Ajker Patrika

৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১১: ২৬
৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে নথি খোয়া যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আটকরা হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দীকা, কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার, মিন্টু, বাদল, বারী ও ফয়সাল। এদের মধ্যে আয়েশা সিদ্দীকা ও জোসেফের কাছে ফাইল কেবিনেটের চাবি থাকে।

গতকাল সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ) আলী নূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিআইডি ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কার্যালয়ে নিয়েছে।

সিআইডির পুলিশ সুপার (মহানগর দক্ষিণ) কামরুজ্জামান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনাটি থানা-পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি ছায়া তদন্ত করছে। তদন্তে জড়িত পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উন্নয়ন শাখা থেকে ১৭টি নথি গায়েব হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা জিডিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) অফিস সময়ে নথিগুলো কেবিনেটে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে খোঁজ করে আর নথিগুলো পাওয়া যায়নি।

এদিকে, এ ঘটনা তদন্তের জন্য গতকাল রোববার সকাল ১০টার আগেই সচিবালয়ে যায় পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিন বিভাগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একটি দল। একই সময়ে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সচিবালয়ে যায়। সিআইডি মোট ১২ জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে।

মাহফুজুর রহমান জানান, তাঁরা সিসি টিভি ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা জোসেফ ও আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারে তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর সাংবাদিকদের বলেন, সচিবালয় থেকে নথি গায়েবের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজানি হয়। পরে বিষয়টি তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ক্যাবিনেট সচিবকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি সিআইডি ও শাহবাগ থানায় একটি জিডি করতে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রণালয়ে কাউকে সন্দেহ করা হচ্ছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সন্দেহের বাইরে কেউ না। আমিও নিজেও সন্দেহের বাইরে না। সেখানে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল না তবে মন্ত্রণালয় থেকে কীভাবে নথি গায়েব হলো, সেটিই ভাববার বিষয়। ফাইলগুলো খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যাকে খুশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত