Ajker Patrika

সফল ব্যবহারে ভারতের পরই বাংলাদেশ

ভানু গোপাল রায়, ঢাকা
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ১৭
সফল ব্যবহারে ভারতের পরই বাংলাদেশ

যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এই কথার যেমন ভিত্তি নেই, তেমনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত—কথাটাও ঠিক নয়! প্রতিষেধক আবিষ্কারের পর যক্ষ্মা রোগীর বেঁচে যাওয়ার মতো আউট হওয়ার পরও ডিআরএসের কল্যাণে ‘জীবন’ পাচ্ছেন ব্যাটাররা; কিংবা আবেদন নাকচ হওয়ার পরও ডিআরএস উইকেট পাইয়ে দিচ্ছে বোলারদের।

প্রযুক্তির এই ব্যবহার আম্পায়ারিং নিয়ে খেলোয়াড় কিংবা সমর্থকদের অসন্তোষ কমিয়েছে। তবে সেটা কি মাঠের আম্পায়ারিংকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলেনি! আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে কোনো পক্ষ চ্যালেঞ্জ করলে রিপ্লে দেখানো হয় মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনেই। সিদ্ধান্ত ভুল হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন আম্পায়াররা। টানা কয়েকটি সিদ্ধান্ত ভুল হয়ে গেলে এমনিতেই যে কারোরই ম্রিয়মাণ হওয়ার কথা। তাই দুই দলের লড়াই পরিচালনায় এসে খোদ আম্পায়ারদেরই লড়তে হচ্ছে যন্ত্রের বিপক্ষে! সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রমাণ দিতে হচ্ছে নিজেদের দক্ষতার। বিশ্বকাপের আম্পায়ারিং প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত তো বলেই ফেললেন, ‘ডিআরএসে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এতে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতাটাও মাপা হয়।’

মাত্রই শেষ হওয়া বিশ্বকাপে অবশ্য বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই সঠিক দিয়েছেন আম্পায়াররা। চ্যালেঞ্জ করা ১৭৮টি সিদ্ধান্তই ডিআরএস সঠিক হিসেবে রায় দিয়েছে ১৩৩টিকে। সাফল্যের হার ৭৪.৭২ শতাংশ। ৩ জন আম্পায়ার ভারতের নিতিন মেনন, অস্ট্রেলিয়ার পল উইলসন ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়ার্ফ তো শতভাগই সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। টুর্নামেন্টের ১৬ আম্পায়ারের ৮ জন ৭০-৯৩ শতাংশ সঠিক হয়েছে। এই আটজনের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের সৈকতও। চ্যালেঞ্জ করা তাঁর ১০ সিদ্ধান্তের ৭টিই সঠিক হয়েছে। সাফল্যে সবার নিচে দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার হোল্ডস্টোক (৫৪.৫৪%)।

আম্পায়ারদের মতোই সিদ্ধান্ত নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকেন অধিনায়কেরাও। কারণ, একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ম্যাচের গতিপ্রকৃতি ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক রিভিউ নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দলগুলোর পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। কোনো দল ৫০ শতাংশও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ৪০ শতাংশ সাফল্য নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শীর্ষে ভারত। রানার্সআপদের পরেই আছে বাংলাদেশ। সাকিব-শান্তদের সাফল্যের হার ৩৬.৩৬ শতাংশ। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য মাত্র ১৯.০৪ শতাংশ। ১৪.২৮ শতাংশ সাফল্য নিয়ে এই তালিকায় সবার নিচে যৌথভাবে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত