Ajker Patrika

বাদাম বেচে কাটে দিন

নুরুল আলম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) 
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪১
বাদাম বেচে কাটে দিন

মাত্র ৬-৭ বছর বয়সেই বাবাকে হারান হেঞ্জু মিয়া। এর কয়েক বছরের মধ্যে মারা যান তাঁর মা। শারীরিকভাবে তিনি ছোটখাটো হওয়ায় গোটা জীবন বয়ে চলেছেন প্রতিবন্ধিতার অভিশাপ। দারিদ্র্যে জীবন কাটালেও ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেননি তিনি। ৩১ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করে চালাচ্ছেন সংসার।

হেঞ্জু মিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের সৈদালি গ্রামে। তাঁর শারীরিক উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট। সম্প্রতি আজকের পত্রিকার কাছে নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প বলেন হেঞ্জু মিয়া। বলেন, ১৯৯১ সালের কোনো একদিন উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারে বাদাম বিক্রেতার কাছে বাকিতে ২ টাকার বাদাম চান। ওই বাদাম বিক্রেতা তাকে না করে দেন। সেই জেদ থেকে পরদিনই বাদাম বিক্রি শুরু করেন হেঞ্জু মিয়া। ওই বাজারেরই নুর হোসেন সওদাগর তাঁকে ব্যবসার প্রথম পুঁজি হিসেবে ১৫০ টাকা দেন।

হেঞ্জু বলেন, ‘অনেক ভেবে চিন্তে ভিক্ষাবৃত্তি বা কারও দয়ার মুখাপেক্ষী না হয়ে ব্যবসা করছি।’ এতে ভালোই চলছে তাঁর সংসার। হাট-বাজার বা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বাদাম বেচতে দূর-দুরান্তে চলে যান তিনি। স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে সকালে আগুনে গরম বালুতে বাদাম ভাজেন। দুপুর ১২টার দিকে সেই বাদাম নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। দিনে ৪-৫০০ টাকা আয় হয় তাঁর। ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ধুমধাম করে। একমাত্র ছেলেকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া শিখিয়েছেন।

তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত এক-দেড় বছর ধরে দিন কষ্টে কাটছে বলে জানান হেঞ্জু মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় লোকজন না থাকলে বাদাম কে নেবে? এখন অনেকেই করোনার ভয়ে বাইরে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। আর রাজনীতির মাঠ গরম থাকলে বাদামের ব্যবসাও গরম চলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত