সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলটি সচল রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নিয়মিত খনন করে এ নৌপথ সচল রাখা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কোথাও মাটি ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে নদীর দুই ধারের মাঠঘাট, পুকুর, খাসজমি সব ভরাট হয়ে গেছে। আবার ভরাট হওয়া জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আবদুল মতিন জানান, উজান থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন টন পলি এ চ্যানেলে আসে। এ কারণে নৌরুটটি সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং করতে হয়। বর্তমানে প্রতিদিন চারটি ড্রেজার মেশিন খননকাজে নিয়োজিত আছে। বছরে খরচ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ড্রেজিং করা বিপুল পরিমাণ মাটি ফেলার জায়গা নিয়ে।
আবদুল মতিন আরও জানান, সাধারণত নদীর তীর বা এর কাছাকাছি স্থানে ডাইক (মাটি দিয়ে ঘেরাও করা স্থান) নির্মাণ করে ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলতে হয়। তবে এখন আর কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, যেখানে ডাইক নির্মাণ সম্ভব। আগের ডাইকগুলোতে মাটি ফেলতে ফেলতে সাত-আট ফুট উঁচু হয়ে গেছে। সেগুলো ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।
একসময় পলি পড়তে পড়তে ২০১১ সালে এই নৌপথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। চ্যানেলটি বন্ধ থাকায় তখন সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েক বছর জাহাজ চলাচল করত। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। একপর্যায়ে সুন্দরবনের ভেতরে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনায় সে চ্যানেলটিও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০১৪ সালে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই চ্যানেলটি পুনরায় খনন করে সচল করা হয়। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চ্যানেলটি খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে নৌপথটি ১৩-১৪ ফুট গভীর ও ২০০ থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্ত বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ।
শুধু ড্রেজিং করে এ নৌপথ খুব বেশি দিন সচল রাখা সম্ভব হবে না—এমন আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছিলেন, পলি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিষ্ণু ও দাউদখালী নদীর জোয়ার-ভাটার প্লাবন ভূমিতে অসংখ্য বাঁধ নির্মাণের ফলে প্লাবন এলাকা কমে গেছে। তা ছাড়া উজান থেকে আসা মিঠাপানির প্রবাহও নদীতে কমে যাওয়ায় সমুদ্র থেকে লবণাক্ত পানি সেখানে প্রবেশ করছে। এসব কারণে ওই চ্যানেলে মারাত্মক হারে পলি জমছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোংলা-ঘষিয়াখালী নদী খননের ফলে নৌ-চ্যানেলটি সচল হচ্ছে এটি মনে করছি না। কারণ এখানে সরকারি অর্থের বিরাট অপচয় হচ্ছে। ড্রেজিং পরিকল্পনায়ও এক ধরনের ত্রুটি আছে। কারণ এখানে এক পাড় ভরাট হচ্ছে, সেই ভরাটের বালু এসে আবার নদীতে পড়ছে। আবার এই ড্রেজিংয়ের ফলে সরকারি সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড দিয়ে এক ধরনের দখলও বেড়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আনিছুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই এই নৌ-চ্যানেলে ড্রেজিং হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের বালু বা মাটি যে জায়গায় ফেলা হচ্ছে, সেটি রাতারাতি বিভিন্ন সংস্থা দখল করে নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। নতুন করে জায়গা না পাওয়ায় খননকৃত বালু ফেলা যাচ্ছে না। এ কারণে খননকাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক এই নৌ-চ্যানেল। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চমহলে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরের স্বার্থে এই নৌ-চ্যানেলটি সংরক্ষণ করা এবং নাব্য ধরে রাখা খুবই জরুরি। এটি করা না হলে চ্যানেলটি আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেলে এর মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি, সেটা বাধাগ্রস্ত হবে। কাজেই এই চ্যানেলটির খননকাজ কোনোভাবেই বন্ধ যেন না হয়।
মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলটি সচল রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নিয়মিত খনন করে এ নৌপথ সচল রাখা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কোথাও মাটি ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে নদীর দুই ধারের মাঠঘাট, পুকুর, খাসজমি সব ভরাট হয়ে গেছে। আবার ভরাট হওয়া জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আবদুল মতিন জানান, উজান থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন টন পলি এ চ্যানেলে আসে। এ কারণে নৌরুটটি সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং করতে হয়। বর্তমানে প্রতিদিন চারটি ড্রেজার মেশিন খননকাজে নিয়োজিত আছে। বছরে খরচ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ড্রেজিং করা বিপুল পরিমাণ মাটি ফেলার জায়গা নিয়ে।
আবদুল মতিন আরও জানান, সাধারণত নদীর তীর বা এর কাছাকাছি স্থানে ডাইক (মাটি দিয়ে ঘেরাও করা স্থান) নির্মাণ করে ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলতে হয়। তবে এখন আর কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, যেখানে ডাইক নির্মাণ সম্ভব। আগের ডাইকগুলোতে মাটি ফেলতে ফেলতে সাত-আট ফুট উঁচু হয়ে গেছে। সেগুলো ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।
একসময় পলি পড়তে পড়তে ২০১১ সালে এই নৌপথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। চ্যানেলটি বন্ধ থাকায় তখন সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েক বছর জাহাজ চলাচল করত। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। একপর্যায়ে সুন্দরবনের ভেতরে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনায় সে চ্যানেলটিও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ২০১৪ সালে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই চ্যানেলটি পুনরায় খনন করে সচল করা হয়। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চ্যানেলটি খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে নৌপথটি ১৩-১৪ ফুট গভীর ও ২০০ থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্ত বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ।
শুধু ড্রেজিং করে এ নৌপথ খুব বেশি দিন সচল রাখা সম্ভব হবে না—এমন আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছিলেন, পলি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিষ্ণু ও দাউদখালী নদীর জোয়ার-ভাটার প্লাবন ভূমিতে অসংখ্য বাঁধ নির্মাণের ফলে প্লাবন এলাকা কমে গেছে। তা ছাড়া উজান থেকে আসা মিঠাপানির প্রবাহও নদীতে কমে যাওয়ায় সমুদ্র থেকে লবণাক্ত পানি সেখানে প্রবেশ করছে। এসব কারণে ওই চ্যানেলে মারাত্মক হারে পলি জমছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোংলা-ঘষিয়াখালী নদী খননের ফলে নৌ-চ্যানেলটি সচল হচ্ছে এটি মনে করছি না। কারণ এখানে সরকারি অর্থের বিরাট অপচয় হচ্ছে। ড্রেজিং পরিকল্পনায়ও এক ধরনের ত্রুটি আছে। কারণ এখানে এক পাড় ভরাট হচ্ছে, সেই ভরাটের বালু এসে আবার নদীতে পড়ছে। আবার এই ড্রেজিংয়ের ফলে সরকারি সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড দিয়ে এক ধরনের দখলও বেড়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আনিছুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই এই নৌ-চ্যানেলে ড্রেজিং হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের বালু বা মাটি যে জায়গায় ফেলা হচ্ছে, সেটি রাতারাতি বিভিন্ন সংস্থা দখল করে নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। নতুন করে জায়গা না পাওয়ায় খননকৃত বালু ফেলা যাচ্ছে না। এ কারণে খননকাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক এই নৌ-চ্যানেল। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চমহলে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরের স্বার্থে এই নৌ-চ্যানেলটি সংরক্ষণ করা এবং নাব্য ধরে রাখা খুবই জরুরি। এটি করা না হলে চ্যানেলটি আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেলে এর মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি, সেটা বাধাগ্রস্ত হবে। কাজেই এই চ্যানেলটির খননকাজ কোনোভাবেই বন্ধ যেন না হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫