Ajker Patrika

কমলগঞ্জে ধান সংগ্রহ অর্ধেক, চাল ৩ গুণ

মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
কমলগঞ্জে ধান সংগ্রহ অর্ধেক, চাল ৩ গুণ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে বোরো চাল সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় তিনগুণ। তবে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫৫ শতাংশের মতো। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলার শমশেরনগর, মুন্সিবাজার, শহীদনগর বাজার, আদমপুর বাজার ও বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো মৌসুমে শুরুর দিকে কাঁচা ধান মণপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় ধান বিক্রি হয়েছে। তবে শেষ দিকে শুকনা ধানের মণ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের তুলনায় স্থানীয় বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাঁরা জানান, সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। এর চেয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলে সুবিধা বেশি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা এবং সেদ্ধ চাল ৪০ টাকা ও আতপ চাল ৩৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপজেলায় গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭২ টন। সংগ্রহ হয়েছে ৩২৮ টন আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৯ টন। সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ২০৯ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, মিলমালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে সংশ্লিষ্টরা চাল কেনেন। এ জন্য প্রতি মৌসুমে চালের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কয়েকগুণ বেশি কেনা হয়, আর ধানের অর্ধেকও পূরণ হয় না।

শমশেরনগরের কৃষক আমির আলী বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে বোরো ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এই ধান বিক্রি করতে কোনো যাতায়াত খরচ লাগেনি।’
জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা দীপক মণ্ডল বলেন, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫৫ শতাংশ ধান কেনা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ধানের যে মূল্য ঠিক করে দিয়েছে এর থেকে বাজারে ধানের পাইকারি দোকানগুলোতে কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন। এ জন্য সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে তাঁদের আগ্রহ কম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত