নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দিনভর বৃষ্টি। কালোমুখো আকাশের চেহারায় ছিল না হাসি। সে প্রভাব এতটুকু পড়েনি সংগীতপিপাসুদের মনে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেঙ্গল শিল্পালয়ে শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরে কোনো আসন ফাঁকা ছিল না। বাইরে বৃষ্টি। ভেতরে চলছে সেতার, সারেঙ্গি, তানপুরা, এসরাজ, তবলার বাদন। তাতে মোহিত হয়ে ওঠেন আগত দর্শক-শ্রোতা। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় সংগীত। দুই দিনব্যাপী সুনাদ শিরোনামের বার্ষিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।
শুরুতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘অনুষ্ঠানের নাম সুনাদ এই অর্থে যে শিল্পীর মনের ভেতর আপনা-আপনি যে সুর সৃষ্টি হয়, তার নাম অনাহত নাদ। সেখান থেকে আমাদের প্রত্যাশা, শিল্পীর ভেতরেই একটা প্রীতির ধ্বনি আপনা থেকে সৃষ্টি হবে।’
শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টেনে লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যাকে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বলছি, সেই সংগীত আফগানিস্তান থেকে শুরু করে আমাদের পূর্ব বাংলা পর্যন্ত একটা বিস্তৃত অঞ্চলে নানা আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে ৩০০-৪০০ বছর ধরে। আমাদের পূর্ব বাংলায় পলিমাটি, অজস্র নদীনালার যে জাল, লোকগানের সুর—সব মিলিয়ে একধরনের সংগীত প্রীতি আছে। উনিশ শতকেও বাংলাদেশে তবলার সমৃদ্ধ একটা ঘরানা ছিল। খেয়াল, সেতার, সরোদের বাদন ও চর্চা ছিল। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যাঁদের হাতে শাস্ত্রীয় সংগীত শুধু বিকশিতই হয়নি, পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই পারিবারিক সূত্রে, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সুতরাং, শাস্ত্রীয় সংগীত আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তাতে বাংলাদেশের মানুষ, মাটি ও জলের অবদান আছে।’
এদিন খেয়াল পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের নবীন ছাত্রছাত্রীরা। ছিলেন শাশ্বত কুমার মন্ডল, মিথীলা ফাল্গুনী মন্ডল, কুমার বিক্রমাদিত্য সরকার, দিব্যশ্রী সাহা, মাহির আজমাইন ইভান, ত্বকী ইয়াসার আইমান, সদ্য মজুমদার। ফাহমিদা নাজনীন ও ধ্রুব সরকার তাঁদের তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন।
এরপর সোহিনী মজুমদার আসেন সেতার বাদন নিয়ে। তাঁকে তবলায় সংগত করেন নুসরাত ই জাহান খুশবু। খেয়াল গেয়ে শোনান অনিয়া পাল। তাঁকে তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন আপন বিশ্বাস ও ধ্রুব সরকার। এসরাজ ও সারেঙ্গির দ্বৈত বাদন নিয়ে আসেন সৌমিত রায় ও নিলয় হালদার। তাঁদের তবলায় সহযোগিতা করেন ফাহমিদা নাজনীন।
টিঙ্কু শীল ধ্রুপদ শোনান। তাঁকে পাখোয়াজ ও তানপুরায় সংগত করেন কুমার প্রতিবিম্ব ও অপূর্ব কর্মকার।
গতকাল সবশেষ শিল্পী ছিলেন সজীব বিশ্বাস। তাঁর একক তবলা বাদন দিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী দিনের আয়োজন। তাঁকে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন ধ্রুব সরকার। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও থাকছে নানা পরিবেশনা।
দিনভর বৃষ্টি। কালোমুখো আকাশের চেহারায় ছিল না হাসি। সে প্রভাব এতটুকু পড়েনি সংগীতপিপাসুদের মনে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেঙ্গল শিল্পালয়ে শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরে কোনো আসন ফাঁকা ছিল না। বাইরে বৃষ্টি। ভেতরে চলছে সেতার, সারেঙ্গি, তানপুরা, এসরাজ, তবলার বাদন। তাতে মোহিত হয়ে ওঠেন আগত দর্শক-শ্রোতা। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় সংগীত। দুই দিনব্যাপী সুনাদ শিরোনামের বার্ষিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।
শুরুতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘অনুষ্ঠানের নাম সুনাদ এই অর্থে যে শিল্পীর মনের ভেতর আপনা-আপনি যে সুর সৃষ্টি হয়, তার নাম অনাহত নাদ। সেখান থেকে আমাদের প্রত্যাশা, শিল্পীর ভেতরেই একটা প্রীতির ধ্বনি আপনা থেকে সৃষ্টি হবে।’
শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টেনে লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যাকে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বলছি, সেই সংগীত আফগানিস্তান থেকে শুরু করে আমাদের পূর্ব বাংলা পর্যন্ত একটা বিস্তৃত অঞ্চলে নানা আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে ৩০০-৪০০ বছর ধরে। আমাদের পূর্ব বাংলায় পলিমাটি, অজস্র নদীনালার যে জাল, লোকগানের সুর—সব মিলিয়ে একধরনের সংগীত প্রীতি আছে। উনিশ শতকেও বাংলাদেশে তবলার সমৃদ্ধ একটা ঘরানা ছিল। খেয়াল, সেতার, সরোদের বাদন ও চর্চা ছিল। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যাঁদের হাতে শাস্ত্রীয় সংগীত শুধু বিকশিতই হয়নি, পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই পারিবারিক সূত্রে, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সুতরাং, শাস্ত্রীয় সংগীত আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তাতে বাংলাদেশের মানুষ, মাটি ও জলের অবদান আছে।’
এদিন খেয়াল পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের নবীন ছাত্রছাত্রীরা। ছিলেন শাশ্বত কুমার মন্ডল, মিথীলা ফাল্গুনী মন্ডল, কুমার বিক্রমাদিত্য সরকার, দিব্যশ্রী সাহা, মাহির আজমাইন ইভান, ত্বকী ইয়াসার আইমান, সদ্য মজুমদার। ফাহমিদা নাজনীন ও ধ্রুব সরকার তাঁদের তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন।
এরপর সোহিনী মজুমদার আসেন সেতার বাদন নিয়ে। তাঁকে তবলায় সংগত করেন নুসরাত ই জাহান খুশবু। খেয়াল গেয়ে শোনান অনিয়া পাল। তাঁকে তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন আপন বিশ্বাস ও ধ্রুব সরকার। এসরাজ ও সারেঙ্গির দ্বৈত বাদন নিয়ে আসেন সৌমিত রায় ও নিলয় হালদার। তাঁদের তবলায় সহযোগিতা করেন ফাহমিদা নাজনীন।
টিঙ্কু শীল ধ্রুপদ শোনান। তাঁকে পাখোয়াজ ও তানপুরায় সংগত করেন কুমার প্রতিবিম্ব ও অপূর্ব কর্মকার।
গতকাল সবশেষ শিল্পী ছিলেন সজীব বিশ্বাস। তাঁর একক তবলা বাদন দিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী দিনের আয়োজন। তাঁকে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন ধ্রুব সরকার। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও থাকছে নানা পরিবেশনা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪