রহমান মৃধা
গোটা বিশ্বে জলবায়ুর বেশ পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। গরমের সময় ঠান্ডা, আবার ঠান্ডার সময় গরমের ভাব। ঋতুর সময়গুলোও ঠিকমতো কাজ করছে না তাপমাত্রার কারণে। আমাদের ছোটবেলায় বিদ্যুৎ ছিল না। ঝড়, বৃষ্টি, শীত বা গরম যা-ই হোক না কেন, ম্যানেজ করে চলেছি। সরকারকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ ছিল না। প্রযুক্তির যুগও ছিল না যে কিছু একটা লিখে মনের ভাব প্রকাশ করে দায়ভার পালন করব বা কিছু একটা করেছি– এমন ভাব দেখাব, সবকিছু মেনে নিয়েই কিন্তু চলেছি।
পৃথিবী সৃষ্টি এবং পশুপাখি থেকে শুরু করে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে কল্যাণকর, সবকিছুই যে শুধু মানবকল্যাণে তা-ও না, তবে আমরা অনেক কিছুর শ্রেণি বিভক্ত করি; যেমন পশুর মধ্যে গরুকে যেভাবে প্রাধান্য দিই, শূকরকে সেভাবে দিই না, বিশেষ করে আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী।
ইসলাম ধর্মে শূকর খেতে নিষেধ করা হয়েছে, তাই আমরা তার গুণাগুণ বা তা থেকে দূরে থাকতেই অভ্যস্ত। যদিও বিশ্বে শূকরের পরিমাণ অন্যান্য জীবজন্তুর তুলনায় কম নয়, তারপরও আমাদের ঘরে ঘরে গরু-ছাগলের মতো শূকর দেখা যায় না। কথিত রয়েছে, শূকরের নাম উচ্চারণ করলে অজু ভেঙে যায়। অথচ এই পশু সম্পর্কে যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে সঠিক তথ্য জানি, হয়তো অনেকের ধারণা কিছুটা হলেও পাল্টাবে। শূকরের পুরো বর্ণনা দেওয়ার আগে বলতে চাই, মূলত আমরা অতি সহজে সবকিছুতেই একটি সারাংশে উপনীত হই, হোক সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক। এ ধরনের মনমানসিকতা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে রয়েছে। আজ শূকরের জীবনবৃত্তান্ত জানার পর হয়তো আমাদের নৈতিকতার পরিবর্তন না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের সম্পর্কে একটি ধারণা বিবেকে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ শূকর খায়। আমরা শূকর খাই না, তবে এর দ্বারা নানাভাবে উপকৃত হই। যেমন রোগব্যাধি নিরাময়ে এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। শূকরের নাড়ির চর্বি দ্বারা যে ওষুধটি তৈরি হয় (ডাল্টেপারিন বা ফ্রাগমিন, হেপারিন), মানুষ জাতি যখন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়, তখন এ ওষুধটি ব্যবহৃত হয় (যে ইনজেকশনটি প্রাথমিক পর্যায়ে দেওয়া হয়)। শুধু ওষুধ হিসেবে নয়, এর অনেক অর্গান মানুষের দেহের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সাহায্য করছে। যে জন্তুটি সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত, তার অঢেল গুণাগুণ মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ আমরা সেটা কখনো উপলব্ধি করি না!
সুইডেনবাসী শূকরকে অনেক সময় জমিতে ছেড়ে দেয়। দেখা যায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে মাটিতে যে আগাছা রয়েছে তা পরিষ্কার করতে শূকর সক্রিয় ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে সব আগাছার মূল তুলে শূকররা সেগুলো তাদের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। মাটিকে অতিযত্নের সঙ্গে শূকর যেভাবে পরিপাটি করে, সেভাবে আমরা কখনো করতে পারব না। কারণ লাঙল, কোদাল বা ট্রাক্টর যা-ই ব্যবহার করি না কেন, সেটা মাটির বুকে অমানবিক এবং পাষণ্ড নির্যাতন, যা শূকরের মাটি খনন পদ্ধতি না দেখলে বোঝা যাবে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ শূকর রয়েছে যদি তার সঠিক ব্যবহার করা যায়, তবে দেশের ভূমির যেমন উর্বরতা শক্তি বাড়বে, তেমনি মাটি আমাদের পাষণ্ড অত্যাচার থেকে রেহাই পাবে।
আসুন, মাটির প্রতি সচেতন হই। মেশিন বা ট্রাক্টর না ব্যবহার করে শূকরকে চাষাবাদে কাজে লাগান, দেখবেন মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়বে, পৃথিবী ভালো থাকবে, মাটি স্বস্তি পাবে এবং আমরাও ভালো থাকব।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
গোটা বিশ্বে জলবায়ুর বেশ পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। গরমের সময় ঠান্ডা, আবার ঠান্ডার সময় গরমের ভাব। ঋতুর সময়গুলোও ঠিকমতো কাজ করছে না তাপমাত্রার কারণে। আমাদের ছোটবেলায় বিদ্যুৎ ছিল না। ঝড়, বৃষ্টি, শীত বা গরম যা-ই হোক না কেন, ম্যানেজ করে চলেছি। সরকারকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ ছিল না। প্রযুক্তির যুগও ছিল না যে কিছু একটা লিখে মনের ভাব প্রকাশ করে দায়ভার পালন করব বা কিছু একটা করেছি– এমন ভাব দেখাব, সবকিছু মেনে নিয়েই কিন্তু চলেছি।
পৃথিবী সৃষ্টি এবং পশুপাখি থেকে শুরু করে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে কল্যাণকর, সবকিছুই যে শুধু মানবকল্যাণে তা-ও না, তবে আমরা অনেক কিছুর শ্রেণি বিভক্ত করি; যেমন পশুর মধ্যে গরুকে যেভাবে প্রাধান্য দিই, শূকরকে সেভাবে দিই না, বিশেষ করে আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী।
ইসলাম ধর্মে শূকর খেতে নিষেধ করা হয়েছে, তাই আমরা তার গুণাগুণ বা তা থেকে দূরে থাকতেই অভ্যস্ত। যদিও বিশ্বে শূকরের পরিমাণ অন্যান্য জীবজন্তুর তুলনায় কম নয়, তারপরও আমাদের ঘরে ঘরে গরু-ছাগলের মতো শূকর দেখা যায় না। কথিত রয়েছে, শূকরের নাম উচ্চারণ করলে অজু ভেঙে যায়। অথচ এই পশু সম্পর্কে যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে সঠিক তথ্য জানি, হয়তো অনেকের ধারণা কিছুটা হলেও পাল্টাবে। শূকরের পুরো বর্ণনা দেওয়ার আগে বলতে চাই, মূলত আমরা অতি সহজে সবকিছুতেই একটি সারাংশে উপনীত হই, হোক সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক। এ ধরনের মনমানসিকতা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে রয়েছে। আজ শূকরের জীবনবৃত্তান্ত জানার পর হয়তো আমাদের নৈতিকতার পরিবর্তন না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের সম্পর্কে একটি ধারণা বিবেকে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ শূকর খায়। আমরা শূকর খাই না, তবে এর দ্বারা নানাভাবে উপকৃত হই। যেমন রোগব্যাধি নিরাময়ে এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। শূকরের নাড়ির চর্বি দ্বারা যে ওষুধটি তৈরি হয় (ডাল্টেপারিন বা ফ্রাগমিন, হেপারিন), মানুষ জাতি যখন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়, তখন এ ওষুধটি ব্যবহৃত হয় (যে ইনজেকশনটি প্রাথমিক পর্যায়ে দেওয়া হয়)। শুধু ওষুধ হিসেবে নয়, এর অনেক অর্গান মানুষের দেহের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সাহায্য করছে। যে জন্তুটি সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত, তার অঢেল গুণাগুণ মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ আমরা সেটা কখনো উপলব্ধি করি না!
সুইডেনবাসী শূকরকে অনেক সময় জমিতে ছেড়ে দেয়। দেখা যায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে মাটিতে যে আগাছা রয়েছে তা পরিষ্কার করতে শূকর সক্রিয় ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে সব আগাছার মূল তুলে শূকররা সেগুলো তাদের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। মাটিকে অতিযত্নের সঙ্গে শূকর যেভাবে পরিপাটি করে, সেভাবে আমরা কখনো করতে পারব না। কারণ লাঙল, কোদাল বা ট্রাক্টর যা-ই ব্যবহার করি না কেন, সেটা মাটির বুকে অমানবিক এবং পাষণ্ড নির্যাতন, যা শূকরের মাটি খনন পদ্ধতি না দেখলে বোঝা যাবে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ শূকর রয়েছে যদি তার সঠিক ব্যবহার করা যায়, তবে দেশের ভূমির যেমন উর্বরতা শক্তি বাড়বে, তেমনি মাটি আমাদের পাষণ্ড অত্যাচার থেকে রেহাই পাবে।
আসুন, মাটির প্রতি সচেতন হই। মেশিন বা ট্রাক্টর না ব্যবহার করে শূকরকে চাষাবাদে কাজে লাগান, দেখবেন মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়বে, পৃথিবী ভালো থাকবে, মাটি স্বস্তি পাবে এবং আমরাও ভালো থাকব।
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫