Ajker Patrika

শিলাবৃষ্টিতে দুর্ভোগ, ফসলের ক্ষতি

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ২১
শিলাবৃষ্টিতে দুর্ভোগ, ফসলের ক্ষতি

জেলার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল শুক্রবার হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলার স্তূপ জমে যায়। সেই সঙ্গে দমকা ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে থাকে। এতে বিকেলে বাইরে বের হওয়া লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই সঙ্গে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নগরীতে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।

একাধিক পথচারী জানান, হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন অনেকে। কামাল কাচনা বাজারের ব্যবসায়ী আজহার আলী চৌধুরী বলেন, ‘উত্তরের আকাশ একটু মেঘলা ছিল, দোকানে বসে আছি, হঠাৎ ঝোড়ো বাতাস শুরু হলো। রাস্তার ধুলা দোকানে, সব অন্ধকার হয়ে গেল।’

গতকাল ছুটির দিনে বিনোদন প্রেমীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছিলেন ভিন্ন জগতে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বিপাকে পড়েন তাঁরা। বিকেল ৪টার ২৫ মিনিটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি বৃষ্টি শুরু হলে দিক বেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ তাৎক্ষণিক মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও অধিকাংশই শিলার আঘাতের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন।

সকালে আবহাওয়া ভালো থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিন্ন জগতে এসেছিলেন নীলফামারীর রতন মিয়া। গাড়ি রেখে পরিবারকে নিয়ে বিনোদনকেন্দ্রটি হেঁটে ঘুরে দেখছিলেন। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়ে যান তাঁরা। কোনো রকমে গাছতলায় লুকালেও সবাই ভিজে যান।

রতন মিয়া বলেন, ‘এমন অবস্থার শিকার কখনো হইনি। সকালের সূর্য দেখে পরিবার নিয়ে এসেছিলাম। এখন ভিজে গেছি। গাড়ির কাছে পৌঁছানোর সুযোগ হয়নি।’

এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক তামাক ও আলুখেত নেতিয়ে পড়েছে। তামাকের পাতা ছিদ্র হয়ে গেছে। খলেয়া গঞ্জিপুর গ্রামের কৃষক আনছার আলী বলেন, ‘দফায় দফায় বৃষ্টিতে খেতের অবস্থা খারাপ। তার ওপর আইজ বিকালে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হইল। ১০ মিনিটে হামার তাংকুর (তামাক) খেত শ্যাষ করি দেইল।’

শিলাবৃষ্টিতে তামাকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকি পুরোনো টিনের চালা ছিদ্র হয়ে শিলা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে জানান বেতগাড়ী গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম।

ভিন্ন জগৎ এলাকার কৃষক মহিউদ্দিন বলেন, ‘জমিত বসি কাজ করোছি। একনা একনা আকাশ খারাপ আছিল। বৃষ্টির সাথে বড় বড় শিল পড়া শুরু হইলো। অনেকক্ষণ ধরি এই শিল আর বৃষ্টি হইচে।’

আরেক কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘শিলাবৃষ্টির কারণে বাড়ন্ত ধানগাছ ভাঙি গেইচে, হালি পড়ছে। ধানগাছের গোড়াত ভাঙি গেইচে। পরে ওই গাছগুলা নষ্ট হয়া যাইবে।’

বালাটারী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। কিছু গাছপালা ভেঙে গেছে, অনেক গাছপালা হেলে পড়েছে। অবেলায় এমন দুর্যোগে গাছপালার ক্ষতি হয়, আবাদের ক্ষতি হয়।

গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন বৃষ্টির কোনো প্রয়োজন ছিল না। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের যে ব্যাপক ক্ষতি হবে তা স্বাভাবিক।’

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আসিব আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি হয়েছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে তা যাচাইবাছাই করে সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত