টিনের চালার পানি ঘরে পড়ায় কুপিয়ে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় টিনের চালার পানি ঘরে পড়ায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নরসিংদীর পলাশে ভাগনের ছুরিকাঘাতে জখম মামার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আবু বকর (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই মো. সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আবু বকরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
আবু বকরের স্বজন আশরাফুল মিয়া বলেন, আবু বকর এবং সবুজ মিয়া সম্পর্কে চাচাতো ভাই। পাশাপাশি দুটি টিনের ঘরে তাঁদের বসবাস। পাশাপাশি হওয়ায় বৃষ্টি হলে একজনের ঘরের চালার পানি অপরজনের ঘরে পড়ে। কয়েক দিন আগে বৃষ্টি হলে আবু বকরের ঘরের চালার পানি সবুজ মিয়ার ঘরে পড়লে দুই পরিবারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সেই কথা-কাটাকাটির জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে বাজারে যাওয়ার পথে আবু বকর মিয়ার ওপর হামলা করেন সবুজ মিয়া। এতে আবু বকর চিৎকার শুরু করেন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর সবুজ মিয়া পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 
পলাশ (নরসিংদী) : নরসিংদীর পলাশে বোনকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় ভাগনের ছুরির আঘাতে আহত মামা আতাউর রহমান (৩৮) মারা গেছেন। জখম হওয়ার সাত দিন পর গত রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আতাউর উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আতাউরের বোন শেফালি বেগম একই গ্রামের কবির শেখের স্ত্রী। তাঁদের ছেলে নিয়ন শেখ ১৭ এপ্রিল বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে শেফালি বেগমকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বোনকে মারধর করার প্রতিবাদ করেন। এ সময় নিয়ন শেখ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আতাউর রহমানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আতাউর রহমানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, গতকাল সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। পাশাপাশি নিয়ন শেখও পলাতক।