Ajker Patrika

হঠাৎ পানিবন্দী লাখো মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৮
হঠাৎ পানিবন্দী লাখো মানুষ

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ প্রচণ্ড গরমে অস্থির। জুলাইয়ের শেষ দিকে তাঁরা বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সেই মুহূর্তে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষ টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও সামুদ্রিক জোয়ারে রাতারাতি পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বছরের ২৫ থেকে ৩১ জুলাইয়ে আকস্মিক ঘটা এই পরিস্থিতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সে সময় কক্সবাজারের ৯ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার ৫১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীসহ আরও কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

প্লাবিত গ্রামগুলোর বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমনের বীজতলা, সবজি খেত, চিংড়ি ঘের ও মৎস্য চাষ প্রকল্প।

এ পরিস্থিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে টেকনাফ, উখিয়া ও মহেশখালীতে পাহাড় ধসে ১৩ জন এবং ঈদগাঁও, উখিয়া ও চকরিয়ায় পানিতে ভেসে গিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়।

তখন অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলম ও কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় সার্বক্ষণিক রান্না করা খাবার ও ত্রাণ সরবরাহ করে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে কাজ করা হয়েছিল। বন্যায় রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ ভেঙে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। দুর্গত এলাকায় মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে এ জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তায় দেওয়া হয়।

বিপদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন তালুকদার বলেন, ‘ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বাঁশখালীর সাংসদ ও শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অসহায়দের সাহায্য করা হয়।’

সে সময় বেশির ভাগ বাড়িতে পানি ওঠায় যাঁদের ত্রাণ প্রয়োজন নেই, তাঁদেরও রান্না করা ও শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির দরকার পড়েছিল। কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আনুমানিক ১০ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল।’

সালতামামির অন্যান্য আয়োজন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত