Ajker Patrika

ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ

সম্পাদকীয়
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭: ৩২
ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ

রুশ চিকিৎসক ও শারীরতাত্ত্বিক হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ। শরীরের বস্তুবাদী গবেষণার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের আধুনিক রূপান্তরে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে।

তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ‘সাপেক্ষ প্রতিবর্ত’ ব্যাখ্যাকারী গবেষণা। তিনি প্রত্যেহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রথমে একটি ঘণ্টা বাজাতেন এবং এরপর একটি কুকুরকে খাবার দিতেন। ওই সময় কুকুরটির লালা নিঃসরণ হতো, যা একপ্রকার সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

এরপর তিনি খাবার দেওয়ার সময়ে কেবল ঘণ্টাধ্বনি করতে থাকলেন, কিন্তু খাবার দিলেন না। তিনি দেখলেন, খাবার না দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ঘণ্টাধ্বনি শুনেই কুকুরটির লালা নিঃসরণ ঘটে। এখান থেকেই তিনি সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ধারণায় উপনীত হন।

এভাবে মানুষ, পশুর মস্তিষ্কের সঙ্গে বাইরের উত্তেজকের সম্পর্কের নিয়ম আবিষ্কার ও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার তত্ত্বের ভিত্তিতে আধুনিক মনোবিজ্ঞানে বস্তুবাদী ও আচরণবাদী গবেষণা এবং ব্যাখ্যা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়।

তিনি রাশিয়ার রিয়াজানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন পাদরি। প্রথমে ধর্মীয় বিদ্যায় শিক্ষা শুরু করলেও, ২০ বছর বয়সের আগেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৮৭০ সালে রিয়াজান থিওলজিক্যাল সেমিনারির পাঠ শেষ করেন। এরপর তিনি ১৮৭৫ সালে শারীরবিদ্যা বিষয়ে কৃতকার্য হন এবং চিকিৎসাবিদ্যায় মনোনিবেশ করেন। চিকিৎসক হওয়ার পর তিনি অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ১৮৯০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ কলেজে অধ্যাপনার কাজ পান।

১৯০৪ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। ১৯১৫ সালে তিনি ‘কপলি মেডেল’ জেতেন। ১৯২৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘পাভলভ ইনস্টিটিউট অব ফিজিওলজি অব রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস’। নোবেলজয়ী এই শারীরতাত্ত্বিক ১৯৩৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদে মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত