Ajker Patrika

বয়োবৃদ্ধদের সেবাযত্ন

ড. মুহাম্মদ ইউছুফ
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৫০
বয়োবৃদ্ধদের সেবাযত্ন

মা-বাবার সেবাযত্ন ও দেখভাল করা সন্তানের জন্য ফরজ। তাঁদের প্রতি কোনো ধরনের অবহেলাই ইসলাম অনুমোদন করে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মা-বাবার সেবার প্রতি জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে বার্ধক্যের সময় তাঁদের যাতে কোনো ধরনের কষ্ট পেতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনার প্রভু এই বলে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। তাঁদের একজন বা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তুমি তাঁদের বিরক্তিসূচক কোনো শব্দ বলবে না এবং তাঁদের ভর্ৎসনাও করবে না। বরং তাঁদের সঙ্গে সম্মানসূচক নম্র কথা বলবে। দয়াপরবশ হয়ে তাদের প্রতি সর্বদা বিনয়ী থাকবে এবং সর্বদা তাদের জন্য এই দোয়া করবে যে, “হে আমার প্রভু, আপনি তাঁদের প্রতি দয়া করুন—যেমনিভাবে শৈশবে তাঁরা আমার প্রতি অশেষ দয়া করে আমাকে লালন-পালন করেছেন”।’ (সুরা ইসরা/ ২৩-২৪)

শুধু মা-বাবাই নন, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে যাঁরাই বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন, তাঁদের সম্মান এবং সেবাযত্ন করাও প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। এটি প্রবীণদের অধিকার। ইসলাম এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। তাঁদের সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার মতো কোনো আত্মীয়স্বজন না থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্রকে অবশ্যই তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে।

যারা বয়োবৃদ্ধদের সম্মান করবে, তাদের বার্ধক্যেও অন্যরা তাদের সম্মান করবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো যুবক যদি কোনো বৃদ্ধকে তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার বার্ধক্যের সময় তাকে সম্মান করবেন এমন লোক নিয়োজিত রাখবেন।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘বয়স্ক মুসলিম, কোরআনের হকপন্থী ধারকবাহক এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহকে সম্মান করা মহান আল্লাহকে সম্মান করার মতো।’ (আবু দাউদ)

ড. মুহাম্মদ ইউছুফ, অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত