Ajker Patrika

সালাম সৌহার্দ্যের প্রতীক

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ০৭ মে ২০২২, ১৫: ২০
সালাম সৌহার্দ্যের প্রতীক

সালাম শব্দের অর্থ শান্তি। সালামের মাধ্যমে মানুষে-মানুষে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়। সালাম ইসলামের নিদর্শন। সালাম দেওয়া সুন্নত এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। কোনো মুসলমান অপর মুসলমানকে সালাম দিলে এর উত্তর শুনিয়ে দিতে হয়। না দিলে গুনাহ হয়। যে আগে সালাম দেবে, তার আমলনামায় নব্বইটি নেকি লেখা হয়, আর যে সালামের জবাব দেবে তার জন্য দশটি নেকি লেখা হয়। মহানবী (সা.) ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিতেন। তাঁকে কেউ কখনো আগে সালাম দিতে পারেনি। সাহাবায়ে কেরাম পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলেই সালাম দিতেন।

মহানবী (সা.) সালামের প্রচলন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাকে যদি কেউ সালাম দেয়, তার চেয়ে উত্তমরূপে সালামের জবাব দাও।’ অর্থাৎ কেউ যদি তোমাকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেয়, তাহলে তুমি এর সঙ্গে ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ যুক্ত করে জবাব দেবে। যদি সে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম দেয়, তাহলে তুমি এর সঙ্গে ‘ওয়া বারাকাতুহু’ যুক্ত করে সালামের উত্তর দেবে। এটা সালাম আদান-প্রদানের নিয়ম। মুসলমানদের পরস্পর কল্যাণ ও দোয়া কামনার জন্য এর চেয়ে উত্তম সম্বোধন আর কী হতে পারে।

পরিচিত-অপরিচিত সব মুসলমানকে সালাম দিতে হয়। এ সালাম দুনিয়াতেও উত্তম বাক্য, জান্নাতেও উত্তম বাক্য। ফেরেশতারা জান্নাতিদের সালাম দেবেন। সালামের পর একটি আদব হলো মুসাফাহা করা। মুসাফাহা মানে হাত মেলানো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক মুমিনের সঙ্গে আরেক মুমিনের দেখা হলে তারা যদি সালাম বিনিময় করে এবং মুসাফাহা করে, তাহলে তাদের গুনাহ গাছের পাতার মতো ঝরে যায়।’ কারও সঙ্গে কথা বলার আগে আমরা সালাম দিয়ে কথা শুরু করব।

মুনীরুল ইসলাম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত