হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি। প্রাথমিক তথ্যে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ওই দিন বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৪০০টি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব কনটেইনারে কী পরিমাণ মালামাল ছিল, তারা এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষেরও জানা নেই। যদিও বিজিএমইএ বলছে, বিস্ফোরণে তাদের তালিকাভুক্ত ৪৪ রপ্তানিকারকের অন্তত ১৫১টি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা এসব মালামালের ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে।
এদিকে বিজিএমইএ ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও এসব মালামালের বিপরীতে কোনো বিমা করেনি মালিক পক্ষ। তাই প্রশ্ন উঠেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের ক্ষতিপূরণ কোন প্রক্রিয়ায় পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ডিপোতে পৌঁছানোর পর সব দায়দায়িত্ব শিপিং এজেন্টের। তাই তারা এটি বহন করবে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শিপিং এজেন্ট কার্গো পরিবহনে যে বিমা করে (মেরিন ইনস্যুরেন্স) ওই বিমার আওতায় এটি পড়ছে না। তাই শিপিং এজেন্টরা বলছে, এ ক্ষতির দায়-দায়িত্ব ডিপো মালিকপক্ষের। কারণ কোনো পণ্য ডিপোতে নেওয়ার পর সেগুলো ডিপো থেকে বের হওয়ার আগপর্যন্ত এগুলোর ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা তাদের দায়িত্ব। যে কারণে এ ক্ষতিপূরণ ডিপো কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।
শিপিং এজেন্ট থেকে ডিপো মালিকপক্ষ দেবে বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকপক্ষ মালামাল লোড-আনলোডের বিষয়ে ডিপো মালিকপক্ষ কোনো বিমা করেনি। তারা কেবল ডিপোর ক্রেনসহ ভারী যন্ত্রপাতির বিপরীতে ৫৭ কোটি টাকার একটি বিমা করেছে।
সাধারণ বিমা প্রধান কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (দাবি বিভাগ) মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগীয় অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য আছে তাতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, বিএম ডিপোর বিমা করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’
এর আগে ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও অন্তত ১৪৬ জন। এ ঘটনায় ডিপোতে থাকা প্রায় ৪০০ কনটেইনারের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
একাধিক আইনজীবীর (বিমা) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘যদি অন্য কোনো চুক্তি না থাকে, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার ডিপো কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বিমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের ম্যানেজার (দায় গ্রহণ ও আইন বিভাগ) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মেরিন ইনস্যুরেন্স পরিবহনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে দায়ভার নেয়। এখন মালামালগুলো যেহেতু ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এটি মেরিন ইনস্যুরেন্সের আওতায় পড়বে না। মালিকপক্ষের সঙ্গে শিপিং এজেন্টের চুক্তি অনুযায়ী পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কে কার থেকে ক্ষতিপূরণ এনে দেবে এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা বায়ারকে (ক্রেতাকে) চিনি। বায়ারের দেশীয় প্রতিনিধি হলো শিপিং এজেন্ট। সেই হিসাবে আমরা শিপিং এজেন্টের কাছেই ক্ষতিপূরণ দাবি করব। এখন তারা কোত্থেকে, কীভাবে ম্যানেজ করবে এটা বায়ার, শিপিং লাইন বুঝবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা শিপিং এজেন্ট থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না।’
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চুক্তি যেভাবেই হোক, যেহেতু মালামালগুলো ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এসব মালামালের ক্ষতিপূরণ ডিপো কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।
এ সম্পর্কে স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ডিপোতে ক্রেনসহ যেসব ভারী যন্ত্রপাতি আছে এগুলোর বিপরীতে ৫৭ কোটি টাকার একটি ঝুঁকি বিমা করা আছে। এটি কোথায় করা হয়েছে তিনি এটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো খোঁজখবর নিচ্ছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি। প্রাথমিক তথ্যে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ওই দিন বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৪০০টি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব কনটেইনারে কী পরিমাণ মালামাল ছিল, তারা এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষেরও জানা নেই। যদিও বিজিএমইএ বলছে, বিস্ফোরণে তাদের তালিকাভুক্ত ৪৪ রপ্তানিকারকের অন্তত ১৫১টি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা এসব মালামালের ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে।
এদিকে বিজিএমইএ ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও এসব মালামালের বিপরীতে কোনো বিমা করেনি মালিক পক্ষ। তাই প্রশ্ন উঠেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের ক্ষতিপূরণ কোন প্রক্রিয়ায় পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ডিপোতে পৌঁছানোর পর সব দায়দায়িত্ব শিপিং এজেন্টের। তাই তারা এটি বহন করবে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শিপিং এজেন্ট কার্গো পরিবহনে যে বিমা করে (মেরিন ইনস্যুরেন্স) ওই বিমার আওতায় এটি পড়ছে না। তাই শিপিং এজেন্টরা বলছে, এ ক্ষতির দায়-দায়িত্ব ডিপো মালিকপক্ষের। কারণ কোনো পণ্য ডিপোতে নেওয়ার পর সেগুলো ডিপো থেকে বের হওয়ার আগপর্যন্ত এগুলোর ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা তাদের দায়িত্ব। যে কারণে এ ক্ষতিপূরণ ডিপো কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।
শিপিং এজেন্ট থেকে ডিপো মালিকপক্ষ দেবে বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকপক্ষ মালামাল লোড-আনলোডের বিষয়ে ডিপো মালিকপক্ষ কোনো বিমা করেনি। তারা কেবল ডিপোর ক্রেনসহ ভারী যন্ত্রপাতির বিপরীতে ৫৭ কোটি টাকার একটি বিমা করেছে।
সাধারণ বিমা প্রধান কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (দাবি বিভাগ) মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগীয় অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য আছে তাতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, বিএম ডিপোর বিমা করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’
এর আগে ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও অন্তত ১৪৬ জন। এ ঘটনায় ডিপোতে থাকা প্রায় ৪০০ কনটেইনারের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
একাধিক আইনজীবীর (বিমা) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘যদি অন্য কোনো চুক্তি না থাকে, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার ডিপো কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বিমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের ম্যানেজার (দায় গ্রহণ ও আইন বিভাগ) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মেরিন ইনস্যুরেন্স পরিবহনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে দায়ভার নেয়। এখন মালামালগুলো যেহেতু ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এটি মেরিন ইনস্যুরেন্সের আওতায় পড়বে না। মালিকপক্ষের সঙ্গে শিপিং এজেন্টের চুক্তি অনুযায়ী পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কে কার থেকে ক্ষতিপূরণ এনে দেবে এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা বায়ারকে (ক্রেতাকে) চিনি। বায়ারের দেশীয় প্রতিনিধি হলো শিপিং এজেন্ট। সেই হিসাবে আমরা শিপিং এজেন্টের কাছেই ক্ষতিপূরণ দাবি করব। এখন তারা কোত্থেকে, কীভাবে ম্যানেজ করবে এটা বায়ার, শিপিং লাইন বুঝবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা শিপিং এজেন্ট থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না।’
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চুক্তি যেভাবেই হোক, যেহেতু মালামালগুলো ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এসব মালামালের ক্ষতিপূরণ ডিপো কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।
এ সম্পর্কে স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ডিপোতে ক্রেনসহ যেসব ভারী যন্ত্রপাতি আছে এগুলোর বিপরীতে ৫৭ কোটি টাকার একটি ঝুঁকি বিমা করা আছে। এটি কোথায় করা হয়েছে তিনি এটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো খোঁজখবর নিচ্ছি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫