Ajker Patrika

গাড়ি ভাঙলে, আগুন দিলে খুঁজে বের করে শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী

বাসস, ঢাকা
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ০৫
গাড়ি ভাঙলে, আগুন  দিলে খুঁজে বের করে  শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী

রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙা ছাত্রদের কাজ নয়, মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এই গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের খুঁজে বের করা হবে, শাস্তি দেওয়া হবে। কেননা, যে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, সে গাড়িতে যদি কেউ মারা যায় বা আগুনে পোড়ে, তার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ কথাও মাথায় রাখতে হবে।

বিজয়ের মাসের প্রথম দিন গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙা এটা ছাত্রদের কাজ নয়, এটা কেউ করবে না। দয়া করে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাও, লেখাপড়া করো। আর যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা আমরা করব।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে অনেক সতর্ক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধীদের খুঁজে বের করা হয়েছে। তা ছাড়া সবকিছুর ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। তাই যেকোনো সময় যেকোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে তাদের ধরে ফেলা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই সেটা করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে পরপর পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা যথাযথভাবে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর রামপুরায় গাড়িচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহত হওয়ার পর এর প্রতিবাদে রাজধানীতে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর আগে ২৪ নভেম্বর নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানও গাড়িচাপায় নিহত হয়।

আজকের শিশুরাই ’৪১-এর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্ণধার হবে উল্লেখ করে তাদের লেখাপড়া করা এবং বাবা-মা-অভিভাবকদের আদেশ মান্য করার পাশাপাশি রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হঠাৎ দৌড় দেবে আর দুর্ঘটনা ঘটবে, দুর্ঘটনা ঘটলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো, এটা কী ধরনের কথা! একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে, লাঠিসোঁটা নিয়ে নেমে পড়ল গাড়ি ভাঙা এবং আগুন দেওয়ার কাজে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার এখানে একটা প্রশ্ন এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতির কাছেই—এই যে দুর্ঘটনার পর আগুন দেওয়া শুরু হলো এ গাড়িতে কি নারী-শিশু বা ছাত্রছাত্রীরা নেই? ওই আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতে পারে, তার দায়িত্ব কে নেবে? খুব স্বাভাবিক বিষয় হচ্ছে, যারা আগুন দেবে তাদের ওপরই দায় বর্তায়। তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সেভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশে করোনার বিস্তার বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ হবে—বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে যে এই করোনাভাইরাস কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, এখন শিক্ষার্থীদেরও দিচ্ছি। বর্তমানে আবার নতুন আরেকটা ঢেউ আসছে। কাজেই এটা মাথায় রাখতে হবে যদি করোনা বিস্তার লাভ করে, তাহলে যেকোনো সময় আবার কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত