Ajker Patrika

ঝালকাঠিতে গণগ্রন্থাগারে জনবল সংকট

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১১: ২৬
ঝালকাঠিতে গণগ্রন্থাগারে জনবল সংকট

ঝালকাঠি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে মোট আটটি পদ থাকলেও লোকবল আছে মাত্র দুজন। দেড় বছর ধরে লাইব্রেরিয়ানের পদ শূন্য। তবে গ্রন্থাগারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলছেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০০ সালে ঝালকাঠিতে নতুন কলেজ রোডে ৩৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। এর আগে ছোট পরিসরে শহরের পৌর ভবন এলাকায় ছিল গ্রন্থাগারটি। তবে গ্রন্থাগারটিতে রয়েছে জনবল সংকট। বর্তমানে একজন লাইব্রেরি সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক রয়েছেন। লাইব্রেরি সহকারী গ্রন্থাগারের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান লাইব্রেরিয়ান পদ দেড় বছর ধরে শূন্য। এ ছাড়া শূন্য রয়েছে জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান, ক্যাটালগার, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, বুক শাটার ও নৈশপ্রহরীর পদ। কবে এসব শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে তা জানে না গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

গ্রন্থাগারে বর্তমানে বই রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। ১৫০ থেকে ২০০ জন পাঠক এখানে বই পড়তে পারেন। কিন্তু পাঠকসংখ্যা খুবই কম। গ্রন্থাগারের রেজিস্টার খাতায় দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ১৫-১৬ জন পাঠক আসেন। আর গ্রন্থাগারের সদস্য মাত্র ৯৮ জন। সদস্যদের বাড়িতে বই নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রদের ক্ষেত্রে সদস্য ফি (জামানত হিসেবে নেওয়া) ৩০০ টাকা, শিশুদের জন্য ২০০ টাকা ও অন্য পাঠকদের জন্য ৫০০ টাকা। গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রন্থাগারে যে পরিমাণ বই রয়েছে, তাতে দেড় থেকে দুই হাজার সদস্যকে বই দেওয়া সম্ভব। তবে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে গ্রন্থাগারে পাঠকের হার কমেছে।

পাঠক আসিফ, সোহেল ও নয়ন জানান, ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে মোবাইল ফোন আসক্তির কারণে গ্রন্থাগারে পাঠক কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার প্রবণতা কমেছে।

ঝালকাঠি জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (লাইব্রেরিয়ান সহকারী) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই রয়েছে। সে তুলনায় পাঠক নেই। এ ছাড়া এত বড় লাইব্রেরি পরিচালনা করার জন্য যে জনবল দরকার তা নেই। তবে জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত