Ajker Patrika

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬২ বাংলাদেশি

আল-আমিন রাজু, ঢাকা
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ৫০
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬২ বাংলাদেশি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি বিদেশে পলাতক হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত জিসান, ফ্রিডম মানিক, বিকাশ ও মোল্লা মাসুদ এবং মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার নবী হোসেন ও আর্মি আলমগীরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ যাচাই করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এভাবে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অনেকে দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকলেও দেশীয় সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলেই বিদেশে অবস্থানরত অপরাধজগতের এসব শীর্ষ ব্যক্তির নাম বারবার আলোচনায় আসে।

বিদেশে বসে অপরাধ চালিয়ে যাওয়া এসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে আসছে পুলিশ। সদস্য রাষ্ট্র থেকে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাওয়ার পর ইন্টারপোল এসব ব্যক্তির নামে জারি করে রেড নোটিশ। বর্তমানে বাংলাদেশের এ ধরনের ৬২ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৬ হাজার ৫৮১ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে।

অপরাধে করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ইন্টারপোলে পাঠানো ও তদারকির দায়িত্ব ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)-র। এই শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন এমন ৬৪ ব্যক্তির নাম ও অপরাধের বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে রেড নোটিশ জারির জন্য। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই ৬৪ ব্যক্তির মধ্যে বর্তমানে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ঝুলছে ৬২ জনের নামে।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা গেছে, রেড নোটিশে নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, মূলত তদন্তকারী সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দেয় সেই তথ্যগুলোই ইন্টারপোলে পাঠানো হয়। যেসব ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতি আছে, সেসব ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়তো ছবি কিংবা সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে পারেননি।

রেড নোটিশে নাম থাকায় সর্বশেষ ২০২১ সালে ইতালির পুলিশ কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবালকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। তিনি লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামি।

ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম, খন্দকার আবদুর রশিদ, এমএ রাশেদ চৌধুরী ও খান মোসলে উদ্দিন ওরফে খান মোসলেম উদ্দিনকে দেশে ফেরাতে তৎপর রয়েছে। তাঁদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। অন্যদের অবস্থানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত