নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে নৌপথে যাত্রীর সংখ্যা ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এবার সেই চাপ বহু গুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর অনেকেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাননি। এবার ঈদযাত্রায় সেই যাত্রীরা যেমন থাকবেন, সেই সঙ্গে সড়কপথের বিপত্তি এড়াতে আরও অনেকে বেছে নেবেন নৌপথ। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে নতুনের ছদ্মবেশে আনফিট নৌযান নদীতে নামানোর পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। এসব নৌযানের কারণে কালবৈশাখীর এই সময়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পুরোনো লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি নন লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘পুরোনো লঞ্চ রং দিয়ে নামানো হয়, এসব বাজে কথা। ঈদের সময় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে না।’
মালিক সংগঠনের এই নেতা বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও ফরাশগঞ্জ, ওয়াইজঘাট, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচরসহ বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে আনফিট লঞ্চে রঙের প্রলেপ দিয়ে নতুনের মতো ঝলমলে করে তোলা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সদরঘাট থেকে দেশের ৪৩টি নৌ-রুটে স্বাভাবিক সময়ে ৮০টির মতো লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের সময় তা বেড়ে ২০০ থেকে ২১০টি চলাচল করবে। এই সুযোগে আনফিট লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করে থাকেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেকেই এখন লঞ্চ ব্যবসায় আসছে। কিন্তু লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয় না। লঞ্চ যখন বানায় সেটা কীভাবে বানানো হচ্ছে সেটা দেখা হয় না। শুধু একটা সার্টিফিকেট দিলেই হয়ে যায়। এখন টাকা দিয়েও সার্টিফিকেট কিনতে পাওয়া যায়। সুতরাং সব লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তা নেই।’
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনের কাছে যায়। তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ বেছে নেয় নৌপথ। এই হিসাবে প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযানে যাতায়াত করে। এবার মহাসড়কের ভোগান্তি, ঘাটে ফেরিস্বল্পতাসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নৌপথে ঈদযাত্রা করবে।
জাতীয় এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ‘৪০ লাখ যাত্রী সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা নৌ খাতে নেই। এতে লঞ্চের ছাদসহ ডেকে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে। এ কারণে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।’
এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘নদীপথে এবার কালবৈশাখীর শঙ্কা আছে। তাই আনফিট নৌযান যেন না চলতে পারে সে বিষয়ে নজরদারি রাখা দরকার। লঞ্চে বেশি যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে। না হলে নৌযান ঝড়ের কবলে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।’
তবে বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শেখ মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘আনফিট কোনো লঞ্চ নদীবন্দরে ভেড়ার সুযোগ নেই। যেসকল লঞ্চের সার্ভে সনদ নেই তারা ঘাটে লঞ্চই রাখতে পারবে না। তা ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনেরও কোনো সুযোগ নেই।’
বেড়েছে পন্টুন: সদরঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোর জন্য পন্টুনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ওয়াইজঘাট থেকে লালকুঠি পর্যন্ত মোট ২৫টি পন্টুনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনআইডি নিয়ে বিশৃঙ্খলা: এবার লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লঞ্চমালিকদের। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বলেন, ‘এনআইডি সংরক্ষণের বিষয়টির সঙ্গে আমরা একমত নই। ঈদের সময় এত যাত্রী লঞ্চে উঠবে, সবার এনআইডি দেখা এবং সেটি সংরক্ষণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে নৌপথে যাত্রীর সংখ্যা ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এবার সেই চাপ বহু গুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর অনেকেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাননি। এবার ঈদযাত্রায় সেই যাত্রীরা যেমন থাকবেন, সেই সঙ্গে সড়কপথের বিপত্তি এড়াতে আরও অনেকে বেছে নেবেন নৌপথ। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে নতুনের ছদ্মবেশে আনফিট নৌযান নদীতে নামানোর পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। এসব নৌযানের কারণে কালবৈশাখীর এই সময়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পুরোনো লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি নন লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘পুরোনো লঞ্চ রং দিয়ে নামানো হয়, এসব বাজে কথা। ঈদের সময় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে না।’
মালিক সংগঠনের এই নেতা বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও ফরাশগঞ্জ, ওয়াইজঘাট, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচরসহ বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে আনফিট লঞ্চে রঙের প্রলেপ দিয়ে নতুনের মতো ঝলমলে করে তোলা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সদরঘাট থেকে দেশের ৪৩টি নৌ-রুটে স্বাভাবিক সময়ে ৮০টির মতো লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের সময় তা বেড়ে ২০০ থেকে ২১০টি চলাচল করবে। এই সুযোগে আনফিট লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করে থাকেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেকেই এখন লঞ্চ ব্যবসায় আসছে। কিন্তু লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয় না। লঞ্চ যখন বানায় সেটা কীভাবে বানানো হচ্ছে সেটা দেখা হয় না। শুধু একটা সার্টিফিকেট দিলেই হয়ে যায়। এখন টাকা দিয়েও সার্টিফিকেট কিনতে পাওয়া যায়। সুতরাং সব লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তা নেই।’
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদে প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনের কাছে যায়। তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ বেছে নেয় নৌপথ। এই হিসাবে প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযানে যাতায়াত করে। এবার মহাসড়কের ভোগান্তি, ঘাটে ফেরিস্বল্পতাসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নৌপথে ঈদযাত্রা করবে।
জাতীয় এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ‘৪০ লাখ যাত্রী সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা নৌ খাতে নেই। এতে লঞ্চের ছাদসহ ডেকে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে। এ কারণে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।’
এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘নদীপথে এবার কালবৈশাখীর শঙ্কা আছে। তাই আনফিট নৌযান যেন না চলতে পারে সে বিষয়ে নজরদারি রাখা দরকার। লঞ্চে বেশি যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে। না হলে নৌযান ঝড়ের কবলে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।’
তবে বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শেখ মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘আনফিট কোনো লঞ্চ নদীবন্দরে ভেড়ার সুযোগ নেই। যেসকল লঞ্চের সার্ভে সনদ নেই তারা ঘাটে লঞ্চই রাখতে পারবে না। তা ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনেরও কোনো সুযোগ নেই।’
বেড়েছে পন্টুন: সদরঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোর জন্য পন্টুনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। ওয়াইজঘাট থেকে লালকুঠি পর্যন্ত মোট ২৫টি পন্টুনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনআইডি নিয়ে বিশৃঙ্খলা: এবার লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লঞ্চমালিকদের। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বলেন, ‘এনআইডি সংরক্ষণের বিষয়টির সঙ্গে আমরা একমত নই। ঈদের সময় এত যাত্রী লঞ্চে উঠবে, সবার এনআইডি দেখা এবং সেটি সংরক্ষণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪