সম্পাদকীয়
শুক্রবার মতিঝিল এলাকার বাফুফে কার্যালয় সরগরম হয়ে উঠেছিল দলবদলের কারণে, সে খবর পেয়ে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। এ কালের শিশু-কিশোরেরা হয়তো জানেও না, এককালে ফুটবলেই প্রাণ খুঁজে পেত বাংলাদেশের দর্শক। ফুটবলই ছিল ক্রীড়াক্ষেত্রে আলোচনার মূল জায়গা। ক্রিকেট এসে ফুটবলকে হটিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত স্টেডিয়ামে যে উত্তেজনা পরিলক্ষিত হতো, তা ফুটবলকে কেন্দ্র করেই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তো একরৈখিক নয়। নানাভাবে চলেছে সে যুদ্ধ। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন চলেছে যুদ্ধ, তেমনি খেলার মাঠেও খেলোয়াড়েরা অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ দল হিসেবে। সেই ইতিহাস আমাদের ফুটবলের জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেক বড় গর্বের।
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, স্বাধীনতার পর মূলত মোহামেডান, ওয়ান্ডারার্স আর বিআইডিসি দলগুলো ছিল প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের সেরা দল। স্বাধীনতার আগে থেকেই মোহামেডান-ওয়ান্ডারার্সের মধ্যে ছিল মূল প্রতিযোগিতা। সে সময় শিরোপা পাওয়ার জন্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকেও খেলোয়াড় আনা হতো। কালা গফুর, তোরাব আলী, আলী নেওয়াজদের কথা বিশেষভাবে বলা যায়। লিগের পাশাপাশি আগা খান গোল্ড কাপের জৌলুশও ছিল, যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও চলেছে।
কিছুদিনের মধ্যেই আবাহনীর উত্থান ঘটে এবং তারা আধুনিক ফুটবলের হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফুটবলকে। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অতীত গৌরব ম্লান হয়ে আসে, বিআইডিসি এরপর বিজেআইসি হয়ে বিজেএমসিতে পরিণত হয়, তারাও খেলার মাঠে দাপট দেখাতে থাকে।
সে সময় জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ হাজরা, এনায়েত, ক্যাপ্টেন হাফিজ, সালাউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার টিপু, অমলেশ, শান্টুসহ অনেকেই তারকা ফুটবলারে পরিণত হন। নান্নু-মঞ্জু—দুই ভাইকে নিয়ে রীতিমতো পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হতে থাকে। অমলেশ, বাদল রায়, আবদুল গাফফার, হেলালের পথ ধরে মোসাব্বের, আশীষ ভদ্র, সাব্বির, মোনেম মুন্না প্রমুখের উত্থান ক্রীড়ামোদীদের উদ্বেলিত করে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের আবির্ভাবের সঙ্গে মহসিন, বাবুলদের নামটিও যুক্ত হয়ে যায়।
এরপরও কিছুদিন বাংলাদেশের ফুটবল আলো ছড়িয়েছে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে দেশের ক্রীড়ামোদীরা ফুটবল ছেড়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখানে ক্রিকেট নিয়ে লেখা নিরর্থক। আমরা বলতে চাইছি, সেই সেয়ানে-সেয়ানে লড়াইয়ের ফুটবল ম্যাচগুলো এখনকার দর্শকদের আর টানে না। অথচ বিশ্বকাপ ফুটবল বা ইউরোপিয়ান কাপ অথবা কোপা আমেরিকা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়নি ফুটবলপ্রেমীরা। তাহলে দেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহের ঘাটতি কেন এল?
ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ফুটবলকে আকর্ষণীয় করে রাখার মতো কোনো ঘটনার জন্ম হচ্ছে না এখন। বিশ্ব ফুটবলের বিশালতার পাশে আমাদের অর্জন এতটাই কম যে, তাতে আগ্রহ জেগে ওঠে না। যে পরিশ্রম, মেধা আর অনুশীলনের প্রয়োজন আছে, যে মাপের কোচের প্রয়োজন, সর্বোপরি ফুটবলকে ঘিরে বাফুফের যে গতিশীল পরিকল্পনা প্রয়োজন, তা নেই। ফলে নতুন নতুন যেসব ফুটবল দল উঠে এসেছে, তারাও চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে বটে, কিন্তু দর্শক পাচ্ছে না ফুটবল। তারপরও স্মৃতির ওপর ভরসা রেখে বলতে হয়, আবার একটা উন্মাদনা আসুক ফুটবল ঘিরে।
শুক্রবার মতিঝিল এলাকার বাফুফে কার্যালয় সরগরম হয়ে উঠেছিল দলবদলের কারণে, সে খবর পেয়ে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। এ কালের শিশু-কিশোরেরা হয়তো জানেও না, এককালে ফুটবলেই প্রাণ খুঁজে পেত বাংলাদেশের দর্শক। ফুটবলই ছিল ক্রীড়াক্ষেত্রে আলোচনার মূল জায়গা। ক্রিকেট এসে ফুটবলকে হটিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত স্টেডিয়ামে যে উত্তেজনা পরিলক্ষিত হতো, তা ফুটবলকে কেন্দ্র করেই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তো একরৈখিক নয়। নানাভাবে চলেছে সে যুদ্ধ। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন চলেছে যুদ্ধ, তেমনি খেলার মাঠেও খেলোয়াড়েরা অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ দল হিসেবে। সেই ইতিহাস আমাদের ফুটবলের জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেক বড় গর্বের।
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, স্বাধীনতার পর মূলত মোহামেডান, ওয়ান্ডারার্স আর বিআইডিসি দলগুলো ছিল প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের সেরা দল। স্বাধীনতার আগে থেকেই মোহামেডান-ওয়ান্ডারার্সের মধ্যে ছিল মূল প্রতিযোগিতা। সে সময় শিরোপা পাওয়ার জন্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকেও খেলোয়াড় আনা হতো। কালা গফুর, তোরাব আলী, আলী নেওয়াজদের কথা বিশেষভাবে বলা যায়। লিগের পাশাপাশি আগা খান গোল্ড কাপের জৌলুশও ছিল, যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও চলেছে।
কিছুদিনের মধ্যেই আবাহনীর উত্থান ঘটে এবং তারা আধুনিক ফুটবলের হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফুটবলকে। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অতীত গৌরব ম্লান হয়ে আসে, বিআইডিসি এরপর বিজেআইসি হয়ে বিজেএমসিতে পরিণত হয়, তারাও খেলার মাঠে দাপট দেখাতে থাকে।
সে সময় জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ হাজরা, এনায়েত, ক্যাপ্টেন হাফিজ, সালাউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার টিপু, অমলেশ, শান্টুসহ অনেকেই তারকা ফুটবলারে পরিণত হন। নান্নু-মঞ্জু—দুই ভাইকে নিয়ে রীতিমতো পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হতে থাকে। অমলেশ, বাদল রায়, আবদুল গাফফার, হেলালের পথ ধরে মোসাব্বের, আশীষ ভদ্র, সাব্বির, মোনেম মুন্না প্রমুখের উত্থান ক্রীড়ামোদীদের উদ্বেলিত করে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের আবির্ভাবের সঙ্গে মহসিন, বাবুলদের নামটিও যুক্ত হয়ে যায়।
এরপরও কিছুদিন বাংলাদেশের ফুটবল আলো ছড়িয়েছে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে দেশের ক্রীড়ামোদীরা ফুটবল ছেড়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখানে ক্রিকেট নিয়ে লেখা নিরর্থক। আমরা বলতে চাইছি, সেই সেয়ানে-সেয়ানে লড়াইয়ের ফুটবল ম্যাচগুলো এখনকার দর্শকদের আর টানে না। অথচ বিশ্বকাপ ফুটবল বা ইউরোপিয়ান কাপ অথবা কোপা আমেরিকা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়নি ফুটবলপ্রেমীরা। তাহলে দেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহের ঘাটতি কেন এল?
ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ফুটবলকে আকর্ষণীয় করে রাখার মতো কোনো ঘটনার জন্ম হচ্ছে না এখন। বিশ্ব ফুটবলের বিশালতার পাশে আমাদের অর্জন এতটাই কম যে, তাতে আগ্রহ জেগে ওঠে না। যে পরিশ্রম, মেধা আর অনুশীলনের প্রয়োজন আছে, যে মাপের কোচের প্রয়োজন, সর্বোপরি ফুটবলকে ঘিরে বাফুফের যে গতিশীল পরিকল্পনা প্রয়োজন, তা নেই। ফলে নতুন নতুন যেসব ফুটবল দল উঠে এসেছে, তারাও চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে বটে, কিন্তু দর্শক পাচ্ছে না ফুটবল। তারপরও স্মৃতির ওপর ভরসা রেখে বলতে হয়, আবার একটা উন্মাদনা আসুক ফুটবল ঘিরে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫