মুহাম্মদ শাহীন আল মামুন
শিক্ষাজীবনের সঙ্গে পরীক্ষা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থীর মান যাচাই করা হয়; অর্থাৎ শিক্ষার্থীর ভালো-মন্দ অগ্রগতি ইত্যাদি বিচারের মাপকাঠি হচ্ছে পরীক্ষা। আর তাই শিক্ষার্থীরা সারা বছর বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়ে সীমাহীন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটায়। পরীক্ষা নিয়ে তাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ ফুটে ওঠে। প্রিয় শিক্ষার্থীদের কথা মনে করে কীভাবে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
উত্তরপত্রের পরিচ্ছন্নতা
স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে পরীক্ষকের মন কাড়ে, যে কারণে তুলনামূলকভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। অকারণে উত্তরপত্রে ঘষামাজা বা কাটাকাটি করা উচিত নয়। উত্তরপত্রের কোথাও যেন বেশি কালি বা ওভাররাইটিং না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খাতায় মার্জিন দেওয়া
উত্তরপত্র বা খাতায় মার্জিন দেওয়া খুবই জরুরি। খাতায় মার্জিন শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিই ঘটায় না, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষক এই জায়গাটুকুই ব্যবহার করেন; অর্থাৎ এখানেই তিনি নম্বর প্রদান করেন। তাই উত্তরপত্রে সুন্দর করে মার্জিন টানা অত্যাবশ্যক।
প্রাসঙ্গিকতা
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ। পরীক্ষার খাতায় অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখা উচিত নয়। প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে লিখতে হবে। যেসব উদ্দীপক বা প্রশ্ন দেওয়া হয় তা খুব মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রশ্নপত্রে কোনো কোনো প্রশ্নের একাধিক অংশ থাকে। যে অংশটুকুর উত্তর প্রথমে চাওয়া হয়, সেটুকুর উত্তর প্রথমে লিখতে হবে। পরের অংশের উত্তর পরে লিখতে হবে। উদ্দীপকের আলোকে উত্তর অবশ্যই যথাযথভাবে লিখতে হবে। অনুচ্ছেদ আকারে সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় তথ্যসমৃদ্ধ উত্তর লিখতে পারলে প্রত্যাশিত সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে।
সময়ানুবর্তিতা
সময়ের প্রতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লিখে শেষ করতে হবে। একটা প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি না লিখে একটু কম করে হলেও সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। অতএব প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে হবে। এ জন্য নিজে নিজে সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে খাতাটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকের মূল্যায়ন, তার পরামর্শ, কোন প্রশ্নে কী ধরনের ভুল হয়েছে, কীভাবে লিখলে ভালো হতো, বেশি নম্বরের জন্য আর কী করতে হবে ইত্যাদি জেনে নিতে হবে।
নিয়মিত লেখা
অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা শুধু পড়ে, কিন্তু লিখতে চায় না, তাদের পক্ষে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব হয় না। কারণ পরীক্ষার মূল কাজ হচ্ছে লেখা। অতএব প্রতিদিন কিছু না কিছু প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। এতে হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখা পরিচ্ছন্ন হবে, যা বেশি নম্বর প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেবে।
আলোচনা
আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা সহজ হয় এবং তা স্মৃতিতে বেশি দিন ধরে রাখা যায়। যেসব অধ্যায় কঠিন মনে হয়, সেগুলো নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, পিতা-মাতা বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা করা যেতে পারে। এতে মেধার তীক্ষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
মনোযোগিতা
লেখাপড়ায় মনোযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনোযোগী হয়ে লেখাপড়া করলে সংশ্লিষ্ট বিষয় সহজে আয়ত্ত করা যায়। ক্লাসে এবং লেখাপড়ায় শিক্ষার্থী যত বেশি মনোযোগী হবে, পরীক্ষার নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বেশি বেশি পড়া
বেশি বেশি পড়া মানেই বেশি জানা। আর বেশি জানতে চাইলে অবশ্যই বেশি বেশি পড়তে হবে। এ জন্য শুধু নির্ধারিত বইটি পড়লে চলবে না। পাঠসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বই পড়তে হবে। বর্তমানে পরীক্ষা যেহেতু সৃজনশীল পদ্ধতির, তাই শিক্ষার্থীকেও অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। আর এ জন্য দু-একটি বই পড়লেই চলবে না। নির্ধারিত বইয়ের পাশাপাশি পাঠের সঙ্গে মিল আছে—এ ধরনের অন্যান্য বই পড়তে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
মাত্র দু-এক দিন খুব বেশি পড়ালেখা করলাম, অন্যান্য সময় অবহেলা করলাম, তাহলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়ার আশা করা যায় না। এ জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পড়ার একটি সুন্দর রুটিন তৈরি করতে হবে। নিয়মিত আগ্রহসহকারে পড়ালেখা করতে হবে। লেখাপড়াকে আনন্দের সঙ্গে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে পড়াশোনাকে বিরক্তিকর না ভেবে গভীরভাবে ভালোবাসলেই পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া সম্ভব।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক,ইউনাইটেড ইসলামীয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর।
শিক্ষাজীবনের সঙ্গে পরীক্ষা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থীর মান যাচাই করা হয়; অর্থাৎ শিক্ষার্থীর ভালো-মন্দ অগ্রগতি ইত্যাদি বিচারের মাপকাঠি হচ্ছে পরীক্ষা। আর তাই শিক্ষার্থীরা সারা বছর বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়ে সীমাহীন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটায়। পরীক্ষা নিয়ে তাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ ফুটে ওঠে। প্রিয় শিক্ষার্থীদের কথা মনে করে কীভাবে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
উত্তরপত্রের পরিচ্ছন্নতা
স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে পরীক্ষকের মন কাড়ে, যে কারণে তুলনামূলকভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। অকারণে উত্তরপত্রে ঘষামাজা বা কাটাকাটি করা উচিত নয়। উত্তরপত্রের কোথাও যেন বেশি কালি বা ওভাররাইটিং না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খাতায় মার্জিন দেওয়া
উত্তরপত্র বা খাতায় মার্জিন দেওয়া খুবই জরুরি। খাতায় মার্জিন শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিই ঘটায় না, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষক এই জায়গাটুকুই ব্যবহার করেন; অর্থাৎ এখানেই তিনি নম্বর প্রদান করেন। তাই উত্তরপত্রে সুন্দর করে মার্জিন টানা অত্যাবশ্যক।
প্রাসঙ্গিকতা
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ। পরীক্ষার খাতায় অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখা উচিত নয়। প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে লিখতে হবে। যেসব উদ্দীপক বা প্রশ্ন দেওয়া হয় তা খুব মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রশ্নপত্রে কোনো কোনো প্রশ্নের একাধিক অংশ থাকে। যে অংশটুকুর উত্তর প্রথমে চাওয়া হয়, সেটুকুর উত্তর প্রথমে লিখতে হবে। পরের অংশের উত্তর পরে লিখতে হবে। উদ্দীপকের আলোকে উত্তর অবশ্যই যথাযথভাবে লিখতে হবে। অনুচ্ছেদ আকারে সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় তথ্যসমৃদ্ধ উত্তর লিখতে পারলে প্রত্যাশিত সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে।
সময়ানুবর্তিতা
সময়ের প্রতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লিখে শেষ করতে হবে। একটা প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি না লিখে একটু কম করে হলেও সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। অতএব প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে হবে। এ জন্য নিজে নিজে সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে খাতাটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকের মূল্যায়ন, তার পরামর্শ, কোন প্রশ্নে কী ধরনের ভুল হয়েছে, কীভাবে লিখলে ভালো হতো, বেশি নম্বরের জন্য আর কী করতে হবে ইত্যাদি জেনে নিতে হবে।
নিয়মিত লেখা
অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা শুধু পড়ে, কিন্তু লিখতে চায় না, তাদের পক্ষে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব হয় না। কারণ পরীক্ষার মূল কাজ হচ্ছে লেখা। অতএব প্রতিদিন কিছু না কিছু প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। এতে হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখা পরিচ্ছন্ন হবে, যা বেশি নম্বর প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেবে।
আলোচনা
আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা সহজ হয় এবং তা স্মৃতিতে বেশি দিন ধরে রাখা যায়। যেসব অধ্যায় কঠিন মনে হয়, সেগুলো নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, পিতা-মাতা বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা করা যেতে পারে। এতে মেধার তীক্ষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
মনোযোগিতা
লেখাপড়ায় মনোযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনোযোগী হয়ে লেখাপড়া করলে সংশ্লিষ্ট বিষয় সহজে আয়ত্ত করা যায়। ক্লাসে এবং লেখাপড়ায় শিক্ষার্থী যত বেশি মনোযোগী হবে, পরীক্ষার নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বেশি বেশি পড়া
বেশি বেশি পড়া মানেই বেশি জানা। আর বেশি জানতে চাইলে অবশ্যই বেশি বেশি পড়তে হবে। এ জন্য শুধু নির্ধারিত বইটি পড়লে চলবে না। পাঠসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বই পড়তে হবে। বর্তমানে পরীক্ষা যেহেতু সৃজনশীল পদ্ধতির, তাই শিক্ষার্থীকেও অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। আর এ জন্য দু-একটি বই পড়লেই চলবে না। নির্ধারিত বইয়ের পাশাপাশি পাঠের সঙ্গে মিল আছে—এ ধরনের অন্যান্য বই পড়তে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
মাত্র দু-এক দিন খুব বেশি পড়ালেখা করলাম, অন্যান্য সময় অবহেলা করলাম, তাহলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়ার আশা করা যায় না। এ জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পড়ার একটি সুন্দর রুটিন তৈরি করতে হবে। নিয়মিত আগ্রহসহকারে পড়ালেখা করতে হবে। লেখাপড়াকে আনন্দের সঙ্গে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে পড়াশোনাকে বিরক্তিকর না ভেবে গভীরভাবে ভালোবাসলেই পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া সম্ভব।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক,ইউনাইটেড ইসলামীয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫