বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
নার্সারি ব্যবসার মাধ্যমে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জাহানারা বেগম। তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের বাসিন্দা। একসময়ে অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করলেও এখন নার্সারি ব্যবসা করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি সচ্ছলতা এনেছেন নিজের পরিবারেও।
নার্সারির পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর সিরি, দুপপুড়া গন্ধ ও বিজয় লক্ষ্মী নামের তিনটি উপন্যাস, কাজল ধোয়া জল ও রণ জয়ীরমনী নামের দুটি গীতিকাব্য প্রকাশিত হয়েছে।
জাহানারা বেগম জানান, ২০০৭ সালে চার হাজার টাকা নিয়ে চার শতক জায়গায় শুরু করেছিলেন নার্সারি ব্যবসা। এখন সেই নার্সারির বিস্তার একশত ২০ শতক জায়গা জুড়ে। এখানে নিয়মিত কাজ করেন ৩ শ্রমিক। পাশাপাশি তিনি নিজেও কাজ করেন। বিভিন্ন ধরনের ফুল-ফল, ওষধি ও কাঠের গাছের চারা পাওয়া যায় তাঁর নার্সারিতে। এসব চারা বিক্রি করে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। স্বামী নিজের অল্প পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করতেন। জমি থেকে যে পরিমাণ ধান পাওয়া যেত তা দিয়ে সারা বছর চলত না। সংসারে সচ্ছলতা আনতে নিজে কিছু একটা করতে চাইছিলাম। তাই প্রথমে বাড়ির আঙিনাতেই নার্সারি শুরু করি। প্রথম দিকে একাই নার্সারিতে কাজ করতাম। স্বামী তখন আমাকে সাহায্য করতেন না। সফলতার পর স্বামীও আমার কাজে এগিয়ে এসেছেন।’
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহানারা বেগম ২০১০ সালে ‘সফল নারী উদ্যোক্তা’ এবং ২০১৪ সালে ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেয়েছেন। এখন তিনি এলাকার নারীদের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন ‘এসো কাজ করি’ নামের একটি সংগঠন। ৩৫ সদস্যের এই সংগঠনটি মহিলা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত। নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সেলাইয়ের কাজ, বুটিকের প্রশিক্ষণ ও নার্সারি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই সংগঠন থেকে। এ ছাড়া জেলায় বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধেও সক্রিয় রয়েছেন জাহানারা বেগম।
তাঁর বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘জাহানারা বেগমের নার্সারিতে উৎপাদিত চারার সুনাম রয়েছে। একজন সফল নারী হিসেবে জেলায় পরিচিত তিনি। এ ধরনের উদ্যোক্তারা যাতে ব্যবসায়ী হিসেবে টিকে থাকতে পারেন এবং দেশের বনায়নে ভূমিকা রাখতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।’
নার্সারি ব্যবসার মাধ্যমে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জাহানারা বেগম। তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের বাসিন্দা। একসময়ে অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করলেও এখন নার্সারি ব্যবসা করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি সচ্ছলতা এনেছেন নিজের পরিবারেও।
নার্সারির পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর সিরি, দুপপুড়া গন্ধ ও বিজয় লক্ষ্মী নামের তিনটি উপন্যাস, কাজল ধোয়া জল ও রণ জয়ীরমনী নামের দুটি গীতিকাব্য প্রকাশিত হয়েছে।
জাহানারা বেগম জানান, ২০০৭ সালে চার হাজার টাকা নিয়ে চার শতক জায়গায় শুরু করেছিলেন নার্সারি ব্যবসা। এখন সেই নার্সারির বিস্তার একশত ২০ শতক জায়গা জুড়ে। এখানে নিয়মিত কাজ করেন ৩ শ্রমিক। পাশাপাশি তিনি নিজেও কাজ করেন। বিভিন্ন ধরনের ফুল-ফল, ওষধি ও কাঠের গাছের চারা পাওয়া যায় তাঁর নার্সারিতে। এসব চারা বিক্রি করে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। স্বামী নিজের অল্প পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করতেন। জমি থেকে যে পরিমাণ ধান পাওয়া যেত তা দিয়ে সারা বছর চলত না। সংসারে সচ্ছলতা আনতে নিজে কিছু একটা করতে চাইছিলাম। তাই প্রথমে বাড়ির আঙিনাতেই নার্সারি শুরু করি। প্রথম দিকে একাই নার্সারিতে কাজ করতাম। স্বামী তখন আমাকে সাহায্য করতেন না। সফলতার পর স্বামীও আমার কাজে এগিয়ে এসেছেন।’
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহানারা বেগম ২০১০ সালে ‘সফল নারী উদ্যোক্তা’ এবং ২০১৪ সালে ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেয়েছেন। এখন তিনি এলাকার নারীদের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন ‘এসো কাজ করি’ নামের একটি সংগঠন। ৩৫ সদস্যের এই সংগঠনটি মহিলা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত। নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সেলাইয়ের কাজ, বুটিকের প্রশিক্ষণ ও নার্সারি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই সংগঠন থেকে। এ ছাড়া জেলায় বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধেও সক্রিয় রয়েছেন জাহানারা বেগম।
তাঁর বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘জাহানারা বেগমের নার্সারিতে উৎপাদিত চারার সুনাম রয়েছে। একজন সফল নারী হিসেবে জেলায় পরিচিত তিনি। এ ধরনের উদ্যোক্তারা যাতে ব্যবসায়ী হিসেবে টিকে থাকতে পারেন এবং দেশের বনায়নে ভূমিকা রাখতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪