য অথবা বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয়। আর তাঁরা সাধ্যানুযায়ী তা সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সামাজিক কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য সমাজপতিরা অথবা রাষ্ট্রীয় কাজ সম্পাদনের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও তাঁর মন্ত্রীরা পরামর্শ করে থাকেন এবং তাঁরা পারস্পরিক অভিমত পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ফলে পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র উপকৃত হয়। তাই মানবজীবনে পরামর্শের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

মহানবী (সা.) তাঁর মক্কি জীবনে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন এবং মদিনায় হিজরতের পর পরামর্শভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সে কাজের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা তাদের রবের আহ্বানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলি পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পাদন করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা শুরা: ৪২)

পরামর্শ করার পর যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সে ব্যাপারে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। এরপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)

যখন পরামর্শ চাওয়া হয় তখন কল্যাণভিত্তিক পরামর্শ দেওয়া উচিত। কারণ, ইসলামে পরামর্শদাতার মর্যাদা অনেক বেশি। মহানবী (সা.) বলেন, ‘পরামর্শদানকারী ব্যক্তি আমানতদার স্বরূপ।’ (মুসলিম) তিনি আরও বলেন, ‘যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয় সে আমানতদার। কাজেই সে যেন এমনই পরামর্শ দেয়, যা সে নিজের জন্য করত।’ (আল-মুজামুল আওসাত)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত