জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও সদর উপজেলার সংযোগস্থল কলস নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা এলজিইডি অফিস বলছে, ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কলস নদী। কোনো পাকা সেতু না থাকায় এ নদীর ওপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই তিন উপজেলার আশেপাশের গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন।
ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামের বৃদ্ধ ও কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থীদেরও। স্বাধীনতার পর থেকেই স্থানীয়রা সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন।
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু সে আশ্বাস আর বাস্তবায়িত হয়নি। সময় বাঁচাতে বাঁশের সাঁকো দিয়েই আশেপাশের ১০ গ্রামের অন্তত ৮-১০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। এই সাঁকোর আশেপাশের এলাকায় পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদিয়া কওমী মাদ্রাসা ও কলসপাড় নঈমী দাখিল মাদ্রাসাসহ অন্তত ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পড়তে যান।
এতে মাঝে-মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া নদীর অপরপাড়ে থাকা কলসপাড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যেতে দুর্ভোগে পড়েন সেবাপ্রার্থীরা। গুরুতর রোগী থাকলে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদিপশু পারাপারেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্থানীয় কৃষকেরা। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। বর্ষাকালে ভোগান্তি যেন নতুন মাত্রা পায়।
কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেয়া খাতুন, বিলকিছ আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এই ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাইতে ভয় করে। আমিসহ কয়েকজন পা পিছলে পড়ে গেছিলাম। এখন সাবধানে ভয়ে ভয়ে পার হই। আর কোনো রাস্তা না থাকায় এইদিক দিয়াই যাইতে হয়। পশ্চিম কলসপাড় গ্রামের মো. রহমত আলী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই একটা পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা করতাছি। অন্যান্য জায়গায় অনেক পাকা সেতু হইছে। খালি আমাদেরটাই হইতাছে না। এই সেতুর জন্য কোনো একটা ভালো ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারি না। স্থানীয় গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্ট করে সাঁকো পারাপার হইতে হয়। ছোট ছোট পোলাপানদের স্কুলে যাইতে দিতেও ভয় লাগে। টেনশনে থাকি। এখানে একটা পাকা সেতু খুব দরকার।
ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘কলস নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। তখন আমাদের সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি নির্মাণে খুব দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও সদর উপজেলার সংযোগস্থল কলস নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা এলজিইডি অফিস বলছে, ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কলস নদী। কোনো পাকা সেতু না থাকায় এ নদীর ওপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই তিন উপজেলার আশেপাশের গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন।
ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামের বৃদ্ধ ও কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থীদেরও। স্বাধীনতার পর থেকেই স্থানীয়রা সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন।
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু সে আশ্বাস আর বাস্তবায়িত হয়নি। সময় বাঁচাতে বাঁশের সাঁকো দিয়েই আশেপাশের ১০ গ্রামের অন্তত ৮-১০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। এই সাঁকোর আশেপাশের এলাকায় পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদিয়া কওমী মাদ্রাসা ও কলসপাড় নঈমী দাখিল মাদ্রাসাসহ অন্তত ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পড়তে যান।
এতে মাঝে-মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া নদীর অপরপাড়ে থাকা কলসপাড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যেতে দুর্ভোগে পড়েন সেবাপ্রার্থীরা। গুরুতর রোগী থাকলে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদিপশু পারাপারেও বিড়ম্বনায় পড়েন স্থানীয় কৃষকেরা। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। বর্ষাকালে ভোগান্তি যেন নতুন মাত্রা পায়।
কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেয়া খাতুন, বিলকিছ আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এই ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাইতে ভয় করে। আমিসহ কয়েকজন পা পিছলে পড়ে গেছিলাম। এখন সাবধানে ভয়ে ভয়ে পার হই। আর কোনো রাস্তা না থাকায় এইদিক দিয়াই যাইতে হয়। পশ্চিম কলসপাড় গ্রামের মো. রহমত আলী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই একটা পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা করতাছি। অন্যান্য জায়গায় অনেক পাকা সেতু হইছে। খালি আমাদেরটাই হইতাছে না। এই সেতুর জন্য কোনো একটা ভালো ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারি না। স্থানীয় গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্ট করে সাঁকো পারাপার হইতে হয়। ছোট ছোট পোলাপানদের স্কুলে যাইতে দিতেও ভয় লাগে। টেনশনে থাকি। এখানে একটা পাকা সেতু খুব দরকার।
ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘কলস নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। তখন আমাদের সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি নির্মাণে খুব দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪