Ajker Patrika

কোরবানির পশু যেমন হওয়া চাই

মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২২, ০৯: ৩৯
কোরবানির পশু যেমন হওয়া চাই

কোরবানি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিনে কোরবানি করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত।’ (তিরমিজি) সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি আদায় করা যায়। তবে পশুগুলোর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, মহান আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত পশু শরিয়তের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া চাই। এখানে কোরবানির পশুর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—

উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার মধ্য থেকে যেকোনো পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে। এর মধ্যে উট চান্দ্রমাসের হিসাবে পাঁচ বছর, গরু ও মহিষ দুই বছর এবং ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার এক বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে। অবশ্য ভেড়া ও দুম্বা হৃষ্টপুষ্ট হলে এবং এক বছর বয়সীর মতো দেখালে এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেও কোরবানি করা যাবে। তবে তা ছয় মাসের কম বয়সী হতে পারবে না। একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দিয়ে একজন কোরবানি দিতে পারবে। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ ৭ জন অংশ নিতে পারবে।

কোরবানির পশু সুস্থ হওয়া চাই। সুন্দর ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। বয়স পূর্ণ হয়েছে কি না, তা বিক্রেতার স্বীকারোক্তি এবং পশুর শারীরিক অবস্থা দেখে বিবেচনা করতে হবে। অন্ধ, কানা ও পঙ্গু পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়। জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না—এমন দুর্বল পশুও পরিত্যাজ্য। পশুর কোনো অঙ্গ এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়ে বেশি কাটা হলেও গ্রহণযোগ্য নয়। দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে ঘাস-খাদ্য চিবোতে পারে না বা শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙে গেছে—এমন পশু দিয়েও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তবে বন্ধ্যা পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ।

মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি, মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত