নাটোর প্রতিনিধি
সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার মানবদেহের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দিন দিন। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ার সঙ্গে উৎপাদিত শাকসবজি ভোক্তার ক্রয়ের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই পরিবেশের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে নাটোরে উৎপাদন হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইপিএম প্রকল্পের আওতায় আবাদ হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি।
বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে অন্তত ৫০০ কৃষককে নিয়োজিত করা হয়েছে। সেক্স ফেরোমেন, আঠালো ফাঁদ ও জৈব সার ব্যবহারে ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে উৎপাদনও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ বিভিন্ন শীতকালীন বিষমুক্ত সবজি চাষ হয়েছে ২৪৮ হেক্টর জমিতে। এসব জমি থেকে চার হাজার মেট্রিক টন নিরাপদ এবং বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
নাটোর সদর উপজেলার ফতেঙ্গাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের ভেতরে জমির চারদিকে সবুজ নেট দিয়ে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করেছেন ওই গ্রামের কৃষক ওসমান গণি। কোনো ক্ষতিকর পোকা-মাকড় যাতে বাইরে থেকে আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য জমির পুরোটা ঢেকে দেওয়া হয়েছে নেট দিয়ে। আর এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে নেট হাউস পদ্ধতি। সেই সঙ্গে জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার।
শুধু নেট হাউস নয়, সেক্স ফেরোমেন, আঠালো ফাঁদ আর জৈব কীটনাশক এবং জৈব সার প্রয়োগ করে এই গ্রামের অন্তত ৫০০ কৃষক বিষমুক্ত শিম, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। পরিবেশবান্ধব কৌশলগত পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে উৎপাদন খরচও কমেছে তাঁদের। আর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি সবজিচাষিরা।
নিরাপদ সবজিচাষি ওসমান গণি বলেন, সম্পূর্ণ বিষমুক্ত উপায়ে এই স্কোয়াশ চাষ করেছেন তিনি। উৎপাদনে শতভাগ জৈব সার ব্যবহার করেছেন। সেই সঙ্গে পুরো জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ১৮ শতাংশ জমি থেকে শুরুতেই ২০ মণ স্কোয়াশ বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মণ স্কোয়াশ বাজারে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিংড়ার মধ্যগ্রাম এলাকার কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, বাঁধাকপির চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এই কীটনাশকের পেছনে যে টাকা ব্যয় করতে হতো তাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত। বিক্রির সময় দাম পাওয়া যেত না। জৈব সার ব্যবহারের ফলে এখন উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় মুনাফা কিছুটা কম হলেও লোকসানে পড়তে হয় না।
আলেয়া বেগম নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, এক বিঘা জমিতে শিম বা টমেটো চাষ করতে আগে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এখন জৈব সার, সেক্স ফেরোমেন ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করে সেই কীটনাশকের টাকাটা আর লাগে না। এতে সবজি উৎপাদনের ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ২৫ জন কৃষক নিয়ে একেকটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ জন কৃষকের ১০০ একর জমি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের আওতায় আনা হয়েছে।
সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার মানবদেহের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দিন দিন। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ার সঙ্গে উৎপাদিত শাকসবজি ভোক্তার ক্রয়ের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই পরিবেশের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে নাটোরে উৎপাদন হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইপিএম প্রকল্পের আওতায় আবাদ হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি।
বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে অন্তত ৫০০ কৃষককে নিয়োজিত করা হয়েছে। সেক্স ফেরোমেন, আঠালো ফাঁদ ও জৈব সার ব্যবহারে ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে উৎপাদনও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ বিভিন্ন শীতকালীন বিষমুক্ত সবজি চাষ হয়েছে ২৪৮ হেক্টর জমিতে। এসব জমি থেকে চার হাজার মেট্রিক টন নিরাপদ এবং বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
নাটোর সদর উপজেলার ফতেঙ্গাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের ভেতরে জমির চারদিকে সবুজ নেট দিয়ে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করেছেন ওই গ্রামের কৃষক ওসমান গণি। কোনো ক্ষতিকর পোকা-মাকড় যাতে বাইরে থেকে আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য জমির পুরোটা ঢেকে দেওয়া হয়েছে নেট দিয়ে। আর এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে নেট হাউস পদ্ধতি। সেই সঙ্গে জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার।
শুধু নেট হাউস নয়, সেক্স ফেরোমেন, আঠালো ফাঁদ আর জৈব কীটনাশক এবং জৈব সার প্রয়োগ করে এই গ্রামের অন্তত ৫০০ কৃষক বিষমুক্ত শিম, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। পরিবেশবান্ধব কৌশলগত পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে উৎপাদন খরচও কমেছে তাঁদের। আর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি সবজিচাষিরা।
নিরাপদ সবজিচাষি ওসমান গণি বলেন, সম্পূর্ণ বিষমুক্ত উপায়ে এই স্কোয়াশ চাষ করেছেন তিনি। উৎপাদনে শতভাগ জৈব সার ব্যবহার করেছেন। সেই সঙ্গে পুরো জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ১৮ শতাংশ জমি থেকে শুরুতেই ২০ মণ স্কোয়াশ বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মণ স্কোয়াশ বাজারে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিংড়ার মধ্যগ্রাম এলাকার কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, বাঁধাকপির চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এই কীটনাশকের পেছনে যে টাকা ব্যয় করতে হতো তাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত। বিক্রির সময় দাম পাওয়া যেত না। জৈব সার ব্যবহারের ফলে এখন উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় মুনাফা কিছুটা কম হলেও লোকসানে পড়তে হয় না।
আলেয়া বেগম নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, এক বিঘা জমিতে শিম বা টমেটো চাষ করতে আগে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এখন জৈব সার, সেক্স ফেরোমেন ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করে সেই কীটনাশকের টাকাটা আর লাগে না। এতে সবজি উৎপাদনের ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ২৫ জন কৃষক নিয়ে একেকটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ জন কৃষকের ১০০ একর জমি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের আওতায় আনা হয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫