ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনার ঝুঁকিকে তোয়াক্কা না করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রেললাইনের দু্ই পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। এসব বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র, জামা–কাপড়, জুতা–স্যান্ডেল, বিভিন্ন ফল ও খাবার। সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, শিগগিরই এ বাজার অপসারণে ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রেললাইন দখল করে হরেক রকমের পণ্য সাজিয়ে বিক্রির জন্য বসেছেন দোকানিরা। ভিড় করেছেন ক্রেতারাও। অস্থায়ী বাজারের একপাশে চলছে লেপ–তোশক সেলাইয়ের কাজ। আরেক পাশে সারি দিয়ে বসেছে শীতবস্ত্র ও জুতা–স্যান্ডেলের দোকান। পাশেই আছে সেদ্ধ ডিম, ঝালমুড়ি, ফুচকাসহ ফলের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই ভেড়ামারা রেলস্টেশনের সামনে রেললাইনের ফাঁকা জায়গার ওপর অস্থায়ী এ বাজার বসে। রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত জমজমাট বেচা–কেনা চলে। যখন ট্রেন আসার সংকেত দেওয়া হয় তখন পন্যসামগ্রী নিয়ে সরে পড়েন দোকানিরা। ট্রেন চলে গেলেই আবার ফিরে আসেন। এভাবেই কয়েক বছর ধরে চলছে। বেশ কয়েক বার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে গিয়েছে এখানে।
রেললাইনের অস্থায়ী দোকানদার মজিবর এ বিষয়ে বলেন, ‘এসব পণ্য বিভিন্ন হাটে বিক্রি করি। যেদিন হাট থাকে না, সেদিন রেললাইনের ওপর দোকান বসিয়ে বিক্রি করি। ট্রেন আসার আগে সরে যাই। ট্রেন চলে গেলে আবার আসি। এ জায়গা ছাড়া আর কোথাও বসার জায়গা নেই। অন্যান্য জায়গায় দোকান নিতে অনেক টাকা জামানত লাগে। এত টাকা নেই আমার। প্রশাসন ও পৌরসভা যদি আমাদের মতো গরিবদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেন তাহলে ভালো হতো।’
মতিয়ার রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘স্থায়ী বাজারের থেকে এখানে স্বল্প মূল্যে জিনিস পাওয়া যায়, তাই এ বাজার থেকে কিনতে এসেছি।’ ট্রেন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ভেড়ামারা বাস স্ট্যান্ডের পানের দোকানদার নাজমুল হক বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাত থেকে আটজনকে টেনে ধরে বা ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়া থেকে বাঁচিয়েছি। তা ছাড়া প্রতিদিনই চিৎকার চেঁচামেচি করে এ বাজারের ক্রেতা–বিক্রেতাদের সরে যেতে সতর্ক করা হয়। একটু অসতর্ক হলেই যেকোনো মুহূর্তেই প্রাণহানি ঘটতে পারে।’
ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, ‘রেল লাইনের ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী বাজার বসার বিষয়টি আমি জানি। এর আগে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বাজার উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু আবার বসা শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এখানে যারা দোকান দেন তাঁরা খুবই দরিদ্র। রেলস্টেশনের পাশে পৌরসভার নির্মাণ করা নতুন মার্কেট রয়েছে। সেখানে এ অস্থায়ী বাজারের দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে। এতে সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত রেললাইনর ওপর এভাবে বাজার বসলে তা দিন দিন বাড়তে থাকবে এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিম অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘অস্থায়ী বাজার বসার বিষয়টি আমাদের নজরে আসলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দোকানদারদের সরিয়ে দিই। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ লোকজন এসে যখন-তখন দোকান অস্থায়ী দোকান দেন। এঁদের বিরুদ্ধে সব সময় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। আর এ বিষয়গুলো মূলত স্থানীয় প্রশাসন দেখে থাকে।’
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘পাশেই পৌরসভার বড় মার্কেটে রয়েছে। শিগগিরই এসব ভাসমান ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলকভাবে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এরপর যদি কেউ রেললাইন বা রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার ঝুঁকিকে তোয়াক্কা না করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রেললাইনের দু্ই পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। এসব বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র, জামা–কাপড়, জুতা–স্যান্ডেল, বিভিন্ন ফল ও খাবার। সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, শিগগিরই এ বাজার অপসারণে ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রেললাইন দখল করে হরেক রকমের পণ্য সাজিয়ে বিক্রির জন্য বসেছেন দোকানিরা। ভিড় করেছেন ক্রেতারাও। অস্থায়ী বাজারের একপাশে চলছে লেপ–তোশক সেলাইয়ের কাজ। আরেক পাশে সারি দিয়ে বসেছে শীতবস্ত্র ও জুতা–স্যান্ডেলের দোকান। পাশেই আছে সেদ্ধ ডিম, ঝালমুড়ি, ফুচকাসহ ফলের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই ভেড়ামারা রেলস্টেশনের সামনে রেললাইনের ফাঁকা জায়গার ওপর অস্থায়ী এ বাজার বসে। রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত জমজমাট বেচা–কেনা চলে। যখন ট্রেন আসার সংকেত দেওয়া হয় তখন পন্যসামগ্রী নিয়ে সরে পড়েন দোকানিরা। ট্রেন চলে গেলেই আবার ফিরে আসেন। এভাবেই কয়েক বছর ধরে চলছে। বেশ কয়েক বার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে গিয়েছে এখানে।
রেললাইনের অস্থায়ী দোকানদার মজিবর এ বিষয়ে বলেন, ‘এসব পণ্য বিভিন্ন হাটে বিক্রি করি। যেদিন হাট থাকে না, সেদিন রেললাইনের ওপর দোকান বসিয়ে বিক্রি করি। ট্রেন আসার আগে সরে যাই। ট্রেন চলে গেলে আবার আসি। এ জায়গা ছাড়া আর কোথাও বসার জায়গা নেই। অন্যান্য জায়গায় দোকান নিতে অনেক টাকা জামানত লাগে। এত টাকা নেই আমার। প্রশাসন ও পৌরসভা যদি আমাদের মতো গরিবদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেন তাহলে ভালো হতো।’
মতিয়ার রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘স্থায়ী বাজারের থেকে এখানে স্বল্প মূল্যে জিনিস পাওয়া যায়, তাই এ বাজার থেকে কিনতে এসেছি।’ ট্রেন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ভেড়ামারা বাস স্ট্যান্ডের পানের দোকানদার নাজমুল হক বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাত থেকে আটজনকে টেনে ধরে বা ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়া থেকে বাঁচিয়েছি। তা ছাড়া প্রতিদিনই চিৎকার চেঁচামেচি করে এ বাজারের ক্রেতা–বিক্রেতাদের সরে যেতে সতর্ক করা হয়। একটু অসতর্ক হলেই যেকোনো মুহূর্তেই প্রাণহানি ঘটতে পারে।’
ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, ‘রেল লাইনের ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী বাজার বসার বিষয়টি আমি জানি। এর আগে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বাজার উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু আবার বসা শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এখানে যারা দোকান দেন তাঁরা খুবই দরিদ্র। রেলস্টেশনের পাশে পৌরসভার নির্মাণ করা নতুন মার্কেট রয়েছে। সেখানে এ অস্থায়ী বাজারের দোকানদারদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে। এতে সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত রেললাইনর ওপর এভাবে বাজার বসলে তা দিন দিন বাড়তে থাকবে এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিম অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘অস্থায়ী বাজার বসার বিষয়টি আমাদের নজরে আসলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দোকানদারদের সরিয়ে দিই। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ লোকজন এসে যখন-তখন দোকান অস্থায়ী দোকান দেন। এঁদের বিরুদ্ধে সব সময় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। আর এ বিষয়গুলো মূলত স্থানীয় প্রশাসন দেখে থাকে।’
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকার বলেন, ‘পাশেই পৌরসভার বড় মার্কেটে রয়েছে। শিগগিরই এসব ভাসমান ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলকভাবে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এরপর যদি কেউ রেললাইন বা রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪