সম্পাদকীয়
শৈশবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যে রোগ হয়েছিল, তার নাম আঙুলহারা। কীভাবে কী হলো, সেটাই বলা হবে এখন।‘চিলড্রেনস ফ্রেশ এয়ার অ্যান্ড এক্সকারশন সোসাইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন এক ধনবতী নারী। যে মা-বাবারা অর্থের অভাবে নিজ ছেলেমেয়েকে ভ্রমণে নিয়ে যেতে পারেন না, তাদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠান। এর বাংলায়ও একটি নাম ছিল, ‘মুক্ত বায়ু সেবন সমিতি’। মাত্র পাঁচ টাকা দেওয়া হলে এক একটি ছেলে বা মেয়েকে বিহার–ওডিশার কোনো স্বাস্থ্যকর ও দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো।
অসীম দত্ত নামে এক স্কাউট মাস্টার এ রকম ভ্রমণে প্রধান কর্মকর্তা হতেন। ভোর সাড়ে ৫টায় বিছানা ত্যাগ, ৬টায় ড্রিল, এক ঘণ্টা পরে জলখাবার, দুই ঘণ্টা পড়াশোনা, মার্চ করে কোনো দর্শনীয় স্থানে যাওয়া, সাড়ে ১২টায় গোসল, দেড়টায় দুপুরের খাওয়া, এক ঘণ্টা বিশ্রাম, খেলাধুলা, নাশতা, সন্ধ্যায় ক্যাম্পফায়ার।
এই ক্যাম্পফায়ারে প্রত্যেক ছেলেমেয়েকেই অংশ নিতে হতো। মাঝখানে আগুন জ্বেলে কেউ কবিতা পড়ত, কেউ গল্প, কেউ চুটকি ইত্যাদি বলতে থাকত। সবচেয়ে জমে উঠত তখনই, যখন কেউ ভুলে যেত কিংবা ভুল বলত। সুনীল নজরুলের কবিতা ভুলে যাওয়ার ভান করে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেই প্রচুর হাস্যরোল উঠত।
ভ্রমণের সময় নিয়ম করে বাড়িতে দুটো চিঠি লিখতে হতো প্রত্যেককে। একবার অসীম দত্ত সেই চিঠি লেখা মাফ করলেন সুনীলকে। কারণ ওই আঙুলহারা রোগ।কী কারণে কে জানে, সুনীলের আঙুল ফুলে হলুদ হয়ে উঠেছিল। ওটাকেই আঙুলহারা রোগ বলে। একজন হাতুড়ে ডাক্তারকে দিয়ে অপারেশন করানো হয়েছিল, তাতে সুনীলের আঙুলটা বেঁচেছিল বটে, কিন্তু বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। সেটা আর ঠিক হয়নি।
পরে অনেক জ্যোতিষী সুনীলের এই আঙুল দেখে থতমত খেয়েছেন। একজন অবশ্য বলেছেন, বইয়ের ছবিতে এমন আঙুল আছে। তাতে বলা হয়েছে, এই আঙুলের অধিকারীরা খুনি হয়। কিন্তু সুনীল কাউকে খুন করেননি!
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ৯৮-১০০
শৈশবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যে রোগ হয়েছিল, তার নাম আঙুলহারা। কীভাবে কী হলো, সেটাই বলা হবে এখন।‘চিলড্রেনস ফ্রেশ এয়ার অ্যান্ড এক্সকারশন সোসাইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন এক ধনবতী নারী। যে মা-বাবারা অর্থের অভাবে নিজ ছেলেমেয়েকে ভ্রমণে নিয়ে যেতে পারেন না, তাদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠান। এর বাংলায়ও একটি নাম ছিল, ‘মুক্ত বায়ু সেবন সমিতি’। মাত্র পাঁচ টাকা দেওয়া হলে এক একটি ছেলে বা মেয়েকে বিহার–ওডিশার কোনো স্বাস্থ্যকর ও দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো।
অসীম দত্ত নামে এক স্কাউট মাস্টার এ রকম ভ্রমণে প্রধান কর্মকর্তা হতেন। ভোর সাড়ে ৫টায় বিছানা ত্যাগ, ৬টায় ড্রিল, এক ঘণ্টা পরে জলখাবার, দুই ঘণ্টা পড়াশোনা, মার্চ করে কোনো দর্শনীয় স্থানে যাওয়া, সাড়ে ১২টায় গোসল, দেড়টায় দুপুরের খাওয়া, এক ঘণ্টা বিশ্রাম, খেলাধুলা, নাশতা, সন্ধ্যায় ক্যাম্পফায়ার।
এই ক্যাম্পফায়ারে প্রত্যেক ছেলেমেয়েকেই অংশ নিতে হতো। মাঝখানে আগুন জ্বেলে কেউ কবিতা পড়ত, কেউ গল্প, কেউ চুটকি ইত্যাদি বলতে থাকত। সবচেয়ে জমে উঠত তখনই, যখন কেউ ভুলে যেত কিংবা ভুল বলত। সুনীল নজরুলের কবিতা ভুলে যাওয়ার ভান করে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেই প্রচুর হাস্যরোল উঠত।
ভ্রমণের সময় নিয়ম করে বাড়িতে দুটো চিঠি লিখতে হতো প্রত্যেককে। একবার অসীম দত্ত সেই চিঠি লেখা মাফ করলেন সুনীলকে। কারণ ওই আঙুলহারা রোগ।কী কারণে কে জানে, সুনীলের আঙুল ফুলে হলুদ হয়ে উঠেছিল। ওটাকেই আঙুলহারা রোগ বলে। একজন হাতুড়ে ডাক্তারকে দিয়ে অপারেশন করানো হয়েছিল, তাতে সুনীলের আঙুলটা বেঁচেছিল বটে, কিন্তু বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। সেটা আর ঠিক হয়নি।
পরে অনেক জ্যোতিষী সুনীলের এই আঙুল দেখে থতমত খেয়েছেন। একজন অবশ্য বলেছেন, বইয়ের ছবিতে এমন আঙুল আছে। তাতে বলা হয়েছে, এই আঙুলের অধিকারীরা খুনি হয়। কিন্তু সুনীল কাউকে খুন করেননি!
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ৯৮-১০০
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫