Ajker Patrika

জাল হেবায় জমি নেওয়ার চেষ্টা

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০১
জাল হেবায় জমি নেওয়ার চেষ্টা

অন্যের জমি হাতিয়ে নিতে প্রতারক চক্র জাল হেবার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাদঘাটা মৌজায়। স্থানীয় শাহারিয়া বিল্লাহর জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতি করে তাঁরই প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম এ কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। গ্রহীতা ও দাতার পিতার নামের মিল থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিচয়পত্রে মাতার নাম পরিবর্তন করে কৌশলে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তোভোগীর পিতা মো. আব্দুর রহমান গত ২০ সেপ্টম্বর জালিয়াত চক্রের হোতা রফিকুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় হেবানামার গ্রহীতা রাইছা বিবিসহ দলিল লেখক আমজাদ হোসেন এবং তাঁদের দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।

ঘটনার শিকার শাহারিয়া বিল্লাহর পিতা মো. আব্দুর রহমান জানান, তাঁর প্রতিবেশী জহুর আলী কারিগরের ছেলে রফিকুল নিজের মা রাইছা বিবিকে তাঁর ছেলের আপন ভাই সাজিয়ে জাল হেবা করেছেন। ২০১৭ সালের ২৯ মে তারিখে ২৩৪৭ নম্বরের ওই হেবানামা সম্পাদনের পর দীর্ঘদিন তা গোপন রাখা হয়। সম্প্রতি রফিকুল তাঁর লোকজন নিয়ে সেই জমি দখল করার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি টাকার ওই সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে রফিকুল তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো.আব্দুর রহমান আরও অভিযোগ করেন আদালতে জালিয়াতির ঘটনায় মামলার পর ছেলেসহ তাঁকে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা।

অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আব্দুর রহমানের সাথে আমার কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এসব নিয়ে সংবাদ করার দরকার নেই, আমরা নিজেরা মিটিয়ে নিব।’

দলিল লেখক মো. আমজাদ হোসেন জানান, ‘আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে রফিকুল এমন একটা কাজ আমাদের দিয়ে করিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তোভোগীরা আদালতে গেলে আমরা ওই জালিয়াতির বিরুদ্ধে স্বাক্ষী হতে রাজি আছি।’

উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসার মো. ইমরুল হাসান বলন, হেবানামার শেষাংশে অঙ্গীকার করে সংশ্লিষ্ট দাতা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে। তবে কেউ এমন অপকর্ম করলে দলিল বাতিলসহ তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যস্ততার ভিড়ে এধরনের জালিয়াতি কেউ করে থাকলে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তা চিহ্নিত করা কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত