Ajker Patrika

টিকাদানে শৃঙ্খলা নেই সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি

তারাকান্দা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০৮
টিকাদানে শৃঙ্খলা নেই সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি

শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনতে তারাকান্দায় শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। গত ৮ জানুয়ারি উপজেলায় দুটি বুথ খুলে টিকাদান শুরু করা হয়। তবে নেই কোনো ধরনের শৃঙ্খলা। এতে অনেকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। গত সোমবার দুটি বুথে ৫ হাজার ৭৯৪ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, একই সময় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ায় ভিড় জমে গেছে। সঙ্গে ছিলেন তাদের অভিভাবকও। ফলে নিশ্চিত হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউএনও কার্যালয়ে টিকা নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকের মুখে ছিল না মাস্কও।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে। দ্রুত টিকাদান শেষ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান শুরু করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় গত ১৬ জানুয়ারি ইউএনও কার্যালয়ে আরেকটি কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে।

এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকেরা জানান, একই সঙ্গে এত বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীকে দুটি কেন্দ্রে টিকাদানের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

মাহমুদা আক্তার নামে একজন অভিভাবক বলেন, তাঁর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সকাল ৯টায় টিকাকেন্দ্রে এসেছে। আসার পর থেকে যেভাবে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে, তাতে ভয় বাড়ছে।

১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার জানায়, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে।

চাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ হেলিম বলেন, গ্রাম থেকে উপজেলায় গিয়ে টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। এলাকাভিত্তিক বা স্কুলে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ মাস্ক পরার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১২-১৮ বছর, তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের মধ্যে দিতে হয়। তাই আমরা উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কেন্দ্র তৈরি করেছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত