তাজউদ্দীনের নাম থাকলে চিন্তা বেড়ে যায়

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার শেষ দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে, গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি ও বঙ্গতাজের একমাত্র ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।

সাংসদ রিমি বলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথা নিয়ে চিন্তিত। যখন তাজউদ্দীন আহমদের নামটি কোথাও থাকে, তখন আমার চিন্তায় ভাবনা ভাগ অনেক বেড়ে যায়। যিনি সব সময় সম্মানিত। আমরা কোনোভাবেই তার সম্মানটাকে কমাতে পারব না, বাড়াতেও পারব না। এই নামের শেষে যে আদর্শ কথাটা যুক্ত আছে এইখানে আমাদের ভাবতে হবে কী ধরনের?’

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাংসদ রিমি বলেন, ‘তাজউদ্দীন আহমদ যখন ক্লাস নাইনে ছাত্র ছিলেন তখন তিনি ঢাকায় থাকতেন। ঢাকা থেকে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আসা হতো পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলা যে পাইলট হাই স্কুল, ওই স্কুলের নাইনের ইংরেজি, অঙ্ক ক্লাস করানোর জন্য। যেন তিনি ছাত্র দের উদ্বুদ্ধ করতে এবং লেখাপড়া শেখাতে পারে। এই যে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা সেই চেষ্টাটাই কিন্তু তাকে একটা জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।’

তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, ‘এই স্কুলটি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের নামে করা হয়েছে। তাঁর আদর্শের কিছু স্পর্শ আসতে হবে আমাদের সবার মধ্যে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘আজকের সারা বিশ্বের মানচিত্রে কাপাসিয়ার পরিচিতি এসেছে কেন? বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জন্মভূমি এই কাপাসিয়ায়। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করে যদি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে আমাদের মুক্তির আন্দোলন এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারে তাহলে তোমরা পারবে না কেন? তোমরাও এই দেশের এই মাটির জন্য কাজ করতে পারবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোরশেদ খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন।

বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মেধাবীদের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেন সিমিন হোসেন রিমি ও তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।