সম্পাদকীয়
রুশ চিকিৎসক ও শারীরতাত্ত্বিক হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ। শরীরের বস্তুবাদী গবেষণার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের আধুনিক রূপান্তরে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ‘সাপেক্ষ প্রতিবর্ত’ ব্যাখ্যাকারী গবেষণা। তিনি প্রত্যেহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রথমে একটি ঘণ্টা বাজাতেন এবং এরপর একটি কুকুরকে খাবার দিতেন। ওই সময় কুকুরটির লালা নিঃসরণ হতো, যা একপ্রকার সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
এরপর তিনি খাবার দেওয়ার সময়ে কেবল ঘণ্টাধ্বনি করতে থাকলেন, কিন্তু খাবার দিলেন না। তিনি দেখলেন, খাবার না দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ঘণ্টাধ্বনি শুনেই কুকুরটির লালা নিঃসরণ ঘটে। এখান থেকেই তিনি সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ধারণায় উপনীত হন।
এভাবে মানুষ, পশুর মস্তিষ্কের সঙ্গে বাইরের উত্তেজকের সম্পর্কের নিয়ম আবিষ্কার ও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার তত্ত্বের ভিত্তিতে আধুনিক মনোবিজ্ঞানে বস্তুবাদী ও আচরণবাদী গবেষণা এবং ব্যাখ্যা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়।
তিনি রাশিয়ার রিয়াজানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন পাদরি। প্রথমে ধর্মীয় বিদ্যায় শিক্ষা শুরু করলেও, ২০ বছর বয়সের আগেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৮৭০ সালে রিয়াজান থিওলজিক্যাল সেমিনারির পাঠ শেষ করেন। এরপর তিনি ১৮৭৫ সালে শারীরবিদ্যা বিষয়ে কৃতকার্য হন এবং চিকিৎসাবিদ্যায় মনোনিবেশ করেন। চিকিৎসক হওয়ার পর তিনি অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ১৮৯০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ কলেজে অধ্যাপনার কাজ পান।
১৯০৪ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। ১৯১৫ সালে তিনি ‘কপলি মেডেল’ জেতেন। ১৯২৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘পাভলভ ইনস্টিটিউট অব ফিজিওলজি অব রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস’। নোবেলজয়ী এই শারীরতাত্ত্বিক ১৯৩৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদে মৃত্যুবরণ করেন।
রুশ চিকিৎসক ও শারীরতাত্ত্বিক হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ। শরীরের বস্তুবাদী গবেষণার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের আধুনিক রূপান্তরে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ‘সাপেক্ষ প্রতিবর্ত’ ব্যাখ্যাকারী গবেষণা। তিনি প্রত্যেহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রথমে একটি ঘণ্টা বাজাতেন এবং এরপর একটি কুকুরকে খাবার দিতেন। ওই সময় কুকুরটির লালা নিঃসরণ হতো, যা একপ্রকার সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
এরপর তিনি খাবার দেওয়ার সময়ে কেবল ঘণ্টাধ্বনি করতে থাকলেন, কিন্তু খাবার দিলেন না। তিনি দেখলেন, খাবার না দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ঘণ্টাধ্বনি শুনেই কুকুরটির লালা নিঃসরণ ঘটে। এখান থেকেই তিনি সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ধারণায় উপনীত হন।
এভাবে মানুষ, পশুর মস্তিষ্কের সঙ্গে বাইরের উত্তেজকের সম্পর্কের নিয়ম আবিষ্কার ও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার তত্ত্বের ভিত্তিতে আধুনিক মনোবিজ্ঞানে বস্তুবাদী ও আচরণবাদী গবেষণা এবং ব্যাখ্যা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়।
তিনি রাশিয়ার রিয়াজানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন পাদরি। প্রথমে ধর্মীয় বিদ্যায় শিক্ষা শুরু করলেও, ২০ বছর বয়সের আগেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৮৭০ সালে রিয়াজান থিওলজিক্যাল সেমিনারির পাঠ শেষ করেন। এরপর তিনি ১৮৭৫ সালে শারীরবিদ্যা বিষয়ে কৃতকার্য হন এবং চিকিৎসাবিদ্যায় মনোনিবেশ করেন। চিকিৎসক হওয়ার পর তিনি অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ১৮৯০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ কলেজে অধ্যাপনার কাজ পান।
১৯০৪ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। ১৯১৫ সালে তিনি ‘কপলি মেডেল’ জেতেন। ১৯২৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘পাভলভ ইনস্টিটিউট অব ফিজিওলজি অব রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস’। নোবেলজয়ী এই শারীরতাত্ত্বিক ১৯৩৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদে মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫