Ajker Patrika

বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট, ফিকে হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন

মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৪৪
বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট, ফিকে হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ ধরে হাওরের মাঠে মাঠে দেখা দিয়েছে নেক ব্লাস্টের প্রকোপ। এতে কৃষকদের বোরো ধান থেকে লাভ করার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সময়মতো ওষুধ ছিটালে সংক্রমণ হওয়া ধানের এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে অষ্টগ্রামে ৭ হাজার ৮০, মিঠামইনে ১ হাজার ২০০ ও ইটনায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-২৮ চাষ করা হয়েছে। এবার শীত দীর্ঘায়িত হওয়ায় এবং আগেভাবে ধান রোপণের কারণে গত এক সপ্তাহে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে হাওরে। প্রাথমিকভাবে অষ্টগ্রামে ১৫০ হেক্টর, মিঠামইনে ২০ হেক্টর ও ইটনায় ৭০০ হেক্টর জমির ধান নেক ব্লাস্টে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কীটনাশক ছিটিয়ে প্রতিরোধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণে ধানের শিষ ভেঙে যায়। বিবর্ণ হয় রং এবং চিটা বেশি হয়। এমনকি ধানগাছ শুকিয়ে যায়। এতে ফসল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, যে সময় ধানের সোনালি শিষ ওজনে ঝুঁকে পড়ার কথা, সে সময় ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ধানের শিষ। ইটনার সোহেলা, ইটনা বড় হাওর, এলেংজুরী, পূর্ব গ্রাম, শিমুলবাঁক, ধনপুর, জয়সিদ্ধি, অষ্টগ্রামের করানী, কলমা, বড় হাওর, ইছাপুর, গায়েলা ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া, চমকপুর, ঢাকীসহ বিভিন্ন হাওরে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। নেক ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে গেছে বেশির ভাগ ধান। তাই চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে নেক ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে হাওরে। কোনোভাবেই এই আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে অন্তত এক হাজার হেক্টর ব্রি ধান-২৮ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘নেক ব্লাস্টে বহু কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই কৃষকদের তালিকা করে সরকারি সহায়তার জন্য গত সমন্বয় সভায় প্রস্তাব করেছি। সরকারকে অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।’

মিঠামইন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, এবার শীত দীর্ঘায়িত হওয়ায় এবং কিছুটা আগেভাগে ব্রি ধান-২৮ রোপণ করায় নেক ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। বেশ পুরোনো জাতের ব্রি ধান-২৮-এর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্বর

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ, খুলনায় পত্রিকা অফিসে আগুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত