Ajker Patrika

বছর না ঘুরতেই তীরের ব্লক দেবে যাচ্ছে, ভাঙন

বছর না ঘুরতেই তীরের ব্লক দেবে যাচ্ছে, ভাঙন

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মাটিকাটা নদীর ভাঙন রোধে এক বছর আগে তীরে বসানো হয় ব্লক। সেই ব্লক দেবে যাওয়ায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্লক বাঁধানো কাজ ঠিকভাবে হয়নি। এখন ব্লক দেবে যাওয়ায় নদীতীরের সংযোগ সড়কেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীর পানির স্রোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। আর নদীতীর গভীর হওয়ার কারণে কিছু ব্লক দেবে সরে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে জানা যায়, ২০২১ সালের শেষদিকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাটিকাটা নদীর তীরে বসানো হয় ব্লক। চলতি বছর বর্ষার শুরুতেই ভাঙন দেখা দেয় দেবে যাওয়া ব্লকের অংশে। দেবে যাওয়া ভাঙন দেখা দেয় ব্লক বসানো অংশে। বর্তমানে কয়েকটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী গোলাঘাট বাজার থেকে উপজেলার দেদুয়ার বাজার পর্যন্ত একটি সংযোগ সড়ক চলে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে এ সংযোগ সড়কেও।

স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এক বছর হলো ব্লক দিয়ে মাটিকাটা নদীর তীর বাঁধানো হয়েছে। কিন্তু তড়িঘড়ি করে নির্মাণকাজ শেষ করার কারণে বছর যেতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার পানি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, পাশাপাশি ভাঙছে সংযোগ সড়ক।’

রাজিবুল হাসান নামের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এত টাকা খরচ করে আমাদের রাস্তা বাঁচানোর জন্য বসানো ব্লক ভেঙে দেবে যাচ্ছে। ভালোভাবে নির্মাণকাজ হলে এমনটা হতো না। নদীর তীরের ব্লক সরে গেলে আমাদের চলাচলের রাস্তা নদীতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’ 
স্থানীয় বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পোলট্রি ব্যবসায়ী তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘পোলট্রি ফার্মের খাদ্য আনা-নেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে ওই সংযোগ সড়ক ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। সড়কটি বিলীন হলে স্থানীয়রা অনেক সমস্যার মুখে পড়বেন।’

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘একটি কাজের পেছনে সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে সেই কাজের স্থায়িত্ব হয় কম সময়। এত গভীর একটি নদীর তীরে যত্রতত্র কাজ করা ঠিক হয়নি। এখন নদীতীরের পাশাপাশি ভাঙবে চলাচলের রাস্তাও।’

শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘ব্লক বসানোর স্থানটি নদী থেকে অনেক খাঁড়া হওয়ায় ব্লক আটকিয়ে রাখা খুবই কষ্ট। বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ ভালোভাবেই হয়েছে। তবে পানির স্রোতে কিছু ব্লক দেবে সরে গেছে। তাতে সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত